আজকাল ওয়েবডেস্ক: জমি খুঁজে পেতে সমস্যা হচ্ছে বা বাড়ি তৈরির সময় বারবার একই ধরনের সমস্যায় পড়ছেন? অনেকেই এই ধরনের সমস্যা নিয়ে মহীশূরের ভূবরাহ স্বামী মন্দিরে আসেন। এই মন্দিরটি ভগবান বিষ্ণুর তৃতীয় অবতার বরাহের উদ্দেশ্যে উৎসর্গীত। ভক্তদের বিশ্বাস এটি জমি, সম্পত্তি ও বসতি সংক্রান্ত সমস্যার সমাধান করে থাকে। 

প্রচলিত বিশ্বাস অনুযায়ী, বরাহ অবতার রাহুর সঙ্গে সম্পর্কিত এবং এটি মঙ্গলের শক্তিও বহন করে। মন্দিরের প্রধান দেবতা ভূবরাহনাথ স্বামীর মূর্তিটি কৃষ্ণশিলা নামক একটি বিরল কালো পাথর দিয়ে নির্মিত। প্রায় ১৪ ফুট উঁচু এই মূর্তিটি বেশিরভাগ দর্শনার্থীর প্রত্যাশার চেয়ে বড় এবং এটি তাৎক্ষণিকভাবে সবার দৃষ্টি আকর্ষণ করে।

যখন কোনও কাজ আটকে যায়, তখন বেশিরভাগ ভক্তরা ভূবরাহস্বামী মন্দিরে যান। এটি হতে পারে কোনও সম্পত্তি হস্তান্তর চুক্তিতে বিলম্ব, বারবার পিছিয়ে যাওয়া নির্মাণ কাজ, অথবা জমির মালিকানা নিয়ে বিরোধ। মন্দিরটির বিশেষত্ব হল ইটের পুজো। মন্দিরে ইট পুজো করা হয় এবং পরে তা নির্মাণ কাজে ব্যবহার করা হয়। ভক্তদের বিশ্বাসে যে এর ফলে বিলম্ব এবং বারবার আসা বাধা কেটে যায়।

আরও একটি প্রথা হল মন্দিরের প্রাঙ্গণ থেকে অল্প পরিমাণে মাটি বা বালি নিয়ে ফেরা। অনেকে সেই মাটি বা বালি বাড়িতে বা তাদের পুজোর স্থানে রেখে দেন এই বিশ্বাসে যে এটি অসম্পূর্ণ কাজকে এগিয়ে নিয়ে যেতে এবং বারবার আসা সমস্যা দূর করতে সাহায্য করে।

অনেকের বিশ্বাস, এই মন্দিরটি জমি সংক্রান্ত আইনি সমস্যা সমাধান করতে সাহায্য করে। কিছু ভক্ত বিশ্বাস করেন যে এখানে নিয়মিত প্রার্থনা করলে জীবনে স্থিতিশীলতা আসে, আর্থিক চাপ কমে এবং অনিশ্চিত সময়ে নিরাপত্তা ফিরে আসে।

মন্দিরের অন্যতম শক্তিশালী অভিজ্ঞতা হলো ‘অভিষেক’ মুহূর্ত। এই রীতি পালনের সময়, ভূবরাহনাথ স্বামীর বিশাল কৃষ্ণশিলা মূর্তিটিকে দুধ, দই, মধু, লেবু, আখের রস, গঙ্গাজল, চন্দন, হলুদ এবং কুমকুমের মতো উপকরণ দিয়ে স্নান করানো হয়। এই অনুষ্ঠানটি কাছ থেকে দেখা এমন একটি অভিজ্ঞতা যা অনেক দর্শনার্থী মন্দির ছেড়ে যাওয়ার অনেক পরেও মনে রাখেন।

এই মন্দিরটি বৈষ্ণবধর্মের থেনকালাই ঐতিহ্য অনুসরণ করে। এখানে বৈখানস আগম অনুসারে পুজো করা হয়। বরাহ জয়ন্তী বিশেষ পূজার মাধ্যমে পালিত হয় এবং মহীশূর ও আশেপাশের অঞ্চল থেকে ভক্তদের সমাগম ঘটে। এই দিনগুলিতে অগ্নি আরাধনা ও মন্ত্র পাঠ করা হয়।

(বিঃ দ্রঃ- এই প্রতিবেদনটি প্রচলিত বিশ্বাসের উপর ভিত্তি করে লেখা।)