আজকাল ওয়েবডেস্ক: দিল্লির নারেলা। এক ব্যক্তিগত মালিকানাধীনের সম্পত্তির মধ্যে তৈরি হচ্ছিল সুইমিং পুল। সেখানেই গিয়েছিল ন' বছরের দুই কিশোরী। এতদূর পর্যন্ত সব ঠিক থাকলেও, বিপদ ঘটে তার পরেই।
পুলিশ প্রাথমিক তদন্তের পর জানিয়েছে, ওই দুই নাবালিকাকে ডাকা হয়েছিল। প্রলুব্ধ করেছিল কেয়ারটেকার, কন্ট্রাক্টর। ঘটনায় অভিযুক্ত দু' জনের কেউই দিল্লির বাসিন্দা নন। জানা গিয়েছে অনিল কুমার উত্তর প্রদেশের বাসিন্দা এবিং মুনিল কুমার বিহারের বাসিন্দা। বয়স ৩৭ এবং ২৪। নাবালিকাদের বাড়ির অদূরেই তৈরি হচ্ছিল বাড়ি, সুইমিং পুল। সেখানেই ডেকে নিয়ে গিয়ে চলে শারীরিক, যৌন নির্যাতন, অভিযোগ তেমনটাই।
দুই নাবালিকার মধ্যে একজনের মা ৮ আগস্ট অভিযোগ দায়ের করেন পুলিশের কাছে। তিনি অভিযোগে জানান, সুইমিং পুলের কাছে তাঁর মেয়ে এবং আর এক কিশোরীর উপর যৌন নির্যাতন চালিয়েছেন দু' জন।
ভারতীয় ন্যায় সংহিতার ধারা ৭০(২) (গণধর্ষণ), ১২৭ (অন্যায়ভাবে আটকে রাখা) এবং ৩৫১ (অপরাধমূলক ভয় দেখানো) এবং যৌন অপরাধ থেকে শিশুদের সুরক্ষা (পকসো) আইনের ধারা ৬ এবং ১০ এর অধীনে নরেলা থানায় একটি মামলা দায়ের করা হয়েছে।
ওই দুই কিশোরীর বক্তব্য রেকর্ড করা হয়েছে। পুলিশ জানিয়েছে, অভিযোগ পাওয়ার পরে, যথাযথ প্রক্রিয়া অনুসরণ করে পুলিশ অনিল এবং মুনিলকে গ্রেপ্তার করেছে। একইসঙ্গে জানিয়েছে, এর আগে, পূর্ববর্তী কোনও ফৌজদারি মামলায় এই দু' জনের জড়িত থাকার কোনও প্রমাণ পাওয়া যায়নি।
পুলিশ এও জানিয়েছে, ওই সুইমিং পুল এবং পার্শ্ববর্তী এলাকার কাজ সম্পন্ন না হওয়ায় অফিসিয়াল অনুমত না থাকলেও, অনেকেই সেখানে স্নান করতে যায় বা সাঁতার কাটতে যায়। তার জন্য কোনও টাকা বা অনুমতির প্রয়োজন হয় না এখন।
এর আগে, উত্তরপ্রদেশে তুতো বোনকে ধর্ষণ করে খুনের অভিযোগ উঠেছে দাদার বিরুদ্ধে। সকালে রাখি পরানোর পর, সেই রাতেই দাদার যৌন লালসার শিকার হয় এক কিশোরী। সেই সময়েই শ্বাসরোধ করে খুন করা হয় তাকে।
সর্বভারতীয় সংবাদমাধ্যম সূত্রে জানা গেছে, উত্তরপ্রদেশের আউরাইয়া জেলায়। পুলিশ জানিয়েছে, রাখি পরানোর ঠিক পরেই ১৪ বছরের তুতো বোনকে ধর্ষণের অভিযোগ উঠেছে তার দাদার বিরুদ্ধে। ধর্ষণের পর তুতো বোনকে শ্বাসরোধ করে খুন করে ৩৩ বছর বয়সি যুবক। এরপর দেহটি ঝুলিয়ে দেয়। যা দেখলে মনে হবে, কিশোরী হয়তো আত্মহত্যা করেছে।
পরেরদিন বাড়ি ফিরেই যুবক দেখে, পুলিশ ইতিমধ্যেই ঘটনাস্থলে পৌঁছেছে। প্রথমে পুলিশকে ভুলো তথ্য দিয়ে বিষয়টি এড়ানোর চেষ্টা করছিল সে। বাড়ির কাউকেই পুলিশের সঙ্গে কথা বলতে দিচ্ছিল না সে। বরং সমস্ত প্রশ্নের উত্তর সে একাই দিচ্ছিল। কিন্তু তার অসংগতিপূর্ণ কথা শুনেই পুলিশের সন্দেহ বাড়ে।
তদন্তে নেমে পুলিশ জানতে পেরেছে, শনিবার সকালে কাকার বাড়িতে এসেছিল যুবক। সেদিন সকালে দাদাকে রাখি পরায় তুতো বোন। সেদিন রাতেই চূড়ান্ত মদ্যপান করে অভিযুক্ত যুবক। এরপর বাড়ি ফিরে তুতো বোনের ঘরে চুপিচুপি ঢুকে পড়ে। সেই সময় কিশোরী ঘুমন্ত অবস্থায় ছিল। ঘরের মধ্যে কিশোরীকে ধর্ষণ করে সে। সেখানেই তুতো বোনকে শ্বাসরোধ করে খুন করে, দেহটি ঝুলিয়ে দেয়।
