আজকাল ওয়েবডেস্ক: বাংলাদেশের কিশোরী। বয়স ১৪। স্কুলে একটি বিষয়ে ফেল করেছিল। বাড়িতে বিপুল বকাঝকা খাবে, ভেবে বাড়ি থেকে পালিয়েছিল। কিন্তু তার জন্য কী ভয়াবহ পরিস্তিতি অপেক্ষা করে রয়েছে, নাবালিকা টের পায়নি তখনও। সর্বভারতীয় সংবাদ মাধ্যম সূত্রে, সামনে এসেছে ওই কিশোরীর ঘটনা। তথ্য, এক দেশের কিশোরীকে, অন্য দেশে পাচার করে, গত কয়েকমাসে তাকে জোর করা হয়েছে সঙ্গমে, চলেছে যৌন নির্যাতন। সংখ্যা অন্তত ২০০।
মহারাষ্ট্রের পালঘর জেলায় একটি 'সেক্স র্যাকেট' বা যৌন জাল থেকে উদ্ধার করা হয়েছে। জানা গিয়েছে, উদ্ধারের পর, কিশোরী পুলিশকে জানিয়েছে গত কয়েকমাসে ঘটে যাওয়া ভয়াবহ কাহিনি। তথ্য, ওই কিশোরী বাংলাদেশি। মীরা-ভায়ন্দর ভাসাই-ভিরার পুলিশের মানব পাচার বিরোধী ইউনিট (এএইচটিইউ) এনজিও এক্সোডাস রোড ইন্ডিয়া ফাউন্ডেশন এবং হারমনি ফাউন্ডেশনের সঙ্গে যৌথ অভিযানে ২৬ জুলাই ভাসাইয়ের নাইগাঁওয়ের একটি ফ্ল্যাটে অভিযান চালিয়ে নাবালিকাকে উদ্ধার করা হয়েছে, তেমনটাই জানিয়েছেন কর্মকর্তারা।
তিনি জানিয়েছেন, গ্রেপ্তারকৃতদের মধ্যে ছয়জন এবং ১৪ বছর বয়সী ওই কিশোরী-সহ পাঁচজনের মধ্যে তিনজন বাংলাদেশি নাগরিক। গ্রেপ্তারকৃতদের মধ্যে ৩৩ এবং ৩২ বছর বয়সী দুই মহিলা রয়েছেন, যারা বাংলাদেশ থেকে ওই কিশোরীকে ভারতে প্রবেশে সহায়তা করেছিলেন বলে অভিযোগ রয়েছে।
নাইগাঁও থানার সিনিয়র ইন্সপেক্টর বিজয় কদম জানিয়েছেন, এখনও পর্যন্ত দশজনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে এই ঘটনায়। পুলিশ জানিয়েছে, জবানবন্দীতে কিশোরী জানিয়েছে, তাকে প্রথমে গুজরাটের নাদিদাদে পাচার করা হয়েছিল। সেখান থেকে নিয়ে যাওয়া হয় মহারাষ্ট্রের পালঘরে।
হারমনি ফাউন্ডেশনের প্রেসিডেন্ট জানিয়েছেন, ওই কিশোরী একটি বিষয়ে ফেল করেছিল স্কুলে। তারপরেই সে বাড়ি থেকে পালিয়ে যায়। এক মহিলা কিশোরীকে একা পেয়ে বাংলাদেশ থেকে ভারতে পাচার করে বলে খবর সর্বভারতীয় সংবাদ মাধ্যমের ওই প্রতিবেদন সূত্রে। হারমনি ফাউন্ডেশনের প্রেসিডেন্ট আব্রাহাম মাথাই জানিয়েছেন, কিশোরী জানিয়েছে, গত তিনমাসে অন্তত ২০০ জন যৌন নির্যাতন করেছে। তাদের সকলকে গ্রেপ্তারের সাবি জানিয়েছেন তিনি। বয়ঃসন্ধিকালে কিশোরীকে নানা ধরনের হরমোনের ইঞ্জেকশন দেওয়া হয়েছে বলেও প্রাথমিকভাবে অনুমান পুলিশের।
এমবিভিভি পুলিশ কমিশনার নিকেত কৌশিক বলেন, পুরো চক্রটি উন্মোচন করতে এবং কিশোর-কিশোরীদের নিরাপদ পরিবেশ প্রদানের জন্য বাহিনী সর্বাত্মক প্রচেষ্টা চালাচ্ছে। কিশোরীর সামগ্রিক অভিযোগ যাচাই করা হচ্ছে বলেও জানা গিয়েছে। পুলিশের মতে, ২৬শে জুলাই নাইগাঁওয়ে ধরা পড়া যৌন চক্রের কিশোরীদের নভি মুম্বই, মহারাষ্ট্রের পুনে, গুজরাট, কর্ণাটক এবং দেশের অন্যান্য স্থানে পাচার করা হয়েছিল বলে অভিযোগ রয়েছে।
এসবের মাঝেই সামনে এসেছে, রাজস্থানের উদয়পুরে ভয়াবহ ঘটনা। জানা গিয়েছে, উদয়পুরে ৮ বছরের এক নাবালিকাকে ধর্ষণের ঘটনায় চাঞ্চল্য ছড়িয়েছে রাজ্যজুড়ে। রবিবার সন্ধ্যায় এই ভয়াবহ ঘটনাটি ঘটে। পুলিশ সূত্রে খবর, ওই নাবালিকার বাড়ির পাশেই এক ঝোপের আড়ালে অভিযুক্ত এই নৃশংস ঘটনা ঘটায়। আসলে কী ঘটেছিল? পুলিশ সূত্রে খবর, ঘটনাটি ঘটে সন্ধ্যা প্রায় ৭.৩০ নাগাদ। ওই নাবালিকা তার বাড়ির পাশেই বন্ধুদের সঙ্গে ঘুরছিল। সেই সময় এক অজ্ঞাতপরিচয় ব্যক্তি এসে ওই নাবালিকার পথ আটকায় এবং তাকে সঙ্গে যেতে বলে।
নাবালিকা যেতে রাজি না হওযায় ওই ব্যক্তি তাকে জোর করে পাশের এক ঝোপের আড়ালে তুলে নিয়ে যায়। ওই ঝোপের আড়ালে নিয়ে গিয়ে নাবালিকার মুখ চেপে ধরে ভয় দেখিয়ে তাকে নৃশংস ভাবে ধর্ষণ করে। গোটা ঘটনার ভয়াবহতা শুনে আঁতকে উঠেছেন স্থানীয় বাসিন্দারাও। ঘটনার পর অভিযুক্ত পালিয়ে গেলেও পরে পুলিশ তাকে গ্রেপ্তার করে। অন্যদিকে, ঘটনার পর ওই নাবালিকা বাড়ি ফিরে কাঁদতে কাঁদতে পরিবারের সদস্যদের সব জানায়। সঙ্গে সঙ্গে তাকে মহারানা ভূপাল হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়।
