আজকাল ওয়েবডেস্ক: সামনেই বড় পরীক্ষা, যাকে বলে বোর্ড এক্সাম। উচ্চ মাধ্যমিক পরীক্ষার পরেই, জয়েন্ট এন্ট্রান্স। এই প্রবেশিকা পরীক্ষাগুলিকে জীবনের অন্যতম বড় পরীক্ষা বলে মনে করে থাকেন অভিভাবকরা। তুঙ্গে চলে প্রস্তুতি। স্কুল, পাঠ্যবইয়ের পাশাপাশি ভরসা থাকে কোচিং সেন্টারের উপর। কিন্তু বোর্ড পরীক্ষার আগে এবার অথৈ জলে পড়ুয়ারা, মাথায় হাত অভিভাবকদের। সর্বভারতীয় সংবাদ সংস্থা সূত্রে খবর, দিল্লি, উত্তরপ্রদেশে গত কয়েকদিনে ফিটজি ( ফোরাম ফর ইন্ডিয়ান ইন্সটিটিউট অফ টেকনোলজি-জয়েন্ট এন্ট্রান্স এক্সামিনেশন)-এর আটটি শাখা তড়িঘড়ি বন্ধ হয়ে গিয়েছে। 

উত্তর ভারতে গত কয়েকসপ্তাহে পরপর কোচিং-শাখা সেন্টারগুলি বন্ধ হয়ে যাওয়ায় চিন্তার ভাঁজ অভিভাবকদের কপালে। 

এই কোচিং সেন্টারগুলি বন্ধ হয়ে যাওয়ার কারণ? কারণ, শিক্ষকরা চাকরি ছেড়ে দিয়েছেন। তার পিছনে কারণ কী? জানা গিয়েছে, সংস্থা শিক্ষকদের বেতন দিচ্ছিল না ঠিকমতো। আর সেই কারণেই গত কয়েকদিনে নয়ডা, গাজিয়াবাদ, ভোপাল, বারাণসী, দিল্লি এবং পাটনা, মিরাটের ফিটজি কোচিং সেন্টারের শাখাগুলি পরপর বন্ধ হয়ে গিয়েছে।সর্বভারতীয় সংবাদ সংস্থা সূত্রে খবর তেমনটাই।  

সূত্রের খবর, এই পরিস্থিতিতে অনেক অভিভাবকই পুলিশের দ্বারস্থ হয়েছেন। তাঁদের অভিযোগ, পড়ুয়াদের আগে থেকে ওই বেসরকারি সংস্থা কোনও নোটিস দেয়নি, টাকাও ফেরত দেয়নি। তাঁদের অভিযোগ, লক্ষ লক্ষ টাকা নিয়েছে বহু পড়ুয়ার থেকে, তারপর মাঝপথে কোচিং সেন্টার বন্ধ করে দিয়েছে। অগ্নি নির্বাপক ব্যবস্থা এবং লাইসেন্সিং নিয়ে সম্প্রতি সমস্যার মুখে পরেছিল সংস্থাটি, সর্বভারতীয় সংবাদ সংস্থা সূত্রে খবর তেমনটাই।

উল্লেখ্য, ডি কে গোয়েল, আইআইটি দিল্লির মেকানিক্যাল ইঞ্জিনিয়ারে স্নাতক পড়ুয়া ১৯৯২সালে এই সংস্থা প্রতিষ্ঠা করেন। ইঞ্জিনিয়ারিং, নিট পরীক্ষার জন্য পড়ুয়াদের ট্রেনিং দেয় এই সংস্থা। তথ্যপ, ৪১টি শহরে এই সংস্থার অন্তত ৭২টি শাখা রয়েছে, তাতে কর্মরত রয়েছেন অন্তত ৩০০ জন। যদিও এই বিষয়ে সংস্থার তরফে কিছু জানা যায়নি এখনও।