আজকাল ওয়েবডেস্ক: এনসিসি ক্যাম্পে শিক্ষক জোর করে নমাজ পড়িয়েছিলেন অ-মুসলিম পড়ুয়াদের। ছত্তিশগড়ের বিলাসপুরে অবস্থিত গুরু ঘাসিদাস কেন্দ্রীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের ক্যাম্পাসে ঘটে য়াওয়া এই ঘটনায় উত্তাপ ছড়ায়। এরপর সাত জন শিক্ষক ও অএক জন ছাত্রনেতার বিরুদ্ধে মামলা দায়ের হয়। অবশেষে বৃহস্পতিবার সকালে পুলিশ অধ্যাপক দিলীপ ঝাকে গ্রেপ্তার করে। এই খবর নিশ্চিৎ করেছে পুলিশের ডিএসপি রশমিত কৌর চাওলা।
এই ঘটনায় বাকি অভিযুক্তরা হলেন, মধুলিকা সিং, জ্যোতি বর্মা, নীরজ কুমারি, প্রশান্ত বৈষ্ণব, সূর্যভান সিং এবং বসন্ত কুমার। তাঁরা সকলেই গুরু ঘাসিদাস কেন্দ্রীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক। এর সঙ্গেই মামলা দায়ের হয়েছে ছাত্র-নেতা আয়ুষ্মান চৌধুরীর নামেও। তাদের বিরুদ্ধে ভারতীয় দণ্ডবিধির ১৯৬ (বি), ১৯৭(১) (বি) (সি), ২৯৯, ৩০২, ১৯০, ও ছত্তিশগড় ধর্মীয় স্বাধীনতা আইনের ৪ নং ধারায় মামলা দায়ের করা হয়েছে। প্রথমে কোনি থানায় এই মামলা দায়ের করা হলেও, পরে মামলাটি বিশদ তদন্তের জন্য পাঠানো হয় কোটা থানায়।
২৬ মার্চ থেকে ১ এপ্রিল পর্যন্ত চলেছিল এই এনসিসি ক্যাম্প। যেখানে যোগ দিয়েছিলেন ১৫৯ জন ছাত্র-ছাত্রী। কোটা থানার অধীনে শিবতরাই গ্রামে এই এনসিসি ক্যাম্প চলছিল। সেখানেই ১৫৯ জন ছাত্র-ছাত্রীর মধ্যে মাত্র ৪ জন ছিলেন মুসলিম সম্প্রদায়ের। কিন্তু তারপরেও সকলকেই নমাজ পড়তে বাধ্য করানো হয়। এই ঘটনায় সেই এনসিসি ক্যাম্পের ছাত্র-ছাত্রীরা পুলিশে অভিযোগ জানান। তারপরেই শুরু হয় তদন্ত। বিশ্ববিদ্যালয়ের এই ঘটনায় দক্ষিণপন্থী ছাত্র সংগঠনগুলি এর তীব্র বিরোধিতা করেছে এবং অভিযুক্তদের বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা নেওয়ার দাবি জানিয়েছে।
বিলাসপুরের সিনিয়র পুলিশ সুপারিনটেনডেন্ট রজনেশ সিং, বিষয়টি তদন্তের জন্য সিটি পুলিশ সুপারিনটেনডেন্ট (কোতোয়ালি) অক্ষয় সাবদ্রের নেতৃত্বে চার সদস্যের একটি দল গঠন করেছিলেন। কমিটির রিপোর্টের ভিত্তিতে, ঝা এবং অন্যদের বিরুদ্ধে মামলা দায়ের করা হয়েছে। বিষয়টি নিয়ে তদন্ত জারি আছে।
