আজকাল ওয়েবডেস্ক: শনিবার ছত্তিশগড় সরকার পুলিশি কার্যক্রমকে আরও সহজ, স্বচ্ছ এবং যোগাযোগমূলক করার লক্ষ্যে পুলিশ অফিসিয়াল রেকর্ডে ব্যবহৃত উর্দু এবং ফার্সি শব্দের পরিবর্তে হিন্দি শব্দ ব্যবহার করেছে। শনিবার একই নির্দেশ দেওয়া হয়েছে রাজস্থান পুলিশকেও।

পুলিশ অফিসিয়াল রেকর্ডে ‘হালাফনামা’-এর পরিবর্তে ‘শপথপত্র’, ‘দফা’-এর পরিবর্তে ‘ধারা’ (ধারা), ‘ফরিয়াদি’-এর পরিবর্তে ‘শিকায়াতকর্তা’ (অভিযোগকারী) এবং ‘চসমদীদ’-এর পরিবর্তে ‘প্রত্যক্ষদর্শী’ ব্যবহার করা হচ্ছে।

ছত্তিশগড়ের উপ-মুখ্যমন্ত্রী তথা স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী বিজয় শর্মার নির্দেশে, পুলিশ মহাপরিচালক (ডিজিপি) জেলা পুলিশ সুপারদের (এসপি) কাছে একটি চিঠির মাধ্যমে  এই নির্দেশ কার্যকরের কতা বলেছেন। সরকারি বিবৃতিতে উল্লেখ, পুলিশের কাজে ব্যবহৃত কঠিন এবং ঐতিহ্যবাহী শব্দগুলিকে সহজ এবং স্পষ্ট হিন্দি শব্দ দিয়ে পরিবর্তন করা উচিত। এই চিঠিতে ১০৯টি শব্দের একটি তালিকা দেওয়া হয়েছে, যেখানে পুরনো কঠিন শব্দের পরিবর্তে হিন্দি শব্দ ব্যবহার করার পরামর্শ দেওয়া হয়েছে।

উপ-মুখ্যমন্ত্রী শর্মা বলেছেন, "যখন কোনও সাধারণ নাগরিক কোনও অভিযোগ, অপরাধের তথ্য বা অন্যান্য কাজের জন্য থানায় যান, তখন তিনি প্রায়শই এফআইআর বা পুলিশের অন্যান্য নথিতে ব্যবহৃত ভাষা সম্পর্কে বিভ্রান্ত হন। অন্যান্য ভাষার শব্দ সাধারণ মানুষের কাছে অজানা, সেই কারণে তারা তাদের বক্তব্য সঠিকভাবে ব্যাখ্যা করতে বা পুরো প্রক্রিয়াটি সঠিকভাবে বুঝতে পারেন না। যদি পুলিশের উদ্দেশ্য নাগরিকদের সাহায্য করা এবং সুরক্ষা দেওয়া হয়, তাহলে তাদের ভাষাও এমন হওয়া উচিত যাতে নাগরিকরা সবটা বুঝতে পারে। এতে জনগণের আত্মবিশ্বাস বাড়বে।"

বিবৃতি অনুসারে, এই চিঠিতে আরও নির্দেশ দেওয়া হয়েছে যে- সমস্ত অধস্তন পুলিশ কর্মীদের শব্দগত পরিবর্তন সম্পর্কে অবহিত করা উচিত। এছাড়াও এটি নিশ্চিত করা উচিত যে, আদেশটি কেবল আনুষ্ঠানিকতা হিসাবে যেন না থেকে যায়। বরং রাজ্যের প্রতিটি পুলিশ পোস্ট, থানা এবং অফিসে এর বাস্তব বাস্তবায়ন দেখা উচিত।

বিবৃতিতে আরও উল্লেখ যে, ছত্তিশগড় পুলিশ এখন কেবল আইন প্রয়োগকারী প্রতিষ্ঠানে পরিণত হবে না বরং জনসাধারণের যোগাযোগের মাধ্যমও হয়ে উঠবে। ভাষার এই সরলীকরণ অভিযোগকারীকে তাদের মামলা স্পষ্টভাবে বলতে, শুনতে এবং বুঝতে সাহায্য করবে। এফআইআরের মতো পদ্ধতি, যা এতদিন কেবল আইনজীবী বা পুলিশ কর্মীরা বুঝতেন, এখন সাধারণ নাগরিকদেরও বোধগম্য হবেন।