আজকাল ওয়েবডেস্ক : বাজেট পেশের আগেই বিরোধীদের তুমুল গন্ডগোল। তবে তার মধ্যেই বাজেট পেশ করলেন কেন্দ্রীয় অর্থমন্ত্রী নির্মলা সীতারমন। এই নিয়ে টানা ৮ বার বাজেট পেশ করলেন নির্মলা সীতারমন। ২০২৫-২৬ সালের বাজেট পেশ করলেন। এবারের বাজেটে মধ্যবিত্তের দিকে বাড়তি নজর দেওয়া হয়েছে। ৭০ শতাংশ মহিলা যেন অর্থনীতিতে অংশ নেয় সেদিকে জোর দেওয়া হয়েছে বাজেটে।
বাজেটে গ্রামীণ অর্থনীতিতে জোর দেওয়া হয়েছে। কর্মসংস্থানেও বিশেষ জোর দেওয়া হয়েছে। প্রধানমন্ত্রী ধনধান্য কৃষি যোজনার অন্তর্গত বেশ কয়েকটি সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। এই কাজে দেশের সকল রাজ্যের সঙ্গে যুক্ত করে কাজ করা হবে।
এদিন নিজের বাজেটে কেন্দ্রীয় অর্থমন্ত্রী বলেন, উৎপাদনশীলতা আরও বাড়ানোর দিকে জোর দেওয়া হবে। সেচের প্রতি বিশেষ নজর থাকবে। গ্রামের অর্থনীতিতে ডেভেলপমেন্ট ব্যাঙ্কের সহায়তা নেওয়া হবে। ১০ বছর আগে ডাল উৎপাদনে আত্মনির্ভর হয়েছে ভারত। আগামী ৫ বছরে আরও উন্নতির টার্গেট থাকছে।
৬ বছরের প্রকল্প নেওয়া হবে ডাল উৎপাদনে। কেন্দ্রীয় সংস্থার কৃষকদের কাছ থেকে সরাসরি ডাল সংগ্রহ করবে। একইসঙ্গে সব্জি উৎপাদনে জোর দেওয়া হবে। দেশে বর্তমানে সব্জি এবং ফলের চাহিদা বাড়ছে তাই উৎপাদন বাড়বে। বিহারে মাকানা বোর্ড তৈরি করা হবে। মাকানা বোর্ড কৃষকদের সহায়তা করবে। কৃষকদের উচ্চ উৎপাদনশীল বীজ দেওয়া হবে।
মৎস্য উৎপাদনে ভারত পৃথিবীতে দ্বিতীয়। এখানে আরও বেশি সম্ভাবনা রয়েছে। এই কারণে আলাদা ইকোনমিক জোন তৈরি করা হবে। তুলো চাষীদের জন্য ৫ বছরের নতুন প্রকল্প করা হবে। ফলে তুলো চাষ বৃদ্ধি পাবে। এই কাজে কৃষকদের প্রশিক্ষণ এবং নতুন প্রযুক্তির সহায়তা দেওয়া হবে।
কেসিসিতে সার পাবেন কৃষকরা। সরকার তিনটি ইউরিয়া প্ল্যান্ট খুলেছে পূর্ব ভারতে। ইন্ডিয়া পোস্ট অফিসের প্রচুর নতুন শাখা খোলা হয়েছে। গ্রামীণ অর্থনীতিকে চাঙ্গা করার কাজে একে ব্যবহার করা হবে। এর মাধ্যমে ব্যবসা বাড়বে। কিষাণ ক্রেডিট কার্ড ৩ থেকে বাড়িয়ে ৫ লক্ষ করা হল।
এদিন কেন্দ্রীয় অর্থমন্ত্রী বলেন, এমএসএমই দেশের দ্বিতীয় বৃদ্ধির ইঞ্জিন। ৭.৫ কোটি এখানে কর্মসংস্থান হয়েছে। আগামীদিনে গ্লোবাল ম্যানুফ্যাকচারিং হাব তৈরি হবে। পাশাপাশি মাইক্রো ইন্ডাস্ট্রিতে জোর দেওয়া হবে। ফলে দেশে ১.৫ কোটি মানুষ উপকার পাবেন। স্টার্ট আপ ১০ কোটি থেকে ২০ কোটি বাড়ানো হল। যারা রপ্তানি করেন তারা বিশেষ সুবিধা পাবে। ছোটো এন্টারপ্রাইজরা ক্রেডিট কার্ড পাবেন।
এই কাজে ৯১ হাজার কোটি টাকা সাপোর্ট দেওয়া হচ্ছে। নতুন ফান্ড তৈরি করা হবে। খরচ হবে ১০ হাজার কোটি টাকা। ৫ লক্ষ মহিলার জন্য নতুন প্রকল্প। এরা ২ কোটি টাকা পর্যন্ত লোন পাবেন। কর্মসংস্থান বাড়াতে শ্রমনির্ভর কাজে জোর। খাদ্যপ্রক্রিয়াকরণে জোর দেওয়া হবে। বিহারে নতুন হাব হবে। ডেয়ারি ফিসারি প্রকল্পে ৫ লক্ষ টাকা পর্যন্ত ঋণ দেওয়া হবে।
