আজকাল ওয়েবডেস্ক: কেরালায় সিপিএমকে হারাল বিজেপি। তিরুবন্তপুরমের পুরসভা ভোটে এই জয় পেল বিজেপি। এখানে বিগত ৪৫ বছর ধরে কাজ করছিল বামেরা। মোট ১০১ টি আসনের মধ্যে এনডিএ জয়লাভ করে ৫০ টি আসনে। অন্যদিকে বামের পেয়েছে ২৯ টি আসন। কংগ্রেসের নেতৃত্বে এলডিএফ পেয়েছে ১৯ টি আসন। দুটি আসনে জয়লাভ করেছে নির্দল প্রার্থী।
কেরালায় দীর্ঘদিন ধরেই বাম শাসনে ছিল পুরসভা। তাদের হারানোর জন্য উঠেপড়ে লাগে বিজেপি এবং এনডিএ। অবশেষে তারা এই কাজে জয় পেল। এদিন জয়লাভের পর বিজেপির কেরালা শাখা উচ্ছাসে ফেটে পড়ে। বিশেষত গ্রামীণ এলাকায় যেখানে বহুদিন ধরেই নানা ধরণের অভিযোগের কথা উঠে আসছিল।
কেরালায় বরাবরই দুর্বল বিজেপি। সেখানে তাদের এই জয় রাজনৈতিকভাবে যথেষ্ট গুরুত্বপূর্ণ। কেরালার জনতা যে এবার বিজেপির ওপর ভরসা রাখছে তারই প্রতিফলন এই জয়।
এবিষয়ে কংগ্রেস সাংসদ শশী থারুর বলেন, এটি একটি বিরাট জয়। কেরালার গণতন্ত্রে নতুন দিনের সূচনা হল। বিজেপিকে তিনি এজন্য শুভেচ্ছাও জানিয়েছেন। তিনি বলেন, এই ফল দেখিয়ে দিল জনসাধারণ যাকে চাইবে তাকে তারা রাখবে। নাহলে সরিয়ে দেবে। দেশের ভবিষ্যৎ রাজনীতি কোন দিকে যাবে সেবিষয়ে আরও স্পষ্ট ইঙ্গিত মিলেছে।
থারুর আরও বলেন, দীর্ঘ ৪৫ বছর ধরে এখানে বাম রাজত্ব চলছিল। সাধারণ মানুষ তাদের প্রতি বিরক্ত ছিল। তারই প্রতিফলন দেখা গেল এই ফলাফলে। বিজেপি যেভাবে গোটা দেশে রাজত্ব করছে সেই তালিকায় এবার যুক্ত হয়ে গেল কেরালার নামটিও। ২০২০ সালে এখানে সিপিআইএম পেয়েছিল ৪৯ টি আসন। বিজেপি সেখানে পায় মাত্র ১৭ টি আসন।
তিরুবন্তপুরম শশী থারুরের ঘাঁটি বলেই পরিচিত। সেখানে কংগ্রেসের হারে নতুন রাজনৈতিক সমীকরণের ইঙ্গিত রয়েছে বলেই মনে করছেন রাজনৈতিক বিশ্লেষকদের একাংশ। দীর্ঘদিন ধরেই দক্ষিণ ভারতের দখল নিতে চাইছে বিজেপি। এই জয় সেই দিকে আরও একধাপ এগিয়ে নিয়ে গেল বলে মনে করছেন তাঁরা। তাও আবার বামেদের শক্ত ঘাঁটিতে। ফলে বিজেপির এই জয় বিশেষ তাৎপর্যপূর্ণ বলেই মনে করছেন রাজনৈতিক মহলের একাংশ।
তিরুবন্তপুরমের ফল প্রকাশের পরে বিজেপিকে অভিনন্দন জানিয়েছেন কংগ্রেস সাংসদ শশী থারুর। তিনি বলেন, ‘বিজেপির এই জয় ঐতিহাসিক। তবে এই জয় শুধু বিজেপির নয়, গণতন্ত্রেরও জয় হয়েছে।’ ভোটারদের রায়কে সম্মান জানানোর কথাও বলেন তিনি। একই সঙ্গে কংগ্রেসকেও অভিনন্দন জানিয়েছেন শশী। তাঁর কথায়, ‘বিধানসভা ভোটের আগে জনগণ স্পষ্ট বার্তা দিয়েছে। আরও কঠোর পরিশ্রম করতে হবে।’
