আজকাল ওয়েবডেস্ক: জন্মদিনের আনন্দ মুহূর্তে বদলে গেল আতঙ্কে। বন্ধুদের সঙ্গে জন্মদিনের পার্টিতে গিয়ে খুন হলো ১৮ বছর বয়সী এক তরুণ। অভিযোগ, ছুরি দিয়ে আঘাত করে খুন করা হয়েছে। গুজরাটের রাজকোট শহরে এই মর্মান্তিক ঘটনাটি ঘটেছে। জানা গিয়েছে, ভিখারিকে হেনস্থা করা নিয়ে বন্ধুদের সঙ্গে ঝগড়া শুরু হয়েছিল। সেখান থেকে এহেন চরম পরিণতিতে চমকে উঠেছে রাজ্য।

সর্বভারতীয় সংবাদমাধ্যম সূত্রে জানা গিয়েছে, মৃত যুবকের নাম ধার্মিক। সোমবার রাতে সে তার বন্ধু রাহুল-এর জন্মদিন পালন করতে বেরিয়েছিল। তাদের সঙ্গে আরও সাতজন বন্ধু ছিল বলে খবর পাওয়া গিয়েছে। কিন্তু আনন্দ করতে গিয়েই তরুণের চরম পরিণতি হল। 

পুলিশ জানিয়েছে, এক জায়গায় চা খেতে দাঁড়ায় বন্ধুরা মিলে। সেই সময় ধার্মিক রাস্তার পাশে বসা এক ভিখারিকে বিরক্ত করতে শুরু করে। তার বন্ধুরা এই আচরণের বিরোধিতা করলেও তরুণ থামেনি। এরপরই ঝগড়া চরমে ওঠে। পরিস্থিতি সামলাতে রাহুল-এর তুতো ভাই ময়ূর-সহ আরও কয়েকজনকে ঘটনাস্থলে ডেকে আনা হয়। জানা গিয়েছে, ময়ূর পেশায় রিকশা চালক।

জানা গিয়েছে, এর পর ময়ূর ঘটনাস্থলে পৌঁছে ধার্মিককে শান্ত করার চেষ্টা করে। তখন ধার্মিক উল্টে তাকেই গালাগালি ও অপমান করে বলে অভিযোগ। এতেই রেগে গিয়ে ময়ূর একটি ছুরি দিয়ে ধার্মিকের বুক ও পেটে আঘাত করে। ঘটনাস্থলেই মারা যায় ধার্মিক। ঘটনার জেরে পুলিশ ময়ূরকে গ্রেপ্তার করেছে। পুরো ঘটনার তদন্ত শুরু হয়েছে।

প্রসঙ্গত, একের পর এক খুন ৷ এক মহিলাকে নিয়ে বিবাদ দুই বন্ধুর মধ্যে৷ আর তার জেরে খুন হলেন এক যুবক। গুজরাটে ঘটনাটি ঘটেছে। খবর অনুযায়ী, কুড়ি বছরের এক যুবক নিখোঁজ হওয়ার প্রায় ছয় দিন পর জানা গেল, তাকে খুন করা হয়েছে। যুবকের নাম রমেশ মহেশ্বরী। এই নৃশংস কাজটি করেছে তাঁর নিজের বন্ধু! পুলিশ সূত্রে খবর পাওয়া গিয়েছে, এক মহিলাকে নিয়ে ঝগড়ার জেরেই এই খুন।

সর্বভারতীয় সংবাদমাধ্যম সূত্রে জানা গিয়েছে, গত ২ ডিসেম্বর নকত্রাণার মুরু গ্রাম থেকে রমেশ নিখোঁজ হন। পুলিশ খোঁজ শুরু করে। এর পর সন্দেহ গিয়ে পড়ে তাঁর বন্ধু কিশোরের ওপর। পুলিশ তাকে ধরে জিজ্ঞাসাবাদ করতেই বেরিয়ে আসে ভয়াবহ সত্য। জানা গিয়েছে, এই ঘটনায় এক নাবালকও যুক্ত। তাকেও পুলিশ জিজ্ঞাসাবাদ করেছে।

পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে, কিশোর রমেশের পরিচিত এক বান্ধবীকে ইনস্টাগ্রামে মেসেজ করে প্রেম করার জন্য চাপ দিচ্ছিল। তরুণী এই গোটা বিষয়টি রমেশকে জানাতেই দুই বন্ধুর মধ্যে তুমুল বাকবিতণ্ডা শুরু হয়। এতেই রেগে গিয়ে কিশোর তার বন্ধুকে খুন করার ফন্দি আঁটে।

পুলিশ জানিয়েছে, কিশোর রমেশকে গ্রামের বাইরে ফাঁকা জায়গায় নিয়ে গিয়ে খুন করে। এরপর সে একটি ছুরি দিয়ে রমেশের মাথা, হাত এবং পা কেটে শরীর থেকে আলাদা করে দেয়। পরে, ধরা পড়ার ভয়ে দেহের কিছু অংশ টুকরো করে  একটি কুয়োয় ফেলে দেয় অভিযুক্ত। বাকি অংশ কাছেই মাটি চাপা দেয়।

কিশোরের বয়ান অনুযায়ী, পুলিশ ঘটনাস্থলে যায়। সেখানে মাটি খুঁড়ে দেহের মূল অংশ এবং কুয়ো থেকে কাটা অঙ্গ-প্রত্যঙ্গগুলি উদ্ধার করেছে। অভিযুক্ত এখন পুলিশি হেফাজতে৷ বর্তমানে এই ঘটনা নিয়ে তদন্ত জারি রয়েছে৷