আজকাল ওয়েবডেস্ক: বিহার জুড়ে এখন জল্পনা, উৎকণ্ঠার প্রহর গোনা পরিস্থিতি। শুক্রবার বাংলার পড়শি রাজ্যে ভোট গণনা। মসনদে ফিরবেন নীতীশ? পঞ্চমবারের জন্য তিনি কুর্সি দখল করবেন? নাকি এবার বিহারে তেজস্বী ক্যারিশমা কার্যকর হবে, রাজ্যপাটে পরিবর্তন সূচিত হবে? উত্তরের জন্য আর বাকি মাত্র কয়েক ঘন্টা।

গত ৬ এবং ১১ নভেম্বর দু'টি পর্যায়ে বিহারে ভোট হয়েছিল। ২৪৩ আসন বিশিষ্ট বিহার বিধানসভার নির্বাচনে এবার রেকর্ড ভোট পড়েছে। বিগত কয়েক দশকের পরিসংখ্যান ছাপিয়ে এবার বিহারে ভোট পড়েছে ৬৭.১৩ শতাংশ। 

শুক্রবার ভোট গণনা সকাল ৮টা থেকে শুরু হবে। প্রথমেই গণনা হবে পোস্টাল ব্যালট। ভোটের ফলাফলের প্রবণতা সকাল প্রায় ১০টা থেকেই বোঝা যেতে পারে। রাজ্যের ৩৮টি জেলায় মোট ৪৬টি গণনা কেন্দ্রে গণনা চলবে।

বিহারে মোট ৭.৪৫ কোটি ভোটার ২,৬১৬ জন প্রার্থীর ভাগ্য নির্ধারণ করেছেন।

ভোট গণনার সময়, প্রতিটি গণনা হলে ১৪+১ টেবিলের ব্যবস্থা করা হয়েছে। ১৪টি টেবিলে ইভিএমের গণনা হবে, আর একটি টেবিল সহকারী নির্বাচনী অফিসার পরিচালনা করবেন। প্রতিটি টেবিলে একজন কাউন্টিং সুপারভাইজার, একজন কাউন্টিং সহকারী এবং একজন মাইক্রো ওভসারভার  থাকবেন। ভোট গণনার  ফলাফলের অফিসিয়াল তথ্য নির্বাচন কমিশনের ওয়েবসাইটে দেখা যাবে।

বুধবার নির্বাচন কমিশনের জারি করা এক বিবৃতি অনুসারে, নির্বাচনে ব্যবহৃত ইভিএম এবং ভিভিপ্যাটগুলি স্ট্রং রুমের ভেতরে ডাবল-লক সিস্টেমের মাধ্যমে সিল করে দেওয়া হয়েছে। বিবৃতিতে বলা হয়েছে, "কেন্দ্রীয় পর্যবেক্ষক এবং প্রার্থীদের নিয়োগ করা এজেন্টদের উপস্থিতিতে, পুরো প্রক্রিয়ার ভিডিওগ্রাফি করা হবে।" 

গণনা কেন্দ্রগুলিতে দ্বি-স্তরের নিরাপত্তা নিশ্চিত করা হয়েছে। কমিশনের বিবৃতিতে বলা হয়েছে, "গণনা কেন্দ্রের মধ্যে কেন্দ্রীয় সশস্ত্র আধাসামরিক বাহিনী (সিএপিএফ) সুরক্ষার জন্য মোতায়েন থাকবে। রাজ্য পুলিশ বাইরের মোতায়েন থাকবে। এছাড়াও, ২৪/৭ সিসিটিভি নজরদারি এবং অন্যান্য নিরাপত্তা ব্যবস্থা নিশ্চিৎ করা হয়েছে।" 

প্রতিটি স্ট্রং রুম ক্যাম্পাসের মধ্যে একটি নিয়ন্ত্রণ কক্ষ স্থাপন করা হয়েছে, যেখানে ঊর্ধ্বতন জেলা কর্মকর্তারা থাকবেন। সংশ্লিষ্ট বিধানসভা কেন্দ্রের সমস্ত জেলা নির্বাচনী আধিকারিক এবং রিটার্নিং অফিসারদের ঘন ঘন স্ট্রং রুম পরিদর্শন করার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।

সমীক্ষা:
ভোট পরবর্তী সমীক্ষাগুলির বেশিরভাগই এনডিএ-এর ক্ষমতায় ফেরার পূর্বাভাস দিয়েছে। তবে, বিরোধী ইন্ডিয়া জোটের মুখ্যমন্ত্রী পদপ্রার্থী তথা আরজেডি নেতা তেজস্বী যাদব এই ভবিষ্যদ্বাণীগুলি উড়িয়ে দিয়েছেন। তিনি দাবি করেছেন যে, মহাগঠবন্ধন বিপুল সংখ্যাগরিষ্ঠতা নিয়ে সরকার গঠন করবে।

বিহারে এনডিএ-তে পাঁচটি দল রয়েছে। যদিও ২৪৩টি আসনের বেশিরভাগ বিধানসভা আসনে জেডি(ইউ) এবং বিজেপি প্রতিদ্বন্দ্বিতা করেছিল, উভয়ই ১০১টি করে আসনে প্রার্থী দিয়েছিল। ইন্ডিয়া জোটে রয়েছে আরজেডি, কংগ্রেস, সিপিআই(এমএল) লিবারেশন, অন্যান্য বাম দল এবং বিকাশশীল ইনসান পার্টি (ভিআইপি)।

উভয় জোটের যাঁরা হেভিওয়েট প্রার্থী রয়েছেন তাঁদের মধ্যে রয়েছেন- উপ-মুখ্যমন্ত্রী সমরত চৌধুরী এবং বিজয় কুমার সিনহা, আরজেডির তেজস্বী যাদব, জেজেডির তেজপ্রতাপ এবং বিহার কংগ্রেস সভাপতি রাজেশ কুমার।