আজকাল ওয়েবডেস্ক:‌ ২৪৩ আসনের বিহার বিধানসভায় চলছে ভোটগ্রহণ। বৃহস্পতিবার ৬ নভেম্বর প্রথম দফায় ১২১ কেন্দ্রে চলছে ভোট। দ্বিতীয় দফায় ১১ নভেম্বর ভোট হবে বাকি ১২২ কেন্দ্রে। 


ইতিমধ্যেই ভোট দিয়েছেন মুখ্যমন্ত্রী নীতীশ কুমার, লালুপ্রসাদ যাদব, স্ত্রী রাবড়ি দেবী সহ লালুর দুই পুত্র। যাঁদের প্রথম দফাতেই ভাগ্য নির্ধারণ হচ্ছে।


সকাল সকাল প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি এক্স হ্যান্ডলে হিন্দিতে লেখেন, ‘‌‌গণতন্ত্রের উৎসবে আজ বিহারে প্রথম পর্যায়ের ভোটগ্রহণ হচ্ছে। এই পর্বে সকল ভোটারের কাছে আমার আবেদন, আপনারা পূর্ণ উদ্যমে ভোট দিন।’‌ ওই পোস্টেই বিহারের প্রথমবারের ভোটার যাঁরা, তাঁদের অভিনন্দন জানিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী। একই সঙ্গে ভোটারদের উদ্দেশে মোদির বার্তা, ‘‌মনে রাখবেন আগে ভোট, পরে আহার–বিশ্রাম।’‌ পাশাপাশি বিহারে এনডিএ অভূতপূর্ব সংখ্যাগরিষ্ঠতা পাবে বলে আশাবাদী প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি। পোস্টে তিনি লিখেছেন, ‘‌বিহারে গণতন্ত্রের বৃহৎ উৎসবে মানুষের মধ্যে দারুণ উন্মাদনা দেখা যাচ্ছে। এই ঘটনা ইঙ্গিত করছে যে, বিধানসভা নির্বাচনে এনডিএ অভূতপূর্ব সংখ্যাগরিষ্ঠতা পেতে চলেছে।’‌ এদিকে, দ্বিতীয় দফা ভোটের আগে বৃহস্পতিবার বিহারের ফরবীসগঞ্জ এবং আরারিয়ায় দু’টি জনসভা করবেন মোদি।


রাঘোপুর থেকে ভোটে দাঁড়ানো লালু–পুত্র তেজস্বী যাদবের বার্তা, ‘‌আপনার ভোট বিহারের উন্নতির পথকে প্রশস্ত করবে। আগে ভোট। অন্য কাজ কিছু সময় পরেও করা যেতে পারে।’‌ ভোট দিয়ে বেরিয়ে লালু–পুত্র আরও জানান, তিনি বিরোধী জোট ‘মহাগঠবন্ধন’–এর জয়ের বিষয়ে আশাবাদী। আগামী ১৪ নভেম্বর নতুন সরকার তৈরি হবে বলেও দাবি করেন বিহার বিধানসভার বিরোধী দলনেতা তেজস্বী। অন্যদিকে, স্ত্রী রাবড়ি দেবীকে নিয়ে পাটনার একটি বুথ থেকে ভোট দিয়ে বেরিয়ে লালু বলেন, ‘‌বদল হবে।’‌ অন্যদিকে, রাবড়ি দেবী বলেন, ‘‌আমার দুই ছেলের জন্যই আমার শুভেচ্ছা রইল (তেজস্বী এবং তেজপ্রতাপ)। আমি তাঁদের মা। তেজপ্রতাপ আলাদা লড়ছে। তাঁদের দু’জনের জন্যই আমার শুভকামনা রইল। একই সঙ্গে আমি বিহারের জনগণকে অনুরোধ করছি, আপনারা নিজেদের ভোটাধিকার ভুলে না গিয়ে ভোট দিন।’‌ তবে ‘‌বিদ্রোহী’‌ তেজপ্রতাপকে সমর্থন করেছেন লালু–কন্যা রোহিণী আচার্য। তিনি বলেন, ‘‌আমার শুভেচ্ছা ওর সঙ্গে রয়েছে, আমি ওকে (তেজপ্রতাপ) আশীর্বাদ করছি। আপনি কি আপনার ভাইকে আশীর্বাদ করবেন না?’‌ 


এদিকে, মুখ্যমন্ত্রী তথা জেডিইড নেতা নীতীশ কুমার ভোট দেওয়ার পর সোশ্যাল মিডিয়ায় পোস্ট করেন, ‘‌গণতন্ত্রে ভোটদান কেবল আমাদের অধিকারই নয়, এটা আমাদের দায়িত্বও বটে। বিহারের বিধানসভা নির্বাচনে প্রথম পর্যায়ের ভোটগ্রহণ চলছে। সব ভোটারের কাছে আমার আবেদন, আপনারা নিজেদের ভোটাধিকার প্রয়োগ করুন। অন্যদেরও ভোটদানে উৎসাহিত করুন।’‌ 


এদিকে, সকাল ১১টা অবধি ভোট পড়েছে ২৭ শতাংশ। বৃহস্পতিবার ভোটগ্রহণ চলছে পাটনা, দ্বারভাঙ্গা, মধেপুরা, সহরসা, মুজফ্‌ফরপুর, গোপালগঞ্জ, সিওয়ান, সারণ, বৈশালী, সমস্তিপুর, বেগুসরাই, লখীসরাই, মুঙ্গের, শেখপুরা, নালন্দা, বক্সার এবং ভোজপুর জেলায়। এর মধ্যে মধ্য বিহারের জেলাগুলিতে আরজেডির ভাল প্রভাব রয়েছে। প্রথম পর্বের ভোটের ১২১ আসনের মধ্যে সবচেয়ে বেশি প্রার্থী রয়েছ প্রশান্ত কিশোরের জন সুরাজ পার্টির। ১১৮টি আসনে প্রার্থী দিয়েছে প্রশান্ত কিশোরের দল। এনডিএর অন্দরে সবচেয়ে বেশি প্রার্থী দিয়েছে জেডিইউ। ৫৭ আসনে লড়ছে নীতীশের দল। বিজেপি লড়ছে ৪৮ আসনে। চিরাগ পাসওয়ানের দল লড়ছে ১৩ আসনে।


অন্যদিকে ইন্ডিয়া জোটে সবচেয়ে বেশি প্রার্থী রয়েছে আরজেডির। লালুপ্রসাদ যাদবের দল লড়ছে ৭২ আসনে। কংগ্রেস লড়ছে ২৪ আসনে। লিবারেশন লড়ছে ১৪ আসনে।