আজকাল ওয়েবডেস্ক: হঠাৎ একদিন হোয়াটসঅ্যাপে একটি মেসেজ। যিনি মেসেজটি পাঠিয়েছিলেন, তাঁর কোনও ডিপিতে কোনও ছবি ছিল না। চিকিৎসক নাম জিজ্ঞাসার পরে শারীরিক অসুস্থতার কথা জানতে চেয়েছিলেন। কিন্তু তরুণী যা জানিয়েছেন, তা শুনেই চক্ষু চড়কগাছ চিকিৎসকের। তরুণী জানিয়েছিলেন, তিনি শাশুড়িকে খুন করতে চান। তাঁর অনুরোধ শুনে চিকিৎসক যা করলেন, তাতে অবাক হয়ে গেছেন সকলে। 

সর্বভারতীয় সংবাদমাধ্যম সূত্রে খবর, ঘটনাটি ঘটেছে বেঙ্গালুরুতে। ড. সুনীল কুমার হেব্বি জানিয়েছেন, ১৭ ফেব্রুয়ারি সুহানা নামের এক তরুণী তাঁকে হোয়াটসঅ্যাপে মেসেজ করেছিলেন। কিছুক্ষণ কথা বলার পর চিকিৎসককে অনুরোধ করেছিলেন, তাঁর আবদার যেন রাখা হয়। এর জন্য তাঁকে যেন বকাঝকা না করেন। চিকিৎসক উত্তর দিয়েছিলেন, তাঁর কাজ জীবন বাঁচানো, কেড়ে নেওয়া নয়। 

এরপর তরুণী জানিয়েছিলেন, তিনি শাশুড়িকে খুন করতে চান। তার জন্য কিছু ওষুধ যেন প্রেসক্রিপশনে লিখে দেওয়া হয়। তরুণীর অনুরোধ শুনে আঁতকে ওঠেন চিকিৎসক। তড়িঘড়ি সঞ্জয়নগর থানায় পুলিশের কাছে অভিযোগ জানান তিনি। 

অভিযোগের ভিত্তিতে তরুণীকে থানায় ডেকে পাঠায় পুলিশ। জিজ্ঞাসাবাদ করা হয় তাঁকে এবং তাঁর স্বামীকে। পুলিশি জেরায় তরুণী জানান, তিনি আত্মহত্যা করতে চেয়েছিলেন। কিন্তু উপায় খুঁজে পাচ্ছিলেন না। তাই শাশুড়িকে খুনের ছুঁতোয় ওষুধের নাম জানতে চেয়েছিলেন। আসলে সেই ওষুধের নাম জানলে তিনি নিজেই খেতেন।