আজকাল ওয়েবডেস্ক: বেঙ্গালুরুতে এক মর্মান্তিক ঘটনা। ৪৫ বছর বয়সি এক সফটওয়্যার কর্মী আত্মঘাতী হয়েছেন। মৃত্যুর আগে তিনি একটি সুইসাইড নোট লিখে গিয়েছেন। সেখানে স্থানীয় একটি পরিবার ও বৃহত্তর বেঙ্গালুরু কর্তৃপক্ষের আধিকারিকদের বিরুদ্ধে লাগাতার হেনস্থা ও টাকা চাওয়ার অভিযোগ করেছেন তিনি৷ এই ঘটনা ঘিরে সম্প্রতি তীব্র চাঞ্চল্যের সৃষ্টি হয়েছে। 

সর্বভারতীয় সংবাদমাধ্যম সূত্রে জানা গিয়েছে, মৃত ব্যক্তির নাম মুরলি গোবিন্দরাজু। তিনি নাল্লুরাপল্লী এলাকায় নিজের কেনা জমিতে বাড়ি তৈরি করছিলেন। মুরলির ৬১ বছর বয়সী মায়ের অভিযোগ, স্থানীয় শশী নাম্বিয়ার ও ঊষা নাম্বিয়ার নামে এক দম্পতি বারবার তাঁর ছেলের কাছে ২০ লক্ষ টাকা দাবি করত। এই পরিবার নাকি আবার পুরসভার আধিকারিকদের দিয়ে নির্মাণে ‘ত্রুটির’ অজুহাত দেখিয়ে মুরলিকে নোটিস পাঠাত। হেনস্থা করাত।

খবর অনুযায়ী, গত বুধবার সকালে নির্মীয়মাণ বাড়িটির দোতলায় মুরলির ঝুলন্ত দেহ উদ্ধার হয়। পুলিশ একটি ১০ পাতার সুইসাইড নোট পেয়েছে, যেখানে তিনি এই তোলাবাজির দাবি, এমনকী অত্যাচারের পুরো ঘটনা বিস্তারিত লিখে গিয়েছেন।

মৃতের মায়ের অভিযোগের ভিত্তিতে পুলিশ নাম্বিয়ার দম্পতিকে গ্রেপ্তার করেছে। তাঁদের বিরুদ্ধে তোলাবাজি ও আত্মহত্যায় প্ররোচনা দেওয়ার অভিযোগ আনা হয়েছে। তবে ওই দম্পতির ছেলে এখনও পুলিশের ধরাছোঁয়ার বাইরে। তার নামেও অভিযোগ রয়েছে। পুলিশ তার খোঁজেও তল্লাশি চালিয়েছে। 

পুলিশ জানিয়েছে, ২০১৮ সালে মুরলি যখন নাম্বিয়ারদের এক ঘনিষ্ঠ আত্মীয়ের কাছ থেকে প্লটটি কেনেন, তার পরই সমস্যা শুরু হয়। স্থানীয় মানুষজন বলছেন, এই নাম্বিয়ার দম্পতির বিরুদ্ধে এর আগেও এলাকায় নির্মাণ নিয়ে অভিযোগ তুলে টাকা চাওয়ার অভিযোগ রয়েছে। তারা নাকি নিজেদের এলাকায় 'সমাজকর্মী' বলেও পরিচয় দিত।