আজকাল ওয়েবডেস্ক: একা মেয়েরাই টার্গেট। শহরের রাস্তায় মেয়েদের একা দেখলেই শ্লীলতাহানি! যুবকের কীর্তিতে আতঙ্কে সকলে।‌ অবশেষে পুলিশের জালে ওই যুবক। 

সর্বভারতীয় সংবাদমাধ্যম সূত্রে জানা গেছে, ঘটনাটি ঘটেছে কর্ণাটকের বেঙ্গালুরুতে।‌ পুলিশ জানিয়েছে, সন্ধ্যার পর একা একা হাঁটাচলা করতে দেখলে, স্কুটার, বাইকে একা যেতে দেখলেই হামলা করতেন এক যুবক। শুনশান জায়গায় মেয়েদের একা দেখলেই শ্লীলতাহানি করেই পালিয়ে যেতেন তিনি। অবশেষে পুলিশের জালে ওই যুবক। 

পুলিশ আরও জানিয়েছে, গত এক মাসের বেশি সময় ধরেই একাধিক শ্লীলতাহানির ঘটনার অভিযোগ উঠেছে ওই যুবকের বিরুদ্ধে। যুবকের নাম, বিনোদ টি। শহরেই একটি স্যান্ডউইচের দোকান চালাতেন। শহরে সন্ধ্যার পর মেয়েদের একা দেখলেই টার্গেট করতেন। নির্জন এলাকায় একা মেয়েদের শ্লীলতাহানি করেই পালিয়ে যেতেন তিনি। 

নির্যাতিতাদের বয়ান অনুযায়ী, সন্ধ্যার পরেই ঘটনাগুলি ঘটাতেন যুবক। স্কুটার নিয়ে রাস্তায় ঘোরাঘুরি করতেন। মেয়েদের একা হাঁটাচলা করতে দেখলে, একা কোনও স্কুটারে যেতে দেখলেই হামলা করতেন। প্রথমে পিছন থেকে জড়িয়ে ধরতেন। এরপর অশালীনভাবে স্পর্শ করেই, সেই স্কুটার নিয়ে পালিয়ে যেতেন। 

গত ২ ডিসেম্বর কামাক্ষীপল্লী থানায় এক যুবতী অভিযোগ দায়ের করেন। যুবতী জানিয়েছেন, তিনি স্কুটার চালিয়ে যাচ্ছিলেন। রাস্তায় গর্ত এড়াতে স্কুটারের গতি কমিয়ে দেন। সেই সময়েই যুবক পিছন থেকে জড়িয়ে ধরেন। তাঁকে শ্লীলতাহানিও করেন। 

এলাকার সিসিটিভি ফুটেজ খতিয়ে দেখে যুবককে শনাক্ত করে পুলিশ। বর্তমানে তিনি পুলিশি হেফাজতে রয়েছেন। তাঁর বিরুদ্ধে ভারতীয় ন্যায় সংহিতার একাধিক ধারায় মামলা রুজু করা হয়েছে। 

দিন কয়েক আগেই আরও ভয়াবহ যৌন নির্যাতনের ঘটনা ঘটেছিল। নাবালক ও কিশোরদের যৌন লালসার শিকার হয় ১৩ বছরের এক কিশোরী। আচমকাই তার সঙ্গে বন্ধুত্ব পাতিয়েছিল চারজনে। এরপর আড্ডা দেওয়ার জন্য তাকে নিয়ে যায় একটি লজে। সেখানেই শুরু হয় গণধর্ষণ। নির্যাতিতা কিশোরীর মুখে বর্ণনা শুনে শিউরে উঠেছে পুলিশ। 

সর্বভারতীয় সংবাদমাধ্যম সূত্রে জানা গেছে, ঘটনাটি ঘটেছে তেলেঙ্গানায়। পুলিশ জানিয়েছে, ১৩ বছর বয়সি এক কিশোরীকে গণধর্ষণের অভিযোগ উঠেছে চারজনের বিরুদ্ধে। অভিযুক্তের মধ্যে দু'জন নাবালক রয়েছে। একটি লজে কিশোরীকে নিয়ে গিয়ে, যৌন নির্যাতন করা হয়েছে বলে অভিযোগ উঠেছে। 

পুলিশ আরও জানিয়েছে, ঘটনাটি ঘটেছে গত ৮ ডিসেম্বর। সেকেন্দ্রাবাদে কিশোরীকে একা দেখতে পেয়েই আলাপ করেছিল চারজন। এরপর একটি লজে নিয়ে যায় তারা। সেখানেই ঘরের মধ্যে চারজন মিলে কিশোরীকে গণধর্ষণ করে। এর আগে থেকেই কিশোরী নিখোঁজ ছিল। গত ৫ ডিসেম্বর নির্যাতিতার পরিবার সাঙ্গারেড্ডি জেলায় থানায় নিখোঁজ ডায়েরি করে। 

এরপরই তল্লাশি অভিযান শুরু করে পুলিশ। দিন কয়েক পরেই ওই কিশোরী পুলিশকে ফোন করে তার ঠিকানা জানায়। সেই লজে পৌঁছে কিশোরীকে উদ্ধার করে পুলিশ। তখনই গণধর্ষণের ঘটনাটি প্রকাশ্যে আসে‌। অভিযোগের ভিত্তিতে দু'জনকে গ্রেপ্তার করে হেফাজতে নিয়েছে পুলিশ। বাকি দু'জনকে গ্রেপ্তার করে অবজারভেশন হোমে পাঠানো হয়েছে।