আজকাল ওয়েবডেস্ক: বেঙ্গালুরুতে চাঞ্চল্যকর ঘটনা৷ বান্ধবী অন্য একজনের সঙ্গে বন্ধুত্ব করেছেন। 'ঈর্ষা'র জেরে নৃশংস খুন। মদনায়কানাহাল্লি এলাকার পুলিশ তিরুপতি থেকে প্রেম বর্ধন (২১) নামে এক যুবককে গ্রেপ্তার করেছে। তার বিরুদ্ধে অভিযোগ, সে তার বান্ধবীকে খুন করেছে। মৃতা তরুণীর নাম দেবিশ্রী। জানা গিয়েছে, দেবিশ্রী অন্ধ্রপ্রদেশের আন্নামাইয়া জেলার বাসিন্দা। বিবিএম কোর্সের ছাত্রী ছিলেন তরুণী। ঘটনাটি ঘটেছে রবিবার। উত্তর বেঙ্গালুরুর থাম্মেনাহাল্লি এলাকায় একটি ভাড়া ঘরে নৃশংস এই ঘটনা ঘটে।  

তদন্তকারী পুলিশ অফিসাররা জানিয়েছেন, রবিবার প্রেম বর্ধন ও দেবিশ্রীর মধ্যে কোনও কারণে প্রচণ্ড ঝগড়া হয়। অভিযোগ, সেই ঝগড়ার সময়ই সে দেবিশ্রীকে আক্রমণ করে। তাঁকে খুন করে ঘটনাস্থল থেকে পালিয়ে যায় অভিযুক্ত। ধরা পড়ার ভয়ে সে মেট্রো ধরে প্রথমে ম্যাজেস্টিক যায়। পরে সেখান থেকে বাসে চেপে তিরুপতি চলে যায়।

নিহত তরুণীর বন্ধু ও প্রতিবেশীদের কথায় পুলিশ ২১ বছর বয়সি প্রেম বর্ধনকে মূল অভিযুক্ত হিসেবে চিহ্নিত করে। জানা গিয়েছে অভিযুক্ত তার মোবাইল ফোন বন্ধ করে দেয়। এমনকী মোবাইল নম্বরও ডি-অ্যাক্টিভেট করে দেয় সে। কিন্তু পুলিশ তাঁর খোঁজে তল্লাশি জারি রাখে৷ বিভিন্ন মোবাইল টাওয়ারের সিগন্যাল এবং সিসিটিভি ক্যামেরার ফুটেজ পরীক্ষা করে তার গতিপথ অনুসরণ করে। খবর অনুযায়ী, ইন্সপেক্টর মুরলীধরের নেতৃত্বে একটি দল তিরুপতি পুলিশের সঙ্গে যোগাযোগ করে। মোবাইল টাওয়ারের অবস্থান দেখতে থাকে।

পুলিশকে বিভ্রান্ত করতে প্রেম তিরুপতির একটি মন্দিরে গিয়ে গা ঢাকা দেয়। মাথার সমস্ত চুল কেটে ফেলে সে। কিন্তু তার মোবাইল ফোন থেকেই শেষমেশ তাকে ধরা হয়। পুলিশ তাকে পাকড়াও করে। শুরু হয় পুলিশি জিজ্ঞাসাবাদ। পুলিশের কাছে জেরার সময় প্রেম বর্ধন স্বীকার করে, বান্ধবী দেবিশ্রী অন্য এক যুবকের সঙ্গে বন্ধুত্ব করায় তার মনে 'ঈর্ষা' তৈরি হয়েছিল। সেই কারণেই সে এই হত্যাকাণ্ড ঘটিয়েছে। বর্তমানে পুরো ঘটনার তদন্ত জারি রয়েছে৷