আজকাল ওয়েবডেস্ক: বেঙ্গালুরুর রিয়েল এস্টেট এজেন্ট নিজের জন্য কনে খুঁজতে গিয়ে ভয়ঙ্কর অভিজ্ঞতার মুখোমুখি হলেন। ৩৪ বছরের বেঙ্গালুরুর মাথিকেরের গোকুল এক্সটেনশন এলাকার বাসিন্দা ওই ব্যক্তির নাম সতীশ (নাম পরিবর্তিত)। উপযুক্ত কনে খোঁজার জন্য সে নিজের এক পরিচিত মহিলার সাহায্য চেয়েছিলেন। ওই মহিলা হেব্বাল অঞ্চলের একটি বাড়িতে কনে দেখা ও প্রয়োজনীয় কথাবার্তার ব্যবস্থা করে দেন। নির্ধারিত স্থানে পৌঁছানোর পর, সতীশকে গুড্ডাহল্লির একটি বাড়িতে নিয়ে যাওয়া হয়, যেখানে তিনি দুই মহিলার সঙ্গে দেখা করেন যাঁরা তাঁর ব্যক্তিগত এবং পারিবারিক বিষয়ে সম্পর্কে জিজ্ঞাসাবাদ করেন।
কথোপকথনের মাঝেই, বিজয় নামে একজন মহিলা সতীশকে ১২০০ টাকা অনলাইনে পেমেন্ট করার জন্য অনুরোধ করেন। মহিলা দাবি করেন যে, ওই টাকা প্রয়োজনীয় জিনিসপত্র কেনার জন্য চেয়েছেন তিনি। মহিলা এবং অন্য়ান্যদের বিশ্বাস করে সতীশ অনলাইনে ১২০০ টাকা দিয়ে দেন।
এরপরই ঘটনায় নয়া মোড়। কিছুক্ষণ পরে, সতীশ দেখেন বিজয় নামে এক ব্যক্তি ঘরে ঢুকে দরজা আটকাচ্ছেন। এরপর দরজায় টোকা মেরে আরও দু'জন পুরুষ এবং আরেকজন মহিলা ওই ঘরে প্রবেশ করেন। এরপরই তাঁরা নিজেদের সাদা পোশাকের পুলিশ অফিসার হিসাবে দাবি করেন। এরপর সতীশকে পতিতাবৃত্তিতে জড়িত থাকার অভিযোগ করেন! তখন ভয়ে কাঁটা সতীশ। অভিযোগ, নিজেকে বার বার নির্দোশ বলে দাবি করার পরেও সতীশকে শারীরিকভাবে লাঞ্ছিত করা হয় এবং ঘরে আটকে রাখা হয়।
এরপর ওই পুলিশ অফিরেরা সতীশকে জানায় যে, যদি সে তাঁদের দাবি মত ২ লক্ষ টাকা দিয়ে দেন তবে তাঁকে গ্রেপ্তার করা হবে না। এই হুমকিতে ভীত সতীশ অনলাইনে ৫০,০০০ টাকা দিয়ে দেন। এই লেনদেনের পর, ওই ব্যক্তিরা সতীশকে ছেড়ে দেন, কিন্তু ঘটনার বিষয়ে পুলিশকে না জানানোর জন্য সতর্ক করেন। এরপর ক্রমেই সতীশ বুঝতে পারেন যে, তিনি প্রতারকদের কবলে পড়েছেন।
এই মারাত্মক অভিজ্ঞতার কথা সতীশ তাঁর বন্ধুদের বলেন। তাঁরাই সতীশকে পুলিশের সঙ্গে যোগাযোগ করার পরামর্শ দেয়। পরে সতীষ ঘটনাটি বিস্তারিতভাবে জানিয়ে একটি অভিযোগ দায়ের করে। প্রাথমিক তদন্তে জানা গিয়েছে যে, অভিযুক্তরা পুলিশের ছদ্মবেশে কাজ করা একটি অপরাধী চক্রের অংশ। একজন পুলিশ কর্তা বলেছেন যে, ভুক্তভোগীর বক্তব্য পর্যালোচনা করা হচ্ছে এবং অপরাধীদের গ্রেপ্তারের চেষ্টা চলছে।
