আজকাল ওয়েবডেস্ক: কলেজ থেকে আর বাড়ি ফেরেনি। চারদিন নিখোঁজ ছিল ১৮ বছরের কিশোরী। অবশেষে সেপটিক ট্যাঙ্ক থেকে উদ্ধার গর্ভবতী কিশোরীর পচাগলা দেহ। এই ঘটনায় চারজনকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। ঘটনায় আঁতকে উঠেছেন স্থানীয় বাসিন্দা থেকে পুলিশ। 

সর্বভারতীয় সংবাদমাধ্যম সূত্রে জানা গেছে, ঘটনাটি ঘটেছে অসমের জোরহাট জেলায়। সোমবার পুলিশ জানিয়েছে, একটি বাড়ির সেপটিক ট্যাঙ্ক থেকে ১৮ বছর বয়সি এক কলেজ ছাত্রীর পচাগলা দেহ উদ্ধার করা হয়েছে। কিশোরী ছ'মাসের গর্ভবতী ছিল। টিটাবরের নন্দনাথ সাইকিয়া কলেজের ছাত্রী ছিল সে। গত ৭ নভেম্বর থেকে নিখোঁজ ছিল ওই কলেজ ছাত্রী। কলেজ থেকে বাড়ি ফেরার পথেই নিখোঁজ হয় ওই কিশোরী। 

পরিবারের অভিযোগ, পুলিশ অভিযোগ নেওয়ার পরেও ঠিকমতো খতিয়ে দেখেনি। ছাত্রীর নিখোঁজের দিন থেকেই কর্তব্যে গাফিলতির অভিযোগ উঠেছে পুলিশের বিরুদ্ধে। এই অভিযোগের ভিত্তিতে এক পুলিশ কর্মীকে সাসপেন্ড করা হয়েছে। অবশেষে সোমবার ওই কিশোরীর দেহ উদ্ধার করেছে পুলিশ। তাদের অনুমান, ধর্ষণ করে কিশোরীকে খুন করা হতে পারে। তার দেহ ময়নাতদন্তের জন্য পাঠানো হয়েছে। 

পুলিশ আরও জানিয়েছে, এই ঘটনায় জিজ্ঞাসাবাদের জন্য ৬৩ বছরের জগজিৎ সিং নামের এক বৃদ্ধকে হেফাজতে নেওয়া হয়েছে। দীর্ঘ জেরায় সে জানিয়েছে, কিশোরীকে খুন করে সে নিজের বাড়ির সেপটিক ট্যাঙ্কেই ফেলে দিয়েছিল। এর পাশাপাশি জগজিতের আরও দুই ছেলে কৃশান সিং ও জীবন সিং এবং এক ফার্মাসিস্ট রুখবুদ্দিন আহমেদকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। অভিযুক্তদের বিরুদ্ধে ভারতীয় ন্যায় সংহিতার একাধিক ধারায় এবং পকসো ধারায় মামলা রুজু করা হয়েছে। 

প্রসঙ্গত, গত মাসেই আরও এক নৃশংস ঘটনা ঘটেছিল। হবু স্ত্রীর সঙ্গে সঙ্গমে লিপ্ত হতে চেয়েছিল যুবক। কিন্তু কিশোরী তাতে রাজি ছিল না। এদিকে ফাঁকা বাড়িতে যৌনতার শখ মাথায় চাপে যুবকের। স্ত্রীর মেজাজ দেখে রেগে লাল হয়ে যায়। অবশেষে কিশোরীকে ধর্ষণ করে, শ্বাসরোধ করে খুন করল সে। বিয়ের আগে হাড়হিম কাণ্ডে শিউরে উঠেছেন সকলে। 

সর্বভারতীয় সংবাদমাধ্যম সূত্রে জানা গেছে, ঘটনাটি ঘটেছে মহারাষ্ট্রের পালগড়ে। এক কিশোরীকে ধর্ষণ করে খুনের অভিযোগে গ্রেপ্তার করা হয়েছে এক যুবককে। পুলিশ সূত্রে জানা গেছে, কিশোরীকে সঙ্গমে লিপ্ত হওয়ার জন্য জোরাজুরি করছিল ওই যুবক। এদিকে যৌনতায় লিপ্ত হতে অনিচ্ছুক ছিল ওই কিশোরী। এর জেরেই কিশোরীকে ধর্ষণ করে শ্বাসরোধ করে খুন করে সে। 

পুলিশ আরও জানিয়েছে, ঘটনাটি ঘটেছে গত বুধবার। বিদালধার গ্রামে ওই কিশোরীর বাড়িতে গিয়েছিল যুবক। এর কয়েক মাস আগেই কিশোরীর সঙ্গে যুবকের বাগদান সম্পন্ন হয়েছিল। কাজের জন্য কিশোরীর বাবা, মা বাইরে গিয়েছিলেন। সেই সময় বাড়ি ফাঁকা ছিল। সেই নির্জনতার সুযোগেই অভিযুক্ত যুবক কিশোরীর সঙ্গে দেখা করতে আসে। 

ফাঁকা বাড়িতে কিশোরীর সঙ্গে সঙ্গমে লিপ্ত হতে চেয়েছিল যুবক। কিন্তু তাতে আপত্তি জানায় কিশোরী।‌ এরপরেই কিশোরীকে ধর্ষণ করে সে। তারপর শ্বাসরোধ করে খুন করে পালিয়ে যায়। সঙ্গে সঙ্গে বাড়ি ছেড়ে কাছের একটি জঙ্গলে গিয়ে গা ঢাকা দিয়েছিল। বাড়িতে ফিরেই মেয়ের নিথর শরীর দেখে আঁতকে ওঠেন বাবা, মা। দ্রুত থানায় অভিযোগ জানানো হয়। যুবকের বিরুদ্ধে অভিযোগ জানান কিশোরীর মা। অভিযোগের ভিত্তিতে কয়েক ঘণ্টার মধ্যেই যুবককে গ্রেপ্তার করে পুলিশ। বর্তমানে সে পুলিশি হেফাজতে রয়েছে। অন্যদিকে কিশোরীর দেহটি ময়নাতদন্তের জন্য পাঠানো হয়েছে।