আজকাল ওয়েবডেস্ক: এ যেন ঠিক প্রলয়ের শঙ্খ নিনাদ। যে মরু রাজ্যে এক ফোঁটা জলের জন্য হন্যে হয়ে ঘোরেন তৃষ্ণার্ত মানুষ সেখানেই মুষলধারে চলেছে বৃষ্টি। সেই বৃষ্টির অভিঘাত এমনই চরম যে শত শত বছর ধরে দাঁড়িয়ে থাকা দুর্গ ভেঙে পড়ছে খড়কুটোর মতো। যেন পলকা মাটির বাড়ি। অবিশ্বাস্য শোনালেও এমনই ঘটনা ঘটল রাজস্থানের জয়পুরে। মরু রাজ্যের বিখ্যাত দুর্গ আমের ফোর্ট-এর দেওয়াল খসে পড়ল প্রবল বৃষ্টিতে।

স্থানীয় প্রশাসন সূত্রে খবর, জলের তোড়ে আমের দুর্গের প্রায় ২০০ ফুট দীর্ঘ প্রাচীর ভেঙে পড়েছে। হাজারো যুদ্ধের সাক্ষী সেই ঐতিহাসিক দেওয়ালের ভেঙে পড়ার দৃশ্য ধরা পড়েছে ক্যামেরায়। রাজস্থানের মতো মরুরাজ্যে প্রকৃতির এহেন তাণ্ডবলীলা দেখে তাজ্জব পরিবেশবিদরাও। রাজস্থান সরকারের পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে শুধু জয়পুর নয়, ভারী থেকে অতি ভারী বৃষ্টিতে বিপর্যস্ত গোটা রাজস্থানের বিস্তীর্ণ অঞ্চল। একাধিক স্থানে বন্যা পরিস্থিতি তৈরি হয়েছে। 

আরও পড়ুন: বাসন না মেজে তাতে প্রস্রাব করছেন পরিচারিকা! ধরা পড়তেই হুলুস্থুল

সবচেয়ে বেশি ক্ষতি হয়েছে কোটা, সওয়াই মাধোপুর বুন্দি এবং টংক অঞ্চলে। জলমগ্ন হয়ে পড়েছে অধিকাংশ নিচু অঞ্চল। রাস্তা এবং রেল যোগাযোগ বিচ্ছিন্ন হয়ে যাওয়ার ফলে বহু প্রান্তিক গ্রামের সঙ্গে যোগাযোগ করা যাচ্ছে না।

আরও পড়ুন: হেলমেট নেই মাথায়, বেপরোয়া বাইকের ট্যাঙ্কে বসে প্রেমিককে জড়িয়ে রোম্যান্স যুবতীর, ভিডিও দেখতেই মাথায় হাত

ইতিমধ্যেই উদ্ধারকার্যে নেমেছে সেনা বাহিনী এবং জাতীয় বিপর্যয় মোকাবিলা দল এনডিআরএফ-এ সদস্যরা। কোটায় ইতিমধ্যেই ত্রাণ পৌঁছে দেওয়ার ব্যবস্থা শুরু হয়েছে। রাজ্যের অন্যান্য বিপর্যস্ত অঞ্চলে রওনা দিয়েছে রাজ্য বিপর্যয় মোকাবেলা পর্ষদের বাহিনী। বন্যা পরিস্থিতি সরজমিনে খতিয়ে দেখতে আগামীকাল রাজ্য বিপর্যয় মোকাবিলা মন্ত্রী ক্ষীরোধী মিনার সঙ্গে বিপর্যস্ত অঞ্চলগুলি পর্যবেক্ষণ করবেন লোকসভার স্পিকার ওম বিড়লা।

আরও পড়ুন: ছুরি দিয়ে খুন করে তাতেই কেক কাটলেন! বোন কে হেনস্থার হাড়হিম বদলা ভাইয়ের, জানলে শিউরে উঠবেন 

এমন পরিস্থিতির শেষ কবে দেখা গিয়েছে নিশ্চিত করে বলতে পারছে না রাজ্য আবহাওয়া দপ্তরও। রাজস্থানের আবহাওয়া দপ্তর থেকে জানানো হয়েছে কেবলমাত্র বুন্দিতে গত একদিনে ৫০০ মিলিমিটারেরও বেশি বৃষ্টি হয়েছে। শনিবার সকালেও রাজ্যের বিস্তীর্ণ অঞ্চল জুড়ে ১০ সেন্টিমিটারের বেশি বৃষ্টি হয়েছে বলে খবর। ফলত এই অবস্থায় রাজ্যের বিভিন্ন ঐতিহাসিক স্থাপত্যের অবস্থা কী হবে, তা নিয়ে চিন্তা ক্রমশাই বাড়ছে রাজস্থান প্রশাসনের।