আজকাল ওয়েবডেস্ক: আহমেদাবাদের মেঘানিনগরে ২৪২ জন যাত্রী নিয়ে বৃহস্পতিবার দুপুরে ভেঙে পড়ে এয়ার ইন্ডিয়ার এআই১৭১ বিমান। যেটি বোয়িং ৭৮৭-৮ ড্রিমলাইনার ছিল। বিমানের যাত্রীদের মধ্যে মাত্র এক জন আশ্চর্যরকম ভাবে বেঁচে গিয়েছেন। বাকি সকলেরই মৃত্যু হয়েছে। এটি ভারতের সবচেয়ে ব্যয়বহুল বিমান ইনস্যুরেন্স ক্লেইমে পরিণত হতে পারে। যা ২১১ মিলিয়ন থেকে ২৮০ মিলিয়ন ডলারের মধ্যে হতে পারে। ভারতীয় মুদ্রায় প্রায় ২,৪০০ কোটি টাকা।

এয়ার ইন্ডিয়ার বোয়িং ৭৮৭ ড্রিমলাইনার বৃহস্পতিবার লন্ডনের গ্যাটউইক বিমানবন্দরের উদ্দেশে রওনা দেওয়ার খানিকক্ষণের মধ্যেই ভেঙে পড়ে। যাত্রীদের মধ্যে ১৬৯ জন ভারতীয়, ৫৩ ব্রিটিশ নাগরিক, সাত জন পর্তুগিজ নাগরিক এবং একজন কানাডার নাগরিক ছিলেন। মাত্র একজন ভারতীয় বেঁচে গিয়েছেন গতকালের দুর্ঘটনায়।

জেনারেল ইন্স্যুরেন্স কর্পোরেশন অফ ইন্ডিয়া (জিআইসি)-এর চেয়ারম্যান রামাস্বামী নারায়ণন জানিয়েছেন, একটি বিমান সংস্থার ফ্লিট বীমা পলিসি সাধারণত বিমানের কাঠামো, যন্ত্রাংশ এবং যাত্রী এবং তৃতীয় পক্ষের প্রতি দায়বদ্ধতার মতো ঝুঁকি কভার করে থাকে।

ড্রিমলাইনার দুর্ঘটনার ক্ষেত্রে, হাল এবং দায় উভয় বিভাগের অধীনে পড়তে পারে বলে আশা করা হচ্ছে। কারণ, দুর্ঘটনার পর বোয়িংটি আগুনের গোলায় পরিণত হয়েছিল এবং শত শত লোকের মৃত্যু হয়েছে। হাউডেন ইন্ডিয়ার সিইও এবং এমডি অমিত আগরওয়াল জানিয়েছেন, বিমানটির বয়স, কনফিগারেশন এবং অন্যান্য কারণের উপর নির্ভর করে মূল্যায়ন করা হবে। যা ২১১ মিলিয়ন থেকে ২৮০ মিলিয়ন ডলারের মধ্যে হতে পারে।

দুর্ঘটনায় জড়িত ড্রিমলাইনার (VT-ABN)টি ২০১৩ সালের মডেল। ২০২১ সালে সেটির প্রায় ১১৫ মিলিয়ন ডলারের বীমা করা হয়েছিল। যাত্রীদের জন্য ক্ষতিপূরণ ১৯৯৯ সালের মন্টরিয়াল কনভেনশনের আওতায় আসবে। যা ২০০৯ সালে ভারত স্বাক্ষর করে। সেই অনুযায়ী ক্ষতিপূরণের পরিমাণ হবে প্রায় ১,৭১,০০০ ডলার বা ১.৪৭ কোটি টাকা। অতিরিক্তভাবে, দুর্ঘটনাস্থলে তৃতীয় পক্ষের সম্পত্তির ক্ষতির দায় এবং প্রাণহানির পরিমাণও গণনা করা হবে। বৃহস্পতিবার টাটা গ্রুপ বিমান দুর্ঘটনায় নিহত প্রতিটি ব্যক্তির পরিবারকে ১ কোটি টাকা ক্ষতিপূরণ দেওয়ার ঘোষণা করেছে।