আজকাল ওয়েবডেস্ক: গত ৪ জুন বেঙ্গালুরুতে মর্মান্তিক পদপিষ্টের ঘটনায় ১১ জনের মৃত্যু ও ৬০ জনেরও বেশি আহত হওয়ার ঘটনার পর এবার কড়া পদক্ষেপ নিল কর্ণাটক সরকার। জনসমাগমের সময় আইনশৃঙ্খলা নিয়ন্ত্রণে রাখতে নতুন এক আইনের খসড়া তৈরি করা হয়েছে। ‘কর্ণাটক ক্রাউড কন্ট্রোল বিল, ২০২৫’ নামক এই বিলটি বুধবার রাজ্য মন্ত্রিসভায় আলোচনার জন্য তোলা হয়। বিলটি আগামী মন্ত্রিসভা বৈঠকে পাশ হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে। এই প্রস্তাবিত আইনে বলা হয়েছে, কোনও স্পনসর্ড ইভেন্ট বা বৃহৎ জনসমাগমে আইন অমান্য করলে সর্বোচ্চ তিন বছর পর্যন্ত জেল ও ৫০০০ টাকা জরিমানা হতে পারে।
এই বিলের আওতায় রাজনৈতিক সভা, সম্মেলন এবং বাণিজ্যিক ইভেন্ট যেমন ম্যাচ, সার্কাস, বা বিনোদনমূলক অনুষ্ঠান সবই রয়েছে। তবে ধর্মীয় ও ঐতিহ্যবাহী উৎসব, যেমন রথোৎসব, পল্লকী উৎসব, তেপ্পোৎসব (নৌকা উৎসব), উরুস বা অন্যান্য ধর্মীয় অনুষ্ঠান এই আইনের বাইরে রাখা হয়েছে। আইনে স্পষ্ট বলা হয়েছে আয়োজকরা পুলিশ অনুমতি না নিয়ে অনুষ্ঠান করলে বা জনসমাগম নিয়ন্ত্রণে ব্যর্থ হলে তাঁদের বিরুদ্ধে তিন বছর পর্যন্ত জেল বা ৫ লক্ষ টাকা পর্যন্ত জরিমানা হতে পারে। যদি কোনও অনিয়মের কারণে মৃত্যু বা গুরুতর আঘাতের ঘটনা ঘটে, তবে তা শাস্তিযোগ্য অপরাধ হিসেবে গণ্য হবে।
এই আইনের অধীনে সমস্ত অপরাধ জামিন অযোগ্য এবং প্রথম শ্রেণির ম্যাজিস্ট্রেটের অধীনে বিচারযোগ্য হবে। কর্ণাটক সরকারের তরফে এই পদক্ষেপ নেওয়া হল ৪ জুনের ঘটনার পর। আইপিএল জয়ের পর রয়্যাল চ্যালেঞ্জার্স বেঙ্গালুরুর সেলিব্রেশন অনুষ্ঠানে প্রচণ্ড ভিড়ের ফলে পদপিষ্ট হয়ে মৃত্যু হয় ১১ জনের। আহত হন ৬০ জনেরও বেশি। এই ঘটনার পর মুখ্যমন্ত্রী সিদ্ধারামাইয়া এবং উপ-মুখ্যমন্ত্রী ডিকে শিবকুমার সহ কর্ণাটক সরকারকে অভিযোগে প্রবল সমালোচনার মুখে পড়তে হয়। জনগণের নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে এবং ভবিষ্যতে এমন ঘটনা এড়াতে এই নতুন আইন কর্ণাটকে এক বড় পদক্ষেপ বলে মনে করছেন বিশেষজ্ঞরা।
