আজকাল ওয়েবডেস্ক: আয়বহির্ভূত সম্পত্তির অভিযোগ উঠল তেলঙ্গানার এক সরকারি ইঞ্জিনিয়ারের বিরুদ্ধে। অভিযুক্ত ব্যক্তির নাম নিকেশ কুমার। তিনি রাজ্য সেচ দপ্তরের সহকারী ইঞ্জিনিয়ার। এক লক্ষ টাকা ঘুষ নিতে গিয়ে হাতেনাতে ধরা পড়েন নিকেশ। তার পরেই তাঁর বিরুদ্ধে তদন্তে নামে রাজ্যের দুর্নীতিদমন শাখা (এসিবি)। নিকেশের বিরুদ্ধে অভিযোগ, বিভিন্ন সংস্থা, ব্যক্তি এবং ব্যবসায়ী বিভিন্ন সময়ে মোটা অঙ্কের ঘুষের বিনিময়ে নির্মানকাজে ছাড়পত্র জোগাড় করে দিয়েছেন।
শনিবার নিকেশের বাড়িতে তল্লাশি অভিযানে যান এসিবির আধিকারিকেরা। অভিযানে গিয়ে স্তম্ভিত হয়ে যান এসিবি কর্তারা। তদন্তকারী এক আধিকারিক জানিয়েছেন, নিকেশের বাড়ি থেকে নগদ টাকা উদ্ধার হয়েছে। এ ছাড়াও সম্পত্তির বেশ কিছু গুরুত্বপূর্ণ নথি উদ্ধার হয়েছে।
নিকেশের বাড়ি হায়দরাবাদে ছাড়াও সাঙ্গারেড্ডি, রঙ্গারেড্ডি জেলার ২০টি জায়াগায় তল্লাশি চালিয়ে নিকেশের আরও সম্পত্তির হদিস মেলে। এর মধ্যে রয়েছে মইনাবাদে তিনটি ফার্মহাউস এবং কল্লুরে ১৫ একর চাষের জমি। এ ছাড়াও বেশ কয়েকটি বসতবাড়িরও খোঁজ মিলেছে। হায়দরাবাদে নিকেশের বাড়ি ও তাঁর আত্মীয়ের প্রতিবেশীরা এসিবি কর্তাদের জানান, তাঁর বেনামে বেশ কয়েকটি সম্পত্তি রয়েছে। এর মধ্যে পাঁচটি বাড়ি বানানোর জমি, দুটি ব্যবসার জন্য ব্যবহারযোগ্য জমি এবং চাষের জমি। যার মোট মূল্য প্রায় ১৮ কোটি।
এসিবি সূত্রে খবর, সব মিলিয়ে নিকেশের সম্পত্তি ১৫০ কোটিরও বেশি। এ ছাড়াও তাঁর স্থায়ী আমানত রয়েছে বেশ কয়েকটি। প্রাথমিক ভাবে তদন্তকারীরা জনিয়েছেন, ১৫০ কোটির মতো সম্পত্তির হদিস পাওয়া গিয়েছে। তবে এই সম্পত্তির পরিমাণ আরও বেশি হতে পারে। নিকেশকে জিজ্ঞাসাবাদ করা হচ্ছে। কোথায় কত সম্পত্তি রয়েছে, বেনামে কোনও সম্পত্তি আছে কি না, তা-ও জানার চেষ্টা চলছে।
