আজকাল ওয়েবডেস্ক: ফাঁকা বাড়িতে বাবার যৌন লালসার শিকার সৎ মেয়ে। বড়দিনের আবহে যখন সবাই উদযাপনে মেতেছিলেন, ঠিক তখনই সৎ মেয়েকে ধর্ষণ করেন এক যুবক। অবশেষে থানায় অভিযোগ দায়ের করেছেন নির্যাতিতার মা। গ্রেপ্তার করা হয়েছে যুবককে।

সর্বভারতীয় সংবাদমাধ্যম সূত্রে জানা গেছে, ঘটনাটি ঘটেছে উত্তরপ্রদেশে। পুলিশ জানিয়েছে, নাবালিকা সৎ মেয়েকে ধর্ষণের অভিযোগে ৩৫ বছরের এক যুবককে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। ঘটনাটি ঘটেছে ২৫ ডিসেম্বর সন্ত কবীর নগরে। 

পুলিশ আরও জানিয়েছে, ঘটনার দিন ১৩ বছরের নাবালিকা বাড়িতে একাই ছিল। পুলিশ আধিকারিক সাহিল কুমার সিং জানিয়েছেন, পঞ্চম শ্রেণির ছাত্রীকে ধর্ষণের অভিযোগটি থানায় দায়ের করেন তার মা। ধর্ষণের অভিযোগ জানিয়েছেন তাঁর দ্বিতীয় স্বামীর বিরুদ্ধে। রবিবার অভিযুক্ত যুবককে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। 

ধর্ষণের ঘটনাটি ওই ছাত্রী প্রথমে স্কুলের এক শিক্ষিকাকে জানিয়েছিল। এরপর তার মা জানতে পারেন। অভিযুক্ত যুবকের বিরুদ্ধে ভারতীয় ন্যায় সংহিতার একাধিক ধারায় এবং পকসো ধারায় মামলা রুজু করা হয়েছে। তাঁকে হেফাজতে নিয়ে জিজ্ঞাসাবাদ শুরু করেছে পুলিশ। 

চলতি বছরে জুলাই মাসে এমন আরেকটি ঘটনা ঘটেছিল। ১৫ বছর বয়সেই অন্তঃসত্ত্বা এক কিশোরী। দিনের পর দিন লাগাতর ধর্ষণের শিকার সে। অবশেষে মায়ের কাছে এবং থানায় পৌঁছে সৎ বাবার বিরুদ্ধে গুরুতর অভিযোগ করল সে। কিশোরী জানাল, সৎ বাবা বারবার ধর্ষণ করার জেরেই অন্তঃসত্ত্বা সে। 

সর্বভারতীয় সংবাদমাধ্যম সূত্রে জানা গেছে, ঘটনাটি ঘটেছে মেঘালয়ে। পুলিশ জানিয়েছে, ১৫ বছরের কিশোরী প্রথমে তার মাকে জানিয়েছিল, সে অন্তঃসত্ত্বা। এও জানিয়েছিল, ফাঁকা বাড়িতে মায়ের অবর্তমানে সৎ বাবা প্রায়ই নির্যাতন করতেন তাকে। যৌন হেনস্থা থেকে শুরু করে ধর্ষণ করেছে একাধিকবার। বিষয়টি ফাঁস করলে খুনের হুমকিও দিত। 

মাকে সঙ্গে নিয়ে থানায় পৌঁছয় কিশোরী। তার অভিযোগের ভিত্তিতে হাসপাতালে নিয়ে গিয়ে প্রেগনেন্সি পরীক্ষা করা হয়। পরীক্ষার রিপোর্ট পজেটিভ আসে। ধর্ষণের বিষয়টি জানাজানি হতেই অভিযুক্ত যুবক গ্রাম থেকে পালিয়ে যান। তার খোঁজে তল্লাশি অভিযান শুরু করে পুলিশ। 

পুলিশ জানিয়েছে, মঙ্গলবার রি ভোই জেলা থেকে অভিযুক্ত যুবককে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। পাশাপাশি কিশোরীর মেডিক্যাল টেস্ট করা হয়েছে। পরীক্ষার পর ধর্ষণের অভিযোগটিও সত্যি প্রমাণিত হয়েছে। অভিযুক্তের বিরুদ্ধে পকসো ধারায় মামলা রুজু করা হয়েছে। ঘটনার তদন্ত জারি রয়েছে।