আজকাল ওয়েবডেস্ক: প্রতিবেশী দাদার যৌন লালসার শিকার চার বছরের শিশুকন্যা। মত্ত অবস্থায় শিশুকন্যাকে ফাঁকা ঘরে বন্দি করে ধর্ষণ করার অভিযোগে গ্রেপ্তার করা হয়েছে তাকে। যে ঘটনায় আবারও চাঞ্চল্য ছড়িয়েছে দিল্লিতে।
সর্বভারতীয় সংবাদমাধ্যম সূত্রে জানা গেছে, ঘটনাটি ঘটেছে দিল্লিতে। শনিবার পুলিশ জানিয়েছে, দিল্লির বাওয়ানা এলাকায় ঘটনাটি ঘটেছে। চার বছর বয়সি এক শিশুকন্যাকে যৌন নির্যাতনের অভিযোগে ২৫ বছর বয়সি এক তরুণকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। ঘটনার সময় অভিযুক্ত তরুণ মত্ত অবস্থায় ছিল।
পুলিশ আরও জানিয়েছে, অভিযুক্তের নাম, রিজওয়ান। সে বাওয়ানা এলাকার বাসিন্দা। যৌন নির্যাতনের ঘটনার কয়েক ঘণ্টা পরেই তাকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। দীর্ঘ জেরায় পুলিশের কাছে স্বীকার করেছে, শিশুকন্যাকে সে যৌন হেনস্থা করেছে। মদ্যপান করার পরেই যৌন নির্যাতনের ঘটনা সে ঘটিয়েছে। বর্তমানে পুলিশি হেফাজতে রয়েছে অভিযুক্ত তরুণ।
পুলিশ জানিয়েছে, ৩ ডিসেম্বর বিকেলে ঘটনাটি ঘিরে থানায় ফোন করে জানানো হয়। ঘটনাস্থলে পৌঁছেই পুলিশ দেখে, চার বছরের ওই শিশুকন্যা অঝোরে কাঁদছে। তার গোপনাঙ্গ রক্তাক্ত অবস্থায় ছিল। প্রথমেই স্থানীয় এক হাসপাতালে তাকে নিয়ে যাওয়া হয়। সেখানে পরীক্ষানিরীক্ষার পর জানা যায়, শিশুকন্যা ধর্ষণের শিকার। এরপর তাকে অন্যত্র চিকিৎসার জন্য স্থানান্তরিত করা হয়েছে।
প্রাথমিক তদন্তের পর পুলিশ জানিয়েছে, মত্ত অবস্থায় শিশুকন্যাকে ফাঁকা ঘরে নিয়ে গিয়েছিল তরুণ। এরপর দরজা বন্ধ করেই চলে নির্মম যৌন নির্যাতন। ক্রাইম ও ফরেন্সিক টিম ইতিমধ্যেই ঘটনাস্থল পরিদর্শন করে নমুনা সংগ্রহ করেছে। ভারতীয় ন্যায় সংহিতার ও পকসো ধারায় মামলা রুজু করেছে পুলিশ। ঘটনাটি ঘিরে তদন্ত চলছে।
গত সপ্তাহে আরও এক ধর্ষণের ঘটনা ঘটেছিল। মাসির বিয়েতে হুল্লোড়ের মাঝেই সর্বনাশ খুদে ভাইঝির। বিয়েবাড়িতে যৌন লালসার শিকার সে। বর্তমানে মৃত্যুর সঙ্গে পাঞ্জা লড়ছেন হাসপাতালে। হাড়হিম কাণ্ড খাস যোগীরাজ্যে।
সর্বভারতীয় সংবাদমাধ্যম সূত্রে জানা গেছে, ঘটনাটি ঘটেছে উত্তরপ্রদেশের লখিমপুর খেরিতে। পুলিশ সূত্রে জানা গেছে, বিয়েবাড়ির মধ্যে ধর্ষণের শিকার হয়েছে তিন বছরের এক খুদে। অভিযুক্তকে নির্যাতিতার আত্মীয়রাই আটক করে পুলিশের হাতে তুলে দিয়েছে। অভিযুক্তের বিরুদ্ধে মামলা রুজু করে তদন্ত শুরু করেছে পুলিশ। বর্তমানে জেল হেফাজতে রয়েছে অভিযুক্ত যুবক। অন্যদিকে জেলা হাসপাতালে চিকিৎসাধীন রয়েছে ওই নির্যাতিতা।
পুলিশ আরও জানিয়েছে, ঘটনাটি ঘটেছে শুক্রবার। সেদিন বিয়েবাড়িতে পৌঁছয় বরযাত্রীরা। শোভাযাত্রা বিয়েবাড়িতে পৌঁছতেই নিমন্ত্রিতদের আপ্যায়নে ব্যস্ত হয়ে পড়েন বাড়ির সদস্যরা। সেই সময় পাত্রীর ভাইঝির উঠোনে আরও কয়েকজন শিশুর সঙ্গে খেলাধুলা করছিল। আচমকা ওই গ্রামের ৩৬ বছরের এক যুবক তিন বছরের শিশুটিকে কোলে নিয়ে উধাও হয়ে যায়।
কিছুক্ষণ পরেই সকলে টের পান, খুদে নিখোঁজ। তার খোঁজে তল্লাশি চালাতে শুরু করেন সকলে। আতঙ্কে চেঁচামেচিও শুরু হয়। প্রায় দু'ঘণ্টা পর খুদেকে নিয়ে সেই বিয়েবাড়ি থেকে ৩০০ মিটার দূরে অভিযুক্ত যুবককে দেখা যায়। সেই সময় খুদে অচৈতন্য অবস্থায় ছিল। তার জামায় ছিল রক্তের দাগ।
তড়িঘড়ি করে পুলিশে খবর পাঠায় পরিবার। ঘটনাস্থলে পৌঁছে অভিযুক্ত যুবককে গ্রেপ্তার করে তারা। অন্যদিকে নির্যাতিতা শিশুকন্যার শারীরিক অবস্থার অবনতি হতেই লখনউয়ের হাসপাতালে স্থানান্তরিত করা হয়েছে তাকে।
