আজকাল ওয়েবডেস্ক: তাপপ্রবাহ থেকে রেহাই পাওয়া গিয়েছিল কিছুক্ষণের জন্য। স্বস্তির বৃষ্টিতে খুশিও ছিলেন সকলে। এরপরই আবহাওয়ার বিরাট রূপবদল। বজ্রপাত ও শিলাবৃষ্টিতে রীতিমতো বিপর্যস্ত বিহার। একনাগাড়ে শিলাবৃষ্টি ও বজ্রপাতের জেরে মৃত্যুমিছিল রাজ্য জুড়ে। পাশাপাশি শস্যেরও ব্যাপক ক্ষতি হয়েছে।
সর্বভারতীয় সংবাদমাধ্যম সূত্রে জানা গেছে, ৮ এপ্রিল থেকে বিহারের আবহাওয়া বদলে যায়। তুমুল বৃষ্টি, শিলাবৃষ্টি, বজ্রপাতের জেরে একাধিক জেলা ব্যাপক ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। গত ৪৮ ঘণ্টায় ১৯ জনের মৃত্যু হয়েছে। এর মধ্যে বেগুসরাইয়ের পাঁচজন, দরভাঙ্গার পাঁচজন, মধুবনির তিনজন, সমস্তিপুর ও সহরসায় দু'জন করে এবং গয়া ও লক্ষ্মীসরাইয়ে একজন করে মোট দু'জনের মৃত্যু হয়েছে।
স্থানীয় কৃষকরা জানিয়েছেন, শিলাবৃষ্টির জন্য রবি শস্যের মারাত্মক ক্ষতি হয়েছে। পাশাপাশি আম, লিচুর ক্ষতি হয়েছে চম্পারন, মধুবনি, মুজাফফরনগর, দরভাঙ্গা, সীতামারহিতে। বিহারের মুখ্যমন্ত্রী নীতীশ কুমার ইতিমধ্যেই এ ঘটনায় দুঃখপ্রকাশ করেছেন। মৃতদের পরিবার পিছু চার লক্ষ টাকা আর্থিক ক্ষতিপূরণ ঘোষণা করেছেন তিনি।
মৌসম ভবন জানিয়েছে, ১২ এপ্রিল পর্যন্ত বিহারে দুর্যোগপূর্ণ আবহাওয়া জারি থাকবে। বজ্রবিদ্যুৎ সহ বৃষ্টির পাশাপাশি শিলাবৃষ্টি ও ঝোড়ো হাওয়ার দাপটে সতর্কতা জারি রয়েছে একাধিক জেলায়। পশ্চিম-মধ্য বঙ্গোপসাগরে নিম্নচাপের জেরেই বিহারে দুর্যোগের ঘনঘটা। যার জন্য আগামী পাঁচদিনের জন্য সতর্কতা জারি করা হয়েছে। গোপালগঞ্জ, সিয়ান, সরন, মুজাফফরনগর, বৈশালী, মাধেপুরা, ভাগলপুর, শেখপুরা, পাটনা, নালন্দা, গয়ায় আরও বিপর্যয়ের আশঙ্কা রয়েছে।
