আজকাল ওয়েবডেস্ক: বাড়ির দৈর্ঘ্য ১২৫ ফুট, প্রস্থ সামনের দিক থেকে ২০ ফুট হলেও পিছনের দিক থেকে মাত্র ৩ ফুট! বিহারের খাগারিয়া পৌর পরিষদ এলাকার ৫ নম্বর ওয়ার্ড কুতুবপুরের এই বাড়ি যেন চূড়ান্ত চমক। বাড়িটির অদ্ভুত নির্মাণ ঘিরে ঝড় উঠেছে সোশাল মিডিয়ায়। 

কুতুবপুরের এই অনন্য বাড়িটি সুনীল কুমারের। সুনীলের নুড়ি, বালি এবং সিমেন্ট ব্যবসা রয়েছে। ২০১৬ সালে চমকভরা এই বাড়ির নকশা খাগারিয়া র‍্যাঙ্কোর ইঞ্জিনিয়ার নীরজ কুমার তৈরি করেছিলেন। নীরজ জানান যে, জমির আকার মাথায় রেখে তিনি একটি বিশেষ নকশা তৈরি করেছিলেন, যা বানাতে তাঁর ১০ থেকে ১৫ দিন সময় লেগেছিল। 

শুধুমাত্র নীচতলা নির্মাণে প্রায় ৫ থেকে ৬ মাস সময় লেগেছিল এবং এই সময়ের মধ্যে প্রায় ১২০০ শ্রমিক কাজ করেছিলেন। বাড়ির নীচতলায় আনুমানিক ৩০ থেকে ৩৫ লক্ষ টাকা খরচ হয়েছে। এতে ১০x১২ ফুটের একটি শোবার ঘর, ৩x৪ ফুটের শৌচাগার এবং ৬x৭ ফুটের রান্নাঘর রয়েছে। এই বাড়িটিদেখতে অভিনব, লতার সঙ্গেই বাড়ির ঘরগুলি বাতাসযুক্ত এবং ভূমিকম্প প্রতিরোধী বলেও জানা গিয়েছে।

 

?ref_src=twsrc%5Etfw">July 4, 2025

সুনীল কুমার জানিয়েছেন, তিনি এই বাড়িটি বাধ্যবাধকতা থেকে নয়, বরং শখের বশে তৈরি করেছেন। তাঁর দাবি, জমির আকারের কথা মাথায় রেখে তিনি ভিন্ন এবং অনন্য কিছু করার কথা ভেবেছিলেন। আপাতত সুনীল কুমারের পুরো পরিবার- মা প্রমিলা দেবী, স্ত্রী পিঙ্কি দেবী এবং সন্তানরা এই বাড়িতে সুখে বসবাস করছে। 

সুনীলরা তিন ভাই। তাঁর পরিবারের সদস্য সংখ্যা আট সজন। প্রত্যেকেই এই বাড়িতে শান্তিতে মিলেমিশে বসবাস করছে। বাড়ির অনন্য কাঠামো, মজবুত নির্মাণ এবং আকর্ষণীয় নকশা এখন এটিকে খাগরিয়ার একটি প্রধান আকর্ষণ করে তুলেছে।