আজকাল ওয়েবডেস্ক: জনসংখ্যা বাড়ছে লাফিয়ে কিন্তু যৌনস্বাস্থ্য নিয়ে সচেতনতা বাড়ছে না সেই তুলনায়। সুরক্ষিত যৌন সম্পর্ক স্থাপন করা তো দূর, কনডোম ব্যবহার করতেই অনিহা নতুন প্রজন্মের। কমছে সঙ্গমের সময় কনডোম ব্যবহারের প্রবণতাও। অন্তত এমনটাই জানা গিয়েছে কনডোম প্রস্তুতকারক সংস্থা ‘ডিউরেক্স’-এর করা সাম্প্রতিক এক সমীক্ষায়।
আরও পড়ুন: প্রকাণ্ড করতে গিয়েছিলেন লিঙ্গ, ফস করে পুরোটাই কেটে ফেললেন চিকিৎসক! মাথায় হাত রোগীর

শুধু কনডোম নির্মাণ নয়, নানা সময় বিভিন্ন যৌন সচেতনতামূলক প্রচার চালানো হয় এই সংস্থার পক্ষ থেকে। উৎসাহ দেওয়া হয় সুরক্ষিত যৌন জীবন বজায় রাখতেও। সেই সূত্রেই সম্প্রতি ব্রিটেনে করা হয় একটি  সমীক্ষা। এই সমীক্ষায় জানা গিয়েছে বর্তমানে ব্রিটেনে মাত্র ১৫ শতাংশ মানুষ যৌন মিলনের সময় কনডোম ব্যবহার করছেন। আর এই পরিসংখ্যান শোনা মাত্রই চোখ কপালে উঠেছে যৌন রোগ বিশেষজ্ঞদের। চিকিৎসকরা বারবার সতর্ক করে আসছেন, শুধুমাত্র অপ্রত্যাশিত গর্ভাবস্থায় প্রতিরোধ নয়, যৌনরোগ ঠেকাতেও সঙ্গমের সময় কনডোম ব্যবহার করা অত্যন্ত জরুরি। পাশাপাশি কনডোম ব্যবহার করার অভিজ্ঞতাকে যাতে আরও মধুময় করা যায় তার জন্য বিভিন্ন সময় বিভিন্ন ধরনের আলাদা আলাদা কনডোম বাজারে আনে সংস্থাটি। কখনও বিভিন্ন স্বাদের, কখনও বা বিভিন্ন গড়নের। কিন্তু তাতেও নাকি কাজ হচ্ছে না। কনডোম ব্যবহারে আগ্রহ হারাচ্ছে নতুন প্রজন্ম।

চিন্তার বিষয়, এই সমস্যা শুধু ব্রিটেনের ঘটনা নয় - বরং বিশ্বব্যাপী বাড়ছে এই প্রবণতা। ২০২৪ সালের অগাস্টে, বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা (হু) তরুণ-তরুণীদের মধ্যে কনডোম ব্যবহার না করার প্রবণতা সম্পর্কে সতর্কবার্তা জারি করেছে। ৪২টি দেশের কিশোর-কিশোরীদের উপর করা বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার সমীক্ষা অনুসারে, নাবালক-নাবালিকাদের মধ্যে নিরোধ ব্যবহার না করার প্রবণতা খুবই বেশি। ১৫ বছর বয়সি প্রায় এক তৃতীয়াংশ কিশোর-কিশোরী শেষবার যৌনসঙ্গমের সময় কনডোম বা গর্ভনিরোধক পিল কোনওটিই ব্যবহার করেনি বলে জানা গিয়েছে এই সমীক্ষায়। একেই প্রাপ্তবয়স্ক হওয়ার আগে সঙ্গম করা বিপজ্জনক হতে পারে। তার উপর যদি কনডোম না ব্যবহার করা হয় তাহলে অকালেই অন্তঃসত্ত্বা হয়ে পড়তে পারে নাবালিকারা। বিপর্যয় নেমে আসতে পারে নাবালিকা এবং গর্ভস্থ সন্তান উভয়ের ক্ষেত্রেই।
আরও পড়ুন: প্রকাণ্ড করতে গিয়েছিলেন লিঙ্গ, ফস করে পুরোটাই কেটে ফেললেন চিকিৎসক! মাথায় হাত রোগীর

সমীক্ষায় ফলাফল দেখে রীতিমতো আতঙ্কে ভুগছেন যৌনস্বাস্থ্য নিয়ে সচেতনতামূলক প্রচার চালানো বিভিন্ন সংগঠন। ইংল্যান্ডের স্বাস্থ্য নিয়ামক সংস্থা এনএইচএস-এর পক্ষ থেকে জনসাধারণকে সতর্ক করে জানানো হয়েছে, কনডোম কেবল গর্ভনিরোধক নয়। কনডোম এসটিআই বা সেক্সুয়ালি ট্রান্সমিটেড ডিজিজ তথা সংক্রামক যৌন রোগ থেকে রক্ষা পাওয়ার সবচেয়ে কার্যকর উপায়। প্রসঙ্গত, এডস, গনোরিয়া, হেপাটাইটিসের মতো একাধিক মারণরোগ দেহ তরলের বিনিময়ের মাধ্যমেই সংক্রমিত হয়। দেহ তরলের বিনিময় রোধ করার একমাত্র উপায় সঙ্গমের সময় কনডোম ব্যবহার করা। তাই এই সমস্যা কেবল ইংল্যান্ডের সমস্যা নয়। গোটা বিশ্বেই বাড়ানো দরকার কনডোমের ব্যবহার।
আরও পড়ুন: প্রকাণ্ড করতে গিয়েছিলেন লিঙ্গ, ফস করে পুরোটাই কেটে ফেললেন চিকিৎসক! মাথায় হাত রোগীর

কিন্তু কেন কনডোম কিনতে চাইছেন না এতো বড় সংখ্যক মানুষ? সমীক্ষায় জানা গিয়েছে, সবচেয়ে বড় কারন লজ্জা। বিশেষ করে তরুণ প্রজন্মের কেউ যখনই কনডোম কিনতে যান তাঁদের অন্য নজরে দেখেন আশপাশের মানুষ। প্রশ্ন তোলা হয় তাঁদের চরিত্র নিয়েও। আর এতেই কনডোমের প্রতি বিমুখ হচ্ছেন অনেকে।