আজকাল ওয়েবডেস্ক: আজ বিশ্ব তামাক বিরোধী দিবস। তামাক নয়, বেছে নিন জীবন—এই বার্তাই বারবার দিতে চায় এই দিন। কিন্তু পরিসংখ্যান বলছে, সতর্কবার্তা চোখে পড়লেও, ফুসফুসের ভিতরে তার ধোঁয়া ছড়াতেই থাকে। বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার মতে, প্রতি বছর প্রায় ৮০ লক্ষ মানুষ তামাকজনিত রোগে প্রাণ হারান। এদের মধ্যে ১৩ লক্ষেরও বেশি মানুষ নিজে না খেলেও, পরোক্ষ ধূমপানের শিকার। তামাকের ব্যবহার শুধু ব্যক্তিস্বাস্থ্যের ক্ষতি করে না, গোটা সমাজ ও অর্থনীতির উপর ফেলে মারাত্মক প্রভাব।
১. ফুসফুস নয়, যেন আগুনে পোড়া স্পঞ্জ
ধূমপান ফুসফুসের জন্য ঘাতক। আমেরিকার অ্যান্ডারসন ক্যানসার গবেষণা কেন্দ্রের তথ্য বলছে, ফুসফুসের ক্যানসারের ৯০ শতাংশই তামাকের জন্য। শুধু ক্যানসার নয়, দীর্ঘস্থায়ী ব্রঙ্কাইটিস, অ্যাস্থমা, সিওপিডি-র মতো অসুখেও আক্রান্ত হন তামাকসেবীরা।
২. হার্টের হাড়ভাঙা খাটুনি
তামাক হৃদস্পন্দন বাড়ায়—রক্তচাপ বাড়িয়ে হার্ট অ্যাটাক ডেকে আনে। বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা জানাচ্ছে, তামাক সেবনকারীদের হৃদরোগে আক্রান্ত হওয়ার আশঙ্কা দু’গুণ বেশি।
৩. সন্তান চাই? তবে ছাড়ুন তামাক আজই
তামাক প্রজনন ক্ষমতাতেও কুপ্রভাব ফেলে। পুরুষদের ক্ষেত্রে শুক্রাণুর গুণগত মান কমে যায়, মহিলাদের ক্ষেত্রে গর্ভধারণে সমস্যা হয়। গর্ভবতী মায়ের ধূমপানে গর্ভস্থ শিশুর উপর পড়ে মারাত্মক প্রভাব—অকালপ্রসব, কম ওজন এমনকি শিশুমৃত্যুও হতে পারে।
৪. শুধু শরীর নয়, মাথাও রিক্ত হয়
তামাকের নিকোটিন ক্ষণিকের উত্তেজনা দিলেও, দীর্ঘমেয়াদে উদ্বেগ, অবসাদ, এবং স্মৃতিভ্রংশের ঝুঁকি বাড়ায়। মস্তিষ্কের স্নায়ুতে ধীরে ধীরে জাঁকিয়ে বসে বিষ। মানসিক স্বাস্থ্য বিশেষজ্ঞরা সতর্ক করছেন, নিকোটিন আসক্তি ডিপ্রেশনের পথও প্রশস্ত করে।
৫. শুধু আপনি নন, আশপাশের মানুষরাও বিপদে
‘প্যাসিভ স্মোকার’ শব্দটা শুনেছেন নিশ্চয়? পরোক্ষ ধূমপান—যেখানে আপনি না খেলেও, অন্যের ধোঁয়া আপনাকে অসুস্থ করছে। বাড়িতে শিশু বা বৃদ্ধ থাকলে তাঁদের শ্বাসযন্ত্রে সবচেয়ে মারাত্মক প্রভাব ফেলে এই বিষাক্ত ধোঁয়া।
