আজকাল ওয়েবডেস্ক: গরম পড়তেই বাজার ভরে যায় তরমুজে। রসালো এই ফল যেমন রসনা মেটায়, তেমনই শরীরেও আনে স্বস্তি। কিন্তু ফল খেলেও তার বীজ বেশির ভাগ ক্ষেত্রেই চলে যায় আবর্জনায়। অথচ জানেন কি, এই তরমুজের ছোট ছোট বীজেই রয়েছে শরীরের প্রয়োজনীয় একাধিক উপাদান? পুষ্টিবিদরা বলছেন, তরমুজের বিচি শুধু খাওয়া নিরাপদই নয়, ঠিকভাবে খেলে তা হতে পারে অত্যন্ত উপকারী এক ‘সুপারফুড’ও।

কী কী গুণ রয়েছে এই বীজে? কীভাবে খেলে উপকার মেলে? দেখে নেওয়া যাক।

তরমুজের বীজে রয়েছে প্রোটিন, আয়রন, ম্যাগনেশিয়াম, জিঙ্ক, স্বাস্থ্যকর ফ্যাট এবং ভিটামিন ‘বি’ কমপ্লেক্স। পুষ্টিবিদদের মতে, নিয়মিত ও পরিমিত পরিমাণে খেলে এই বীজ শরীরের বেশ কিছু গুরুত্বপূর্ণ ঘাটতি পূরণে সাহায্য করতে পারে।

প্রোটিন: এক মুঠো শুকনো তরমুজবীজে পাওয়া যায় প্রায় ৩ গ্রাম প্রোটিন। শরীরের পেশি গঠন, কোষ মেরামত এবং রোগ প্রতিরোধে যা গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখে।

আয়রন ও ম্যাগনেশিয়াম: আয়রন হিমোগ্লোবিন তৈরিতে সাহায্য করে, ক্লান্তি দূর করে। ম্যাগনেশিয়াম স্নায়ুর কার্যকারিতা বজায় রাখে, হাড় মজবুত করে।

ভিটামিন বি কমপ্লেক্স: থায়ামিন, নিয়াসিন, ফলেট ইত্যাদি ভিটামিন শরীরের শক্তি উৎপাদনে সাহায্য করে এবং স্নায়ুর স্বাস্থ্য ভাল রাখে।

ভাল ফ্যাট: তরমুজের বীজে থাকা মনো- ও পলি-আনস্যাচুরেটেড ফ্যাটি অ্যাসিড হৃদ্‌যন্ত্রের জন্য উপকারী। কোলেস্টেরল নিয়ন্ত্রণেও সাহায্য করে।


খাওয়ার পদ্ধতি কী? কাঁচা বীজ খাওয়া কি নিরাপদ?
কাঁচা তরমুজবীজ হজম করা কষ্টসাধ্য। তাই সরাসরি খাওয়া একদম উচিত নয়। তার চেয়ে বরং বীজগুলো শুকিয়ে হালকা ভেজে নিলে তা হয়ে ওঠে সহজপাচ্য ও সুস্বাদু। কিছুক্ষণ জল ভিজিয়ে তার পর ভাজলেও চলে। এছাড়াও এই বীজ গুঁড়ো করে স্মুদি বা দুধে মেশানো যায়, স্যালাডের উপর ছড়িয়ে দেওয়া যায়।


কারা দূরে থাকবেন?
যাঁদের কিডনির সমস্যা আছে বা যাঁরা খনিজের মাত্রা নিয়ন্ত্রণে রাখার নির্দিষ্ট ডায়েট অনুসরণ করেন, তাঁদের পক্ষে তরমুজবীজ বেশি খাওয়া বিপজ্জনক হতে পারে। বিশেষত ম্যাগনেশিয়াম বা পটাশিয়ামের মাত্রা বেশি থাকলে সমস্যা হতে পারে। তাই যাঁরা কোনও দীর্ঘস্থায়ী অসুখে ভুগছেন, তাঁদের ক্ষেত্রে চিকিৎসকের পরামর্শ নিয়ে তবেই খাদ্যতালিকায় এই বীজ যোগ করা উচিত।