আজকাল ওয়েবডেস্ক: পুরুষদের যৌনস্বাস্থ্য নিয়ে কথা বলার মধ্যে এক ধরনের সংকোচ অনুভব করেন অনেকেই। সেই কারণেই বহু রোগ চাপা থেকে যায়। এমনই একটি রোগ ‘রেট্রোগ্রেড ইজাকুলেশন’। এটি এমন একটি অবস্থা যেখানে পুরুষের বীর্যপাতের সময় বীর্য লিঙ্গ দিয়ে বের হওয়ার পরিবর্তে মূত্রাশয়ের দিকে অর্থাৎ পিছনের দিকে প্রবাহিত হয়। 
কী কী লক্ষণ?
স্বাভাবিক ক্ষেত্রে, বীর্যপাতের সময় মূত্রাশয়ের স্ফিংটার বন্ধ হয়ে যায়, যাতে বীর্য শুধুমাত্র ইউরেথ্রা (মূত্রনালী) দিয়ে বাইরে বের হতে পারে। রেট্রোগ্রেড ইজাকুলেশনে এই স্ফিংটার সঠিকভাবে বন্ধ হয় না, ফলে বীর্য মূত্রাশয়ে প্রবেশ করে এবং পরবর্তীতে প্রস্রাবের সঙ্গে বেরিয়ে যায়। একে অনেক সময় ‘শুষ্ক বীর্যপাত’ও বলা হয়, কারণ এই রোগ থাকলে বীর্যপাতের সময় খুব সামান্য বীর্য নির্গত হয় বা একেবারেই বীর্য বের হয় না। বীর্যপাতের পর প্রস্রাব ঘোলাটে হওয়াও এই রোগের লক্ষণ হতে পারে। এর কারণ হল বীর্য মূত্রাশয়ে প্রবেশ করে প্রস্রাবের সঙ্গে মিশে যায়। ফলে প্রস্রাব ঘোলাটে দেখায়। অনেক সময় এই রোগে পুরুষত্বহীনতা না বন্ধ্যত্ব দেখা দিতে পারে।
কেন হয় এই সমস্যা?
রেট্রোগ্রেড ইজাকুলেশনের বিভিন্ন কারণ থাকতে পারে, যার মধ্যে সবচেয়ে উল্লেখযোগ্য স্নায়ুর সমস্যা। ডায়াবেটিস, মাল্টিপল স্ক্লেরোসিস, স্পাইনাল কর্ডে আঘাত বা অন্য কোনও স্নায়বিক রোগের কারণে মূত্রাশয়ের স্ফিংটারের স্নায়ু ক্ষতিগ্রস্ত হলেও এটি হতে পারে। কিছু ওষুধের পার্শ্বপ্রতিক্রিয়া হিসাবেও এই সমস্যা দেখা দিতে পারে। যেমন- উচ্চ রক্তচাপ, প্রোস্টেট বৃদ্ধি বা মানসিক অবসাদের চিকিৎসার জন্য ব্যবহৃত কিছু ওষুধ মূত্রাশয়ের স্ফিংটারকে শিথিল করতে পারে। ফলে এই ঘটনা ঘটে। এই ধরনের সমস্যা দেখা দিলে চিকিৎসকের পরামর্শ নেওয়াই বুদ্ধিমানের কাজ।