আজকাল ওয়েবডেস্ক: স্বাদ আর স্বাস্থ্যের এমন অদ্ভুত যুগলবন্দি প্রকৃতিতে কমই আছে। লাল টুকটুকে বেদানা দেখলেই তাই বাঙালির জিভে জল এসে যায়। শুধু স্বাদ নয়, রোজের খাদ্যতালিকায় বেদানার রস রাখলে একাধিক শারীরিক সমস্যা থেকেও দূরে থাকা সম্ভব। এর অসামান্য গুণের কারণেই আধুনিক পুষ্টিবিজ্ঞানও একে ‘সুপারফুড’-এর তকমা দিয়েছে।
১. হৃদযন্ত্রের পরম বন্ধু
আধুনিক জীবনযাত্রায় হৃদরোগের ঝুঁকি বাড়ছে। গবেষণায় দেখা গিয়েছে, বেদানার রসে থাকা পলিফেনলিক যৌগ, বিশেষত পিউনিক্যালাজিন অ্যান্টিঅক্সিড্যান্ট, ধমনীর প্রাচীরে চর্বি জমতে বাধা দেয়। এটি রক্তচাপ নিয়ন্ত্রণে রাখতে এবং ‘খারাপ’ কোলেস্টেরল-এর মাত্রা কমাতে সাহায্য করে। ফলে হৃদযন্ত্র সচল থাকে এবং স্ট্রোক বা হার্ট অ্যাটাকের ঝুঁকি কমে।
২. অ্যান্টিঅক্সিড্যান্টের উৎস
শরীরে প্রতিনিয়ত অক্সিডেটিভ স্ট্রেস বা দূষণের ফলে যে ক্ষয় হয়, তা রুখে দিতে অ্যান্টিঅক্সিড্যান্টের জুড়ি মেলা ভার। বেদানার রসে গ্রিন টি বা রেড ওয়াইনের চেয়েও প্রায় তিন গুণ বেশি অ্যান্টিঅক্সিড্যান্ট থাকে। এই উপাদানটি শরীরের কোষকে ক্ষতির হাত থেকে বাঁচায়, রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতাকে শক্তিশালী করে এবং শরীরে অকাল বার্ধক্যের ছাপ পড়তে দেয় না।
৩. প্রদাহ কমাতে অনবদ্য
শরীরের ভিতরে দীর্ঘস্থায়ী প্রদাহ বা ইনফ্ল্যামেশন আর্থ্রাইটিস, ডায়াবিটিসের মতো বহু জটিল রোগের কারণ। বেদানার রসে থাকা ফ্ল্যাভোনয়েড জাতীয় যৌগগুলি শক্তিশালী প্রদাহনাশক। যাঁরা গাঁটের ব্যথায় ভুগছেন, তাঁদের জন্য এই রস বেশ উপকারী।
৪. স্মৃতিশক্তি ও মস্তিষ্কের কার্যকারিতা বৃদ্ধি
বয়স বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে স্মৃতিশক্তি দুর্বল হতে শুরু করে। বেশ কিছু গবেষণায় ইঙ্গিত মিলেছে যে, বেদানার রস মস্তিষ্কের স্বাস্থ্য রক্ষায় গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে। এমনকী অ্যালঝাইমার্সের মতো রোগের গতি কমাতেও এর কার্যকারিতা নিয়ে গবেষণা চলছে।
৫. ত্বকের জেল্লা ফেরাতে
ত্বককে ভিতর থেকে উজ্জ্বল এবং স্বাস্থ্যকর রাখতে চান? বেদানার রস হতে পারে সৌন্দর্যের চাবিকাঠি। এর মধ্যে থাকা ভিটামিন সি এবং অন্যান্য অ্যান্টিঅক্সিড্যান্ট ত্বককে মসৃণ করে, বলিরেখা কমায় এবং ব্রণর সমস্যা প্রতিরোধ করে।
