আজকাল ওয়েবডেস্ক: কথায় বলে চল্লিশ পেরোলেই চালশে। কিন্তু বয়স বাড়তে না বাড়তেই চোখের দৃষ্টিশক্তি এভাবে কমে যায় কেন কোনও দিন ভেবে দেখেছেন? একাধিক কারণ রয়েছে এর নেপথ্যে। বয়স বাড়লে আমাদের চোখের ভেতরের লেন্সটা শক্ত হয়ে যায়, তাই কাছের জিনিস দেখতে অসুবিধা হয়। এই লেন্স অনেকটা ক্যামেরার লেন্সের মতো, যা পুরোনো হয়ে গেলে আর ফোকাস করতে পারে না। এছাড়াও, চোখের ভেতরে ছানির মতো সমস্যাও দেখা দেয়, যাতে লেন্স ঘোলা হয়ে যায় আর দৃষ্টি ঝাপসা হয়ে যায়। রেটিনার ম্যাকুলা অংশটা খারাপ হয়ে গেলে মাঝখানের দৃষ্টিশক্তি কমে যায়, আর গ্লুকোমার মতো অসুখে চোখের নার্ভগুলো ক্ষতিগ্রস্ত হয়, যার ফলে দৃষ্টিশক্তি কমে যায়। সহজ কথায়, বয়স বাড়লে চোখের ভেতরের যন্ত্রপাতিগুলো দুর্বল হয়ে যায়, তাই দেখতেও সমস্যা হয়।
আরও পড়ুন: নিজে অক্ষম, স্ত্রীকে অন্তঃসত্ত্বা করতে প্রতিবেশীকে ভাড়া করলেন যুবক, ৭২ বার চেষ্টার পর কী হল ফলাফল?
এখন উপায়? চোখের দৃষ্টিশক্তি ভাল রাখতে নিয়ম করে খেতে পারেন বেশ কিছু ধরনের বাদাম।
১। কাঠবাদাম বা আমন্ড: আমন্ড ভিটামিন ই এবং অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট সমৃদ্ধ, যা চোখের স্বাস্থ্য ভাল রাখে। এটি বয়সজনিত চোখের সমস্যা প্রতিরোধে সাহায্য করে। ছানি পড়া প্রতিরোধ করে। এছাড়া আমন্ড ভিটামিন ই-তে ভরপুর, যা চোখের কোষগুলোকে অক্সিডেটিভ ক্ষতি থেকে রক্ষা করে। ভিটামিন ই চোখের লেন্স স্বাস্থ্য ভাল রাখে।
আরও পড়ুন: নিজে অক্ষম, স্ত্রীকে অন্তঃসত্ত্বা করতে প্রতিবেশীকে ভাড়া করলেন যুবক, ৭২ বার চেষ্টার পর কী হল ফলাফল?
২। আখরোট: আখরোটে থাকে ওমেগা-৩ ফ্যাটি অ্যাসিড, যা চোখের প্রদাহ কমাতে সাহায্য করে। বিশেষ করে এটি রেটিনার স্বাস্থ্য ভাল রাখে। এই ফ্যাটি অ্যাসিড ড্রাই আই সিন্ড্রোম প্রতিরোধে সাহায্য করে। আখরোট ভিটামিন ই, লুটেইন এবং জেক্সানথিনের মতো অ্যান্টিঅক্সিডেন্টও সরবরাহ করে, যা সাধারণত স্ক্রিন এবং ডিজিটাল ডিভাইস থেকে আসা নীল আলোর ক্ষতি থেকে চোখকে রক্ষা করতে সাহায্য করে।
আরও পড়ুন: নিজে অক্ষম, স্ত্রীকে অন্তঃসত্ত্বা করতে প্রতিবেশীকে ভাড়া করলেন যুবক, ৭২ বার চেষ্টার পর কী হল ফলাফল?
৩। পেস্তা বাদাম: পেস্তা বাদামেও লুটেইন এবং জিয়াজ্যানথিন নামক অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট থাকে, যা চোখের ম্যাকুলাকে রক্ষা করে। রেটিনায় থাকে ম্যাকিউলা। তার কর্মক্ষমতা কমে গেলে এই সমস্যা দেখা দিতে পারে। আমেরিকার টাফ্‌টস বিশ্ববিদ্যালয়ের গবেষণায় দেখা গিয়েছে বয়স হলে ম্যাকিউলার ডিজেনেরশন’-এর মতো চোখের অসুখের ঝুঁকি বেড়ে যায়। তার ফলে রোগী আবছা দেখতে শুরু করেন। অনেকে দৃষ্টিশক্তিও হারিয়ে ফেলেন।
৪। কাজুবাদাম: কম যায় না কাজুও। কাজুবাদামের মধ্যে রয়েছে প্রচুর পরিমাণে জিঙ্ক অর্থাৎ দস্তা এবং ম্যাগনেসিয়াম। ভিটামিন ই এবং জিঙ্ক দৃষ্টিশক্তি ভাল রাখতে সাহায্য করে। বিশেষ করে এটি রাতকানা রোগ প্রতিরোধে বেশ উপযোগী।

৫। চিনা বাদাম: চিনা বাদাম ভিটামিন ই এবং নিয়াসিনে ঠাসা, যা চোখের নার্ভের স্বাস্থ্য ভাল রাখে। পাশাপাশি এটি চোখের শুষ্কতা কমাতে সাহায্য করে।

এই বাদামগুলি নিয়মিত পরিমিত পরিমাণে খেলে চোখের দৃষ্টিশক্তি ভাল থাকে এবং চোখের বিভিন্ন রোগ থেকে রক্ষা পাওয়া যায়।