আজকাল ওয়েবডেস্ক: চিকিৎসকের কাজ প্রাণ রক্ষা করা কিন্তু সেই চিকিৎসকই হয়ে উঠলেন ভক্ষক। চিকিৎসার নামে যৌন নির্যাতন করলেন একের পর এক রোগীকে। এমনই ঘটনা ঘটেছে আমেরিকায়। অভিযুক্ত চিকিৎসকের নাম রুদেল স্যান্ডার্স।
আরও পড়ুন: ‘স্তনদুগ্ধ আইসক্রিম’ খেতে হুড়োহুড়ি বড়দেরও! কত দাম? কোথায় পাওয়া যাবে এই স্বাদ?
মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের হ্যামিল্টনের ওই চিকিৎসক এক সময় ইউনিভার্সিটি অব সিনসিনাটি মেডিক্যাল সেন্টার-এর চিকিৎসক ছিলেন। পুলিশের অভিযোগ, চিকিৎসক রোগীদের ভুল বুঝিয়ে তাঁদের গোপনাঙ্গের ছবি তুলতেন। এই কাজের জন্য চেম্বারের পাশেই একটি শয়নকক্ষও তৈরি করেন চিকিৎসক। ৪৪ বছর বয়সি স্যান্ডার্স একদল পুরুষের সঙ্গে রোজ সকালে দৌড়াতে যেতেন। সেখানেই একাধিক ব্যক্তিকে তিনি হার্ট চেক আপ করানোর প্রস্তাব দেন। ২০২২ সালে কয়েকজন তাঁর ফাঁদে পা দেন। অভিযোগ পরীক্ষা করতে যাওয়ার পর চিকিৎসক তাঁদের বোঝাতেন তিনি একটি বিশেষ পরীক্ষা করছেন। সেই জন্য গোপনাঙ্গের আল্ট্রা সাউন্ড পরীক্ষা করা দরকার। এর পরই তাঁদের প্যান্ট খুলিয়ে অন্তর্বাস পরে দাঁড়াতে বলতেন। এর পর তাঁদের উপুড় করে শুইয়ে খুলে নিতেন অন্তর্বাস। কখনও কখনও পিঠ ঢেকে দিতেন তোয়ালেতে। এই অবস্থায় সেই সব ব্যক্তিদের গোপন ছবি তুলতেন তিনি।
আরও পড়ুন: একবার লাগালেই ঘণ্টার পর ঘণ্টা চলবে! থ্রি ডি প্রিন্টারে কৃত্রিম পুরুষাঙ্গ তৈরি করলেন বিজ্ঞানীরা
এখানেই শেষ নয়। অভিযুক্ত চিকিৎসকের কলেজের এক প্রফেসর কোর্টে জানিয়েছেন, রুদেল ছাত্রাবস্থায় হাসপাতালের বাইরে, নিজের বাড়িতে রোগী দেখতেন। তখনও চিকিৎসা করার অনুমোদন ছিল না তাঁর কাছে। আইনের তোয়াক্কা না করেই কুকর্ম চালান তিনি।
এর আগে নিম্ন আদালতে ছাড় পেলেও এবার সিনসিনাটি কাউন্টি কোর্টে সাজা পেলেন চিকিৎসক। গত সপ্তাহের ৫ তারিখ বিচারক প্যাট্রিক ডিংকেলাকার দোষী সাব্যস্ত করেছেন রুদেলকে। আইনজ্ঞদের মতে, এই ঘটনায় ১২ মাসের জেল হতে পারে চিকিৎসকের। তবে যেহেতু শারীরিক হিংসার ঘটনা ঘটেনি তাই জেলের বদলে সংশোধনাগারেও জায়গা হতে পারে তাঁর। তবে দোষী সাব্যস্ত করলেও এখনও পর্যন্ত সাজা ঘোষণা করেনি আদালত। রায়ে প্রাথমিক ভাবে জানানো হয়েছে, ছাত্রাবস্থায় অনুমোদন ছাড়া রোগী দেখা সম্পূর্ণ আইনবিরুদ্ধ। পাশাপাশি একাধিক রোগীও তাঁদের বয়ানে যৌনগন্ধি কার্যকলাপের ইঙ্গিত দিয়েছেন।