আজকাল ওয়েবডেস্ক: বাঙালির হেঁশেলে রসুনের অবাধ আনাগোনা। যে কোনও রান্নার স্বাদ ও গন্ধ বাড়াতে এর জুড়ি মেলা ভার। কিন্তু রসুনের কদর কি শুধু স্বাদের জন্য? একেবারেই নয়। এই ছোট মশলার কোয়ার মধ্যেই লুকিয়ে রয়েছে সুস্বাস্থ্যের গুপ্ত চাবিকাঠি। দেখে নেওয়া যাক, রোজের খাদ্যতালিকায় রসুন রাখলে কোন পাঁচটি বড় ধরনের শারীরিক সমস্যা থেকে দূরে থাকা যায়।

১. হৃদযন্ত্রের সুরক্ষায়: উচ্চ রক্তচাপ এবং কোলেস্টেরলের সমস্যা এখন বাঙালির ঘরে ঘরে। এতে হৃদরোগের ঝুঁকিও বহুলাংশে বেড়ে যায়। রসুনে থাকা ‘অ্যালিসিন’ নামের যৌগ রক্তচাপ নিয়ন্ত্রণে সাহায্য করে। পাশাপাশি, রক্তে ভাসমান ক্ষতিকর এলডিএল কোলেস্টেরলের মাত্রা কমিয়ে ধমনীর প্রাচীরকে সুরক্ষিত রাখতেও এটি অত্যন্ত কার্যকর

২. রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বৃদ্ধিতে: ঘন ঘন সর্দি-কাশি বা মরসুম বদলের নানা সংক্রমণে ভোগার অন্যতম কারণ হল দুর্বল রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা। রসুন প্রাকৃতিক ভাবেই শরীরের প্রতিরোধ ক্ষমতাকে শক্তিশালী করে তোলে। এর মধ্যে থাকা অ্যান্টি-ভাইরাল এবং অ্যান্টি-ব্যাকটিরিয়াল গুণ শরীরকে নানা জীবাণুর বিরুদ্ধে লড়াই করার শক্তি জোগায়।

৩. প্রাকৃতিক অ্যান্টিবায়োটিক: কাটা-ছেঁড়া বা যে কোনও ধরনের জীবাণু সংক্রমণে রসুন এক অব্যর্থ প্রাকৃতিক অ্যান্টিবায়োটিকের কাজ করে। এর মধ্যেকার সালফার যৌগগুলি বহু ক্ষতিকর ব্যাকটিরিয়া এবং ছত্রাকের বৃদ্ধি রুখে দিতে সক্ষম। 

৪. অ্যান্টিঅক্সিড্যান্টের অফুরন্ত ভান্ডার: শরীরে প্রতিনিয়ত নানা কারণে ‘ফ্রি র‍্যাডিক্যাল’ নামক ক্ষতিকর কণা তৈরি হয়, যা কোষের ক্ষতি করে এবং অকালে বার্ধক্যের ছাপ ফেলে। রসুনে রয়েছে প্রচুর পরিমাণে অ্যান্টিঅক্সিড্যান্ট, যা এই ক্ষতিকর কণাগুলির বিরুদ্ধে লড়াই করে।

৫. শরীরকে দূষণমুক্ত করতে: আমাদের শরীরে নানা ভাবে ভারী ধাতু এবং অন্যান্য বিষাক্ত পদার্থ প্রবেশ করে। রসুনের মধ্যে থাকা সালফার যৌগগুলি এই সব বিষাক্ত পদার্থকে শরীর থেকে বার করে দিতে (ডিটক্স) গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে।