গবেষণা বলছে, রাতে পরিবারের সঙ্গে বসে খেলে শিশুর চিন্তাভাবনায় ইতিবাচক বদল আসে। এটি তার আচরণকে সংবেদনশীল ও সমন্বিত করে তোলে। পুরোনো পারিবারিক রেওয়াজ হলেও বর্তমান ব্যস্ত জীবনে এই অভ্যাস অনেকটাই কমে গেছে।
2
6
কলম্বিয়া ইউনিভার্সিটি ও হার্ভার্ডের দীর্ঘ ২০ বছরের গবেষণা জানায়, পরিবারের সঙ্গে খাওয়া শিশুর বুদ্ধিবিকাশে সহায়ক। টেবিলে বিভিন্ন বিষয়ে আলাপচারিতা তার জ্ঞান বাড়ায়। এতে পড়াশোনায় মনোযোগ ও দক্ষতা দুই-ই বৃদ্ধি পায়।
3
6
একসঙ্গে খাওয়ার সময় তৈরি হয় উষ্ণ পরিবেশ, যা শিশুর মানসিক চাপ কমায়। পরিবারকে পাশে পেয়ে সে নিজের সমস্যাগুলো সহজে বলতে শেখে। এতে তার আত্মবিশ্বাস ও বিশ্বাসযোগ্যতা উভয়ই গড়ে ওঠে।
4
6
অন্যদের সঙ্গে বসে খাওয়া শিশুদের সামাজিকতা বাড়ায়। জেদ, স্বার্থপরতা বা ভীতিভাব কমে যেতে থাকে। নিয়মিত মেলামেশার মাধ্যমে সে অন্যের মতামত বুঝতে ও গ্রহণ করতে শেখে।
5
6
খাওয়ার টেবিলে বসে শিশু সহজেই শিখে ফেলে আদবকায়দা। কোন খাবারে কোন চামচ, কীভাবে থালা-বাসন ব্যবহার করতে হয়—এসব ছোট বিষয় স্বাভাবিকভাবেই রপ্ত হয়। এতে ভবিষ্যতে বাইরে বা অতিথির বাড়িতে সঠিক আচরণ বজায় রাখতে পারে।
6
6
টেবিলে খেয়ে নিজের থালা-বাসন জায়গামতো রাখা স্বনির্ভরতার সূচনা। ছেলে-মেয়ে সমানভাবে এই অভ্যাস গড়ে তুললে দায়িত্ববোধ বাড়ে। নিজের কাজ নিজে করার চর্চা শিশুকে আত্মনির্ভর ও শৃঙ্খলাবদ্ধ করে তোলে।