ঘুম মানুষের শরীরের জন্য অত্যন্ত প্রয়োজনীয় একটি বিষয়৷ অন্যদিকে এই ঘুমই যদি পর্যাপ্ত পরিমাণে না হয় তাহলে মানুষের শরীরে বাসা বাঁধতে পারে একাধিক রোগ। সম্প্রতি গবেষণায় এমনই এক কঠিন রোগের কথা জানা গিয়েছে। ঘুম কম হলে মানুষের স্মৃতিশক্তি কেড়ে নেওয়ার রোগ ডিমেনশিয়ার ঝুঁকি অনেক বাড়িয়ে দেয়।
2
7
১) মানুষ যখন ঘুমায়, তখন তাদের মস্তিষ্কের ভিতরে একটি 'পরিষ্কার করার যন্ত্র' কাজ করে। এই যন্ত্রটি সারাদিনের জঞ্জাল, বিশেষ করে ডিমেনশিয়া তৈরির জন্য দায়ী একটি খারাপ প্রোটিনকে ('অ্যামাইলয়েড' প্রোটিন) ধুয়ে বার করে দেয়। চিকিৎসকেরা বলছেন, গভীর ঘুম না হলে এই পরিষ্কার করার কাজ বন্ধ হয়ে যায়, ফলে প্রোটিন জমতে থাকে এবং রোগ দেখা দেয়।
3
7
২) রাতে কম ঘুমালে মস্তিষ্কের লক্ষ লক্ষ ছোট ছোট তারের (স্নায়ুকোষ) মধ্যে যোগাযোগ দুর্বল হয়ে পড়ে। বিশেষজ্ঞদের মতে, বিশ্রাম না পেলে এই তারগুলি ঠিকমতো কাজ করতে পারে না। ফলে স্মৃতিশক্তি কমে যায় এবং শেখার ক্ষমতাও ক্ষতিগ্রস্ত হয়।
4
7
৩) কম ঘুম আমাদের শরীরের ভিতরে এক ধরনের 'জ্বালা' তৈরি করে, যা সহজে বোঝা যায় না। এটি মস্তিষ্কের রক্তনালী এবং কোষগুলিকে খারাপ করে দেয়। চিকিৎসাবিজ্ঞান বলছে, মস্তিষ্কের এই 'জ্বালা'ই বহু ক্ষেত্রে ডিমেনশিয়ার মতো কঠিন রোগের মূল কারণ।
5
7
৪) প্রাপ্তবয়স্কদের জন্য চিকিৎসকেরা স্পষ্ট করে বলে দিয়েছেন রাতে কমপক্ষে ৭ থেকে ৯ ঘণ্টা ভালো ঘুম চাই-ই চাই। এর চেয়ে কম ঘুম মানেই শরীরের রোগ প্রতিরোধের ক্ষমতা কমে যাওয়া এবং মস্তিষ্কের মারাত্মক ক্ষতি হওয়া। দিনের বেলায় ঘন ঘন ক্লান্তি আসা বা মনঃসংযোগে ব্যাঘাত এর প্রাথমিক লক্ষণ।
6
7
৫) গবেষণা বলছে, ৪০ থেকে ৬০ বছর বয়সের মধ্যে যাঁদের ঘুমের সমস্যা হয়, ডিমেনশিয়ার ঝুঁকি তাঁদের মধ্যে বেশি। চিকিৎসকেরা বলছেন, এই সময়টা খুব জরুরি। এই বয়সে ঘুমের দিকে বিশেষ নজর দিলে ভবিষ্যতে ডিমেনশিয়া থেকে অনেকটাই দূরে থাকা যায়।
7
7
৬) শুধু বিছানায় শুয়ে থাকলেই হবে না, ঘুম গভীর ও নিরবচ্ছিন্ন হতে হবে। চিকিৎসকদের পরামর্শ, শোবার জায়গা যেন শান্ত ও অন্ধকার হয়। রাতে কফি বা মদ্যপান করা চলবে না। একটি নির্দিষ্ট সময়ে শোবার অভ্যাস তৈরি করলে ঘুমের মান ভালো হয়।