আনারসে প্রচুর ভিটামিন ও খনিজ উপাদান রয়েছে। এর কান্ড, টাটকা ফলের শাঁস এবং অপরিশোধিত রসই হল ব্রোমেলিনের প্রধান খাদ্য উৎস—এক ধরনের এনজাইম, যা বহু শতাব্দী ধরে নানা ধরনের শারীরিক সমস্যার চিকিৎসায় ব্যবহার হয়ে আসছে।
2
6
আনারসের রসে এসব পুষ্টিগুণ ঘন আকারে থাকে, ফলে এক গ্লাস রসেই পাওয়া যায় উপকারের বড় অংশ। তবে টিনজাত আনারসে ব্রোমেলিন থাকে না, কারণ সংরক্ষণ প্রক্রিয়ায় ব্যবহৃত তাপে এনজাইমটি নষ্ট হয়ে যায়। আনারস স্বভাবতই মিষ্টি হওয়ায় বাজারে পাওয়া বেশির ভাগ আনারসের রসেই অতিরিক্ত চিনি খুব কম বা থাকে না বললেই চলে।
3
6
দোকান থেকে কেনা রসে সাধারণত অ্যাসকরবিক অ্যাসিড যোগ করা হয়, যা ভিটামিন সি-এরই আরেকটি নাম। আনারস নিজেই ভিটামিন সি-এ সমৃদ্ধ, তবে বাড়তি অ্যাসকরবিক অ্যাসিড যোগ করা হয় মূলত রসের রং এবং স্বাদ ধরে রাখার জন্য।
4
6
আনারসের রসে থাকা ব্রোমেলিন শ্লেষ্মাকে পাতলা করতে সাহায্য করতে পারে, যা সাইনাস বা বুকে জমে থাকা কফ কমাতে সহায়ক। এর প্রদাহনাশক গুণ একত্রে সাধারণ সর্দি-কাশি এবং অ্যালার্জির উপসর্গ উপশমে ভূমিকা রাখতে পারে।
5
6
এই বৈশিষ্ট্যগুলোর কারণেই ব্রোমেলিনের সম্ভাব্য ব্যবহার নিয়ে হাঁপানি চিকিৎসায় গবেষণা চলছে। গবেষণা যদিও এখনও সম্পূর্ণ হয়নি, বেশ কিছু সমীক্ষায় দেখা গিয়েছে ব্রোমেলিন গ্রহণ শ্বাসনালীর প্রদাহ কমাতে সহায়তা করতে পারে, যা হাঁপানির অন্যতম প্রধান উপসর্গ।
6
6
আনারসের রসে থাকা এনজাইমগুলি অন্ত্রে প্রোটিন ভাঙতে সাহায্য করে, যা কোষ্ঠকাঠিন্য, গ্যাস এবং পেট ফোলার মতো সমস্যা কমাতে কার্যকর ভূমিকা রাখতে পারে। ব্রোমেলাইন-এর অ্যান্টিব্যাকটেরিয়াল গুণাগুণ অন্ত্রকে ই কোলাই-এর মতো ডায়রিয়া-সৃষ্টিকারী ক্ষতিকর ব্যাকটেরিয়া থেকে সুরক্ষা দেয় এবং অন্ত্রের প্রদাহ কমাতেও সহায়তা করে।