যে কোনও অসুখই প্রাথমিক পর্যায়ে শনাক্ত করা গেলে সুস্থ হয়ে ওঠার সম্ভাবনা বেশি থাকে। যার জন্য রোগের নির্দিষ্ট লক্ষণ বোঝা জরুরি। শরীরে রোগ বাসা বাঁধলে তার লক্ষণ বিভিন্ন অঙ্গে ফুটে ওঠে।
2
7
চোখেও একাধিক শারীরিক সমস্যার উপসর্গ দেখা যায়। তাই চোখের লালভাব কিংবা ঝাপসা দৃষ্টির জন্য শুধুই চক্ষুপরীক্ষারই নয়, নেপথ্যে লুকিয়ে থাকা রোগও চিহ্নিত করা প্রয়োজন।
3
7
ডায়াবেটিস ও ডায়াবেটিক রেটিনোপ্যাথিঃ ডায়াবেটিস চোখের পিছনের আলো-সংবেদনশীল স্তর, রেটিনার ক্ষুদ্র রক্তনালীগুলোকে ক্ষতিগ্রস্ত করতে পারে। এই অবস্থাকে ডায়াবেটিক রেটিনোপ্যাথি বলা হয়। তাই ঝাপসা দৃষ্টি বা দৃষ্টির যে কোনও সমস্যা, অন্ধকার বা খালি দাগ দেখতে পাওয়া, স্পষ্টভাবে রং দেখতে অসুবিধা-এই ধরনের লক্ষণ দেখলে সতর্ক হন। যদি আপনার ব্লাড সুগার নিয়ন্ত্রণে না থাকে তাহলে নিয়মিত চোখ পরীক্ষা করা অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ।
4
7
উচ্চ রক্তচাপঃ উচ্চ রক্তচাপ বা হাইপারটেনশন চোখের রক্তনালীতে পরিবর্তন আনতে পারে, যা হাইপারটেনসিভ রেটিনোপ্যাথি নামে পরিচিত। এটি হার্ট, কিডনির মতো অন্যান্য অঙ্গের ক্ষতির লক্ষণও। এক্ষেত্রে ঝাপসা দৃষ্টি, মাথাব্যথা বা চোখের ব্যথা, চোখের লালভাব বা ফোলাভাব দেখলে অবহেলা করা উচিত নয়। দ্রুত চিকিৎসকেরা পরামর্শ নেওয়া শ্রেয়।
5
7
গ্লুকোমাঃ গ্লুকোমা হল চোখের এক ধরনের রোগ যা চোখের ভেতরে উচ্চ চাপের কারণে অপটিক স্নায়ুর ক্ষতি করে। এটি ধীরে ধীরে পেরিফেরাল বা পার্শ্বিক দৃষ্টিশক্তি কমিয়ে দেয় এবং ঠিক সময়ে চিকিৎসা না করলে অন্ধত্বের কারণ হতে পারে। এক্ষেত্রে পার্শ্বিক দৃষ্টি হারানো, আলোর চারপাশে আলোর বৃত্ত দেখা, চোখের ব্যথা বা লালভাব দেখলে সতর্ক হন।
6
7
ম্যাকুলার ডিজেনারেশন (এএমডি)ঃ দৃষ্টিশক্তির জন্য গুরুত্বপূর্ণ রেটিনার মাঝের অংশ ম্যাকুলায় প্রভাব ফেলে বয়সজনিত এই রোগ। সাধারণত ৪৫ বছরের পর থেকে এই সমস্যা দেখা যায়। সরল রেখা বাঁকা দেখলে, চোখের সামনে ঝাপসা বা কালো দাগ, সূক্ষ্ম বিবরণ দেখতে অসুবিধা হলে অবশ্যই নজর দিন।
7
7
রক্তাল্পতা বা রক্তের সমস্যাঃ শরীরে রক্তাল্পতার ইঙ্গিতও দিতে পারে চোখ। কিছু নির্দিষ্ট রক্তের সমস্যা যেমন অ্যানিমিয়া চোখে ফুটে ওঠে। চোখের ফ্যাকাশেভাব, হলুদাভ বা লাল ভাব, চোখে প্রদাহ, কিংবা চোখ পরীক্ষা করার সময় অস্বাভাবিক রক্তনালীর পরিবর্তন দেখলে উপেক্ষা করা উচিত নয়।