দেশজুড়ে উদ্বেগের ছায়া। বর্ষীয়ান অভিনেতা ধর্মেন্দ্রর অবস্থা আশঙ্কাজনক।‌ধর্মেন্দ্রর সুস্থতার প্রার্থনায় অগণিত ভক্ত। ৮৯ বছরের এই কিংবদন্তি অভিনেতাকে এদিন শ্বাসকষ্টজনিত সমস্যার কারণে ভর্তি করা হয়েছে মুম্বইয়ের ব্রিচ ক্যান্ডি হাসপাতালে। ঘন্টা কয়েক আগে শারীরিক অবস্থার অবনতি হওয়ায় তাঁকে তড়িঘড়ি ভেন্টিলেশনে রাখা হয়। তবে রাত বাড়তেই ধর্মেন্দ্রকে দেখতে হাসপাতালে পৌঁছে যান সলমন খান। তখনই শুরু হয় গুঞ্জন। খানিক আগে ছেলে আরিয়ানকে নিয়ে ওই হাসপাতালে পৌঁছেছেন শাহরুখ। এক ঝলক দেখা গেল সানি দেওলকেও। গাড়ি করে হাসপাতালে চত্বরে পৌঁছলেন তিনি। ওই এক ঝলকেই বোঝা গেল, চোখের জল মুছছেন ধর্মেন্দ্র-পুত্র। সেই মুহুর্তের ভিডিও সমাজমাধ্যমে মূহূর্তে ভাইরাল। তারপরেই শুরু হয়েছে ফিসফাস -তবে কি সত্যিই না ফেরার দেশে চলে গিয়েছেন ধর্মেন্দ্র? আনুষ্ঠানিক ঘোষণার আগে সবাই তড়িঘড়ি হাসপাতালে পৌঁছে একটু ধাতস্থ করে নিচ্ছেন নিজেদের?

 

অন্যদিকে, এএনআই ট্রেন্ডিং-এর পোস্ট করা এক ভিডিওয় খানিকক্ষণ আগেই দেখা গিয়েছে, ধর্মেন্দ্রর মুম্বইয়ের বাসভবনের বাইরে পুলিশের ব্যারিকেড বসানো হচ্ছে। সংবাদমাধ্যম ও ভক্তদের ভিড় সামলাতে এই ব্যবস্থা নেয়া হয়েছে বলে জানা গিয়েছে। ক্যাপশনে লেখা ছিল— “অভিনেতা ধর্মেন্দ্র হাসপাতালে ভর্তি, তাঁর বাড়ির বাইরে পুলিশ ব্যারিকেড।” ফলে বর্ষীয়ান অভিনেতার মৃত্যুর খবরের আশঙ্কা আরও বাড়ছে। ফিসফাস, ভিড় সামলাতে প্রশাসন আগেভাগেই প্রস্তুতি শুরু করে দিয়েছে।

 

এইসব বিভিন্ন ভিডিও ছড়িয়ে পড়তেই উদ্বিগ্ন হয়ে পড়েন ভক্তরা। সোশ্যাল মিডিয়ায় ঝড়ের গতিতে ছড়িয়ে পড়ে ‘গেট ওয়েল সুন’ বার্তা। 


তবে হ্যাঁ , দেওল পরিবারের পক্ষ এদিন দুপুরে জানানো হয়েছিল আতঙ্কের কিছু নেই।হেমা মালিনী, যিনি স্বামীকে দেখতে হাসপাতালে যান, সংবাদমাধ্যমকে শান্ত ও আশ্বস্ত কণ্ঠে বলেন,
“আমরা ওঁর দ্রুত আরোগ্য কামনা করছি, খুব শিগগিরই ভাল হয়ে উঠবেন।” সেই সময় সানি দেওলের টিমও জল্পনা থামিয়ে স্পষ্টভাবে বলেছিল,“এ সবই নিছক গুজব। স্যার অনেকটা ভালো আছেন, চিকিৎসকদের পর্যবেক্ষণে রয়েছেন। চিন্তার কিছুই নেই।”

 

অন্যদিকে, কমেডিয়ান ও টেলিভিশন তারকা ভারতী সিংকেও এই প্রসঙ্গে প্রশ্ন করা হলে তিনি বলেন,
“আমাদের প্রার্থনা ওঁর সঙ্গে আছে, ওঁকে কিছুই হবে না। সবাই শুধু প্রার্থনা করুন, উনি তাড়াতাড়ি সেরে উঠুন।”

 


তবে সেসব এখন অতীত। তারপর কেটে গিয়েছে কয়েক ঘন্টা। পরিস্থিতি এখন শুধুই উদ্বেগের নয়, বরং আশঙ্কার। অন্তত, এইসব ইঙ্গিত দেখে তো 'খারাপ খবরের' ইঙ্গিতটাই স্পষ্ট হচ্ছে! 

 

বলিউডের ‘হি-ম্যান’ নামে পরিচিত ধর্মেন্দ্রর ছয় দশকেরও বেশি সময়ের উজ্জ্বল ক্যারিয়ার স্মরণীয় হয়ে আছে 'শোলে' (১৯৭৫), 'চুপকে চুপকে' (১৯৭৫), এবং 'ইয়াদোঁ কি বারাত' (১৯৭৩)-এর মতো কালজয়ী ছবির জন্য।

আজও তিনি সিনেমার সঙ্গে যুক্ত। করণ জোহর পরিচালিত 'রকি অউর রানি কি প্রেম কাহানি' (২০২৩)-এ তাঁর উপস্থিতি প্রমাণ করে দিয়েছিল ধর্মেন্দ্র এখনও অনন্য, পর্দায় তাঁর সেই অদ্বিতীয় মায়া ও আবেগ আজও অপরাজেয়।

চলতি বছরের ডিসেম্বরে মুক্তি পাবে 'ইক্কিস'। অমিতাভ বচ্চনের নাতি অগস্ত্য নন্দার সঙ্গে সেই ছবিতে দেখা যাবে ধর্মেন্দ্রকে। এছাড়াও বিশ্বজিৎ চট্টোপাধ্যায় পরিচালিত 'আগ্নিযুগ দ্য ফায়ার' ছবিতেও একটি গুরুত্বপূর্ণ চরিত্রে অভিনয় করেছেন তিনি। সে ছবিও রয়েছে মুক্তির অপেক্ষায়।