আফগানিস্তানে পাকিস্তানের এয়ার স্ট্রাইকে তিন ক্রিকেটারের মৃত্যু হয়েছে। এই ঘটনার তীব্র নিন্দা করেছে আফগান ক্রিকেট বোর্ড। তবে এটাই প্রথম নয়। এর আগেও এমন একাধিক হামলার জেরে ক্ষতির মুখে পড়েছে ক্রিকেট। সেরকম কিছু ঘটনার কথাই তুলে ধরা হল এই প্রতিবেদনে।
2
9
২০০৯ সালের মার্চ মাস ক্রিকেটের ইতিহাসে কালো দিন। পাকিস্তান সফরে গিয়েছিল শ্রীলঙ্কা ক্রিকেট দল। লাহোরের গাদ্দাফি ক্রিকেট স্টেডিয়ামে ম্যাচ ছিল দুই দলের।
3
9
শ্রীলঙ্কা দল যখন স্টেডিয়ামের উদ্দেশ্যে রওনা দিচ্ছিল, তখন সন্ত্রাসীরা টিম বাসে হামলা চালায়। এই ঘটনায় শ্রীলঙ্কার খেলোয়াড় এবং সাপোর্ট স্টাফ সহ ছয়জন সদস্য আহত হন।
4
9
এই ঘটনাটি পুরো ক্রীড়া জগৎকে নাড়িয়ে দিয়েছিল। এই সন্ত্রাসী হামলার প্রভাব এতটাই তীব্র ছিল যে পাকিস্তানে প্রায় এক দশক বন্ধ ছিল আন্তর্জাতিক ক্রিকেট।
5
9
২০২১ সালে ফের আতঙ্কের ঘটনা ঘটে নিউজিল্যান্ডের সঙ্গে। ম্যাচ শুরুর আগে সন্ত্রাসী হামলা হতে পারে এমন খবর আসে নিউজিল্যান্ড শিবিরে। ম্যাচ হওয়ার কথা ছিল রাওয়ালপিন্ডি স্টেডিয়ামে। কিন্তু হামলার খবর পেয়ে তড়িঘড়ি এয়ারপোর্ট গিয়ে পাকিস্তান ত্যাগ করে নিউজিল্যান্ড।
6
9
২০০২ সালেও বাতিল হয়েছিল নিউজিল্যান্ডের পাকিস্তান সফর। করাচিতে কিউই দলের যে হোটেলে থাকার কথা ছিল তার বাইরে একটি বিশাল বোমা বিস্ফোরণে ১২ জন নিহত হন। এই ঘটনার পর, নিউজিল্যান্ড দল মাঝপথে সফর বাতিল করে।
7
9
১৯৮৭ সালে শ্রীলঙ্কায় খেলতে গিয়ে বিপাকে পড়েছিল নিউজিল্যান্ড। দ্বীপরাষ্ট্রে তাদের তিনটি টেস্ট খেলার কথা ছিল। কিন্তু প্রথম টেস্ট খেলেই ফিরে আসতে হয় তাদের।
8
9
জানা যায়, কলম্বোতে নিউজিল্যান্ড দল যে হোটেলে ছিল তার কাছেই একটি বোমা বিস্ফোরণ ঘটে। মৃত্যু হয় ১০০ জনেরও বেশি মানুষের। এরপরেই নিউজিল্যান্ড দল শ্রীলঙ্কা ছাড়ার করার সিদ্ধান্ত নেয়।
9
9
মুম্বইতে ২৬/১১ হামলার পর ইংল্যান্ডের ভারত সফর বাতিল করা হয়েছিল। ২০০৮ সালে সেই হামলার পর নিরাপত্তার অভাব বোধ করেছিল ইংল্যান্ড। সাত ম্যাচের ওডিআই সিরিজের পাঁচটি খেলেই ভারত ছেড়েছিল ইংল্যান্ড।