সংবাদসংস্থা মুম্বই: শাহরুখ খানকে যে বলিউডের 'বাদশা' বলা হয় তা বলিপ্রেমী মাত্রেই জানেন। বাকি বলি- অভিনেতাদের তুলনায় তাঁর দুরন্ত অভিনয়‌ কিংবা‌ শুধু তাঁর বাদশাহচিত মেজাজের জন্য এহেন নামকরণ,‌ ব্যাপারটা কিন্তু এমন নয়। শাহরুখের সম্পত্তির দিকে তাকালে এই 'বাদশা' নামকরণের সার্থকতা আরও টের পাওয়া যাবে। মুম্বইয়ে তাঁর প্রাসাদপম বাড়ি 'মন্নত' ছাড়াও ইংল্যান্ড ও আমেরিকায় ঝাঁ চকচকে আরও দুটি বাড়ি রয়েছে তাঁর। সেই বাড়ির আয়তন যা তাই সেগুলিকে বাড়ি না বলে ম্যানসন বলাই ভাল। আমেরিকার লস এঞ্জেলসে তাঁর সেই 'ম্যানসন' এবার ভাড়া দিচ্ছেন শাহরুখ! তা হবেন না‌কি 'কিং খান'-এর ভাড়াটে? 
তা এই বাড়িটি ঠিক কোথায়? এর মধ্যে কী কী সুব্যবস্থা রয়েছে? ভাড়াই বা ঠিক কত? চলুন, জেনে নেওয়া যাক!

শাহরুখের এই বিলাসবহুল বাড়িটি রয়েছে আমেরিকার বেভারলি হিলস্-এ। অর্থাৎ খাস হলিউড পাড়ায়! এই বিলাসবহুল বাড়িটি আদতে শাহরুখের ছুটি কাটানোর জায়গা। শতাব্দী প্রাচীন বহুমূল্য জিনিসের পাশাপাশি চোখধাঁধানো নানান আধুনিক, দুর্মূল্য জিনিসপত্রে ঠাসা এই 'বাদশাহী ভবন'। বাড়ির প্রতিটি কোণে ছড়িয়ে ছিটিয়ে রয়েছে আভিজাত্য ও রুচির ছাপ। শাহরুখের পছন্দ যে বেশ উঁচু তা এই বাড়ির দিকে এক ঝলক দেখলেই দিব্যি টের পাওয়া যায়। 
তা এই 'ম্যানসন'-এর অন্দরে কী কী রয়েছে? ৬টি বিরাট শোওয়ার ঘর থাকার পাশাপাশি প্রত্যকটি ঘরের সঙ্গে লাগোয়া জাকুজি রয়েছে। ব্যক্তিগত কাবানাস রয়েছে। অর্থাৎ আরাম করার, বিশ্রাম নেওয়া এবং স্নানঘরেও অভাব হবে না বিলাসিতার। এছাড়াও বাড়ির ঠিক মাঝখানে রয়েছে একটি বিরাট সুইমিং পুল। ভুলে গেলে চলবে না এই বাড়ির চৌহদ্দির মধ্যে থাকা আস্ত একটি টেনিস কোর্টের কথা! অর্থাৎ সুইমিং পুলে সাঁতার কাটার আগে যদি একটু ইচ্ছে হয়, গা ঘামিয়ে নিতে সোজা কোর্টে গিয়ে হাজির হয়ে গেলেন।
এবার একটু উঁকি মারা যাক এই বিলাসবহুল বাড়িটির অন্দরসজ্জায়। গোটা বাড়িটি শৈল্পিক ও আধুনিকতার সঠিক মেলবন্ধন। বাড়ির বৈঠকখানা জুড়ে বেইজ রঙের বিভিন্ন মাপের সোফা ছাড়াও রয়েছে উষ্ণ আঁচে গা গরম করার জন্য ফায়ারপ্লেস। রয়েছে দেওয়াল জুড়ে থাকা একটি নয়নাভিরাম পেইন্টিং। শুধু তাই নয়, বই পড়তে ইচ্ছে করলেই সামনে রাখা বিশ্বসাহিত্যে ঠাসা বইয়ের আলমারি থেকে তুলে নিতে পারেন নিজের মনপসন্দ বইটি। জানিয়ে রাখা ভাল, গোটা বাড়িটি কিন্তু সাদা ও বেইজের বিভিন্ন শেডে রাঙা। বাথরুমগুলিও সেই নিয়মের বাইরে নেই। আর এই ম্যানসনের প্রতিটি বাথরুমে যে আধুনিক সময়ের আরামের সবরকম ব্যবস্থা করে রাখা হয়েছে, তা বলাই বাহুল্য। 
শাহরুখ নিজেও কিন্তু আমেরিকায় গেলে বহুবার নিজের পরিবারের সঙ্গে এই বাড়িতে রাত কাটিয়েছেন। ২০১৭ সালে এই বাড়ির কথা বলতে গিয়ে 'বাদশা' বলেছিলেন, " এই বাড়ির মতো আর জায়গা হয় না"।

শাহরুখ-ভক্তরা শুনলে খুশি হবেন, 'জব হ্যারি মেট সেজাল' ছবির শুটিং চলাকালীন এই বাড়িতেই থাকতেন শাহরুখ। 
শেষে অবশ্যই উল্লেখ করতেই হয় এই বাড়ির আশেপাশের অঞ্চলটির কথা। 'কিং খান'-এর এই বাড়ির অনতিদূরেই রয়েছে সান্টা মোনিকা, রোডিও ড্রাইভ এবং ওয়েস্ট হলিউড। মাত্র পাঁচ মিনিটের হাঁটা পথ। সুতরাং কেউ যদি লস অ্যাঞ্জেলেস ঘুরতে চান, তাঁর জন্য আদর্শ হবে এই বাড়িটি।
এবার সব থেকে গুরুত্বপূর্ণ কথায় আসা যাক। তা হল বাড়ির ভাড়া। প্রতিদিনের জন্য মাত্র দু'লক্ষ টাকা বাড়ি ভাড়া ধার্য করেছেন শাহরুখ। অর্থাৎ যদি একটি গোটা দিন আপনি এই বাড়ি ভাড়া নেন তাহলে আপনাকে গুণতে হবে বেশি না, মাত্র দু'লক্ষ টাকা। তবে সেই টাকা নিতে স্বয়ং শাহরুখ আসবেন কি না সেকথা জানা নেই।
কী ভাবছেন? হবেন শাহরখ খানের ভাড়াটে?