রাত তখন প্রায় দুটো। ফোনের স্ক্রিনে হঠাৎই ভেসে উঠল এক নাম -হৃতিক রোশন! নিজের চোখকেই বিশ্বাস করতে পারছিলেন না অভিনেত্রী কৃতি স্যানন। এই ব্যাপারটি প্রথম সিনেমা হিরোপন্তি-র মুক্তির কিছুদিন পরের ঘটনা। আর সেই রাতটাকে আজও ভুলতে পারেন না অভিনেত্রী।
সম্প্রতি টুইঙ্কল খান্না ও কাজলের জনপ্রিয় চ্যাট শো ‘টু মাচ উইথ কাজল অ্যান্ড টুইঙ্কল’–এর নতুন পর্বে হাজির ছিলেন কৃতি স্যানন ও ভিকি কৌশল। সেখানেই কৃতি জানালেন তাঁর জীবনের এক অবিশ্বাস্য মুহূর্তের কথা, “আমার ঘরে একমাত্র যার পোস্টার ছিল, সে হৃতিক রোশন। ‘হিরোপন্তি’ ছবির মুক্তির পর টাইগার শ্রফ নাকি ওঁর জন্য একটা প্রাইভেট স্ক্রিনিং রেখেছিল, কিন্তু আমি জানতামই না। সেই রাতে হঠাৎ ২টোর সময় একটা অচেনা নাম্বার থেকে ফোন আসে। ফোনের স্ক্রিনে ট্রুকলারে দেখি, নাম দেখাচ্ছে হৃতিক রোশন! বিশ্বাসই হচ্ছিল না উনি আমাকে ফোন করছেন। আমি অবাক হয়ে গেলাম। পরে সকালবেলা সাহস করে ফোনটা ফিরিয়ে দিই।”
কৃতির কথায়, সেই ফোনকল ছিল তাঁর জীবনের অন্যতম প্রিয় মুহূর্ত। হৃতিক নাকি তাঁকে অভিনয়ের জন্য প্রশংসা করেছিলেন, বলেছিলেন, “তোমার অনেক প্রতিভা। তুমি অনেকদূর যাবে!”
অন্যদিকে, ভিকি কৌশলও জানালেন তাঁর শৈশবের ‘হৃতিক মোমেন্ট’। তিনি বললেন, “আমি তখন দশম শ্রেণিতে। কহো না প্যায়ার হ্যায় মুক্তির পর গোটা দেশ হৃতিক–এর পাগল! একদিন শুনলাম বাবা (অ্যাকশন ডিরেক্টর শ্যাম কৌশল) ওঁর সঙ্গে কাজ করছেন। আমি বললাম, ‘বাবা, আমি কি একবার দেখা করতে পারি?’ বাবা মজা করে বললেন, ‘ও শুধু তাদের সঙ্গেই দেখা করে যারা এক পল কে জিনা নাচটা পারে!’ আমি তিন দিন ধরে ওই গানের সঙ্গে নাচের সব স্টেপসের মহড়া দিয়েছিলাম, যেন হৃতিক স্যারকে দেখিয়ে দিতে পারি!”
শেষে ভিকির স্বপ্ন সত্যি হয়েছিল। তিনি বললেন, “যেদিন সেটে গেলাম, হৃতিক খুবই মিষ্টি ব্যবহার করেছিলেন। ছবি তুলেছিলেন আমার সঙ্গে। আজও সেই ছবি আমার কাছে রয়েছে।”
অর্থাৎ, একদিকে কৃতির হৃতিকের ফোন কল, অন্যদিকে ভিকির শৈশবের ফ্যান মোমেন্ট ‘টু মাচ উইথ কাজল অ্যান্ড টুইঙ্কল’–এর এই পর্বটি যে দারুণ মজার হতে চলেছে, তা বলাই বাহুল্য। পর্বটি মুক্তি পাবে বৃহস্পতিবার অ্যামাজন প্রাইম ভিডিও–তে।
