প্রয়াত উত্তমকুমারের নায়িকা অঞ্জনা ভৌমিক। খবর, শনিবার সকাল সাড়ে ১০টা প্রথম সারির বেসরকারি হাসপাতালে শেষনিঃশ্বাস ত্যাগ করেন। বয়স হয়েছিল ৭৯ বছর। দীর্ঘদিন ধরে বার্ধক্যজনিত সমস্যায় ভুগছিলেন ‘নায়িকা সংবাদ’-এর নায়িকা। শ্বাসকষ্ট নিয়ে তিনি ভর্তি হয়েছিলেন হাসপাতালে। বড় মেয়ে নীলাঞ্জনা সেনগুপ্ত এবং জামাই যিশু সেনগুপ্ত এই মুহূর্তে হাসপাতালে। অঞ্জনা ভৌমিকের মৃত্যুর খবর ছড়াতে শোকস্তব্ধ টলিউড। পরিচালক অরিন্দম শীল, সৃজিত মুখোপাধ্যায়-সহ সমস্ত প্রথম সারির ব্যক্তিত্বরা তাঁকে শেষবারের মতো দেখতে হাসপাতালে উপস্থিত। প্রয়াত অভিনেত্রীকে শ্রদ্ধা জানিয়ে সামাজিক পাতায় শোক জানিয়েছেন অরিন্দম। তাঁর কলমে, ‘পর্দায় আপনি অভিনয় প্রতিভায় আগুন জ্বালাতেন। ব্যক্তিগত জীবনে ভীষণ ভালমানুষ ছিলেন। আপনার অভাব পূরণ হবে না কোনওদিন। যেখানেই থাকুন শান্তিতে থাকুন।’ পরিচালক সমবেদনা জানিয়েছেন যিশু, নীলাঞ্জনা এবং প্রয়াত অভিনেত্রীর ছোট মেয়ে চন্দনা শর্মাকে। প্রসঙ্গত, উত্তম-অ়ঞ্জনার "নায়িকা সংবাদ" পরে তামিলে রিমেক হয়। ছবির নাম "সুমথি এন সুন্দরী"। ছবিতে জয়ললিতা প্রয়াত অভিনেত্রীর ভূমিকায় অভিনয় করেছিলেন।
১৯৪০ সালের ৩০ ডিসেম্বর কোচবিহারে জন্ম অঞ্জনার। সেই সময় তাঁর নাম আরতি ভৌমিক। পড়াশোনা শেষের পরে তিনি বিয়ে করেন নৌ অফিসার অনিল শর্মাকে। তাঁদের দুই সন্তান নীলাঞ্জনা-চন্দনা। অঞ্জনার প্রথম ছবি ১৯৬৪ সালে, পীযূষ বসুর ‘অনুষ্টুপ ছন্দ’তে। তখন তিনি মাত্র ২০। এই সময় তাঁর নাম বদলে আরতি থেকে হয় অঞ্জনা। প্রথম ছবিতেই নজর কেড়েছিলেন তিনি। এবং এর পর তাঁকে আর পিছনে ফিরে তাকাতে হয়নি। উত্তমকুমারের সঙ্গে অঞ্জনার জুটি হিট। তাঁরা একসঙ্গে পর্দা ভাগ করেছিলেন ‘চৌরঙ্গী’, ‘নায়িকা সংবাদ’, ‘কখনও মেঘ’, ‘থানা থেকে আসছি’, ‘রৌদ্রছায়া’, ‘রাজদ্রোহী’, ‘শুকসারী’ ছবিতে। প্রত্যেকটি ছবি এবং তার গানগুলো জনপ্রিয়। ফলে সুচিত্রা সেন, সুপ্রিয়া চৌধুরী, সাবিত্রী চট্টোপাধ্যায়ের প্রবল উপস্থিতির পরেও তিনি হয়ে উঠেছিলেন ‘মহানায়কের নায়িকা’। সৌমিত্র চট্টোপাধ্যায়ের তাঁর ছবি ‘মহাশ্বেতা’ দর্শক-সমালোচক প্রশংসিত।
বিয়ের পরে অঞ্জনা স্বামীর সঙ্গে মুম্বইয়ে সংসার পাতেন। চন্দনা-নীলাঞ্জনাও অভিনয় দুনিয়ায় এসেছিলেন। নীলাঞ্জনা পরে বিয়ে করেন যিশু সেনগুপ্তকে। যিশুর কাছে অঞ্জনা ‘শাশুড়ি’ কম ‘মা’ ছিলেন বেশি।
১৯৪০ সালের ৩০ ডিসেম্বর কোচবিহারে জন্ম অঞ্জনার। সেই সময় তাঁর নাম আরতি ভৌমিক। পড়াশোনা শেষের পরে তিনি বিয়ে করেন নৌ অফিসার অনিল শর্মাকে। তাঁদের দুই সন্তান নীলাঞ্জনা-চন্দনা। অঞ্জনার প্রথম ছবি ১৯৬৪ সালে, পীযূষ বসুর ‘অনুষ্টুপ ছন্দ’তে। তখন তিনি মাত্র ২০। এই সময় তাঁর নাম বদলে আরতি থেকে হয় অঞ্জনা। প্রথম ছবিতেই নজর কেড়েছিলেন তিনি। এবং এর পর তাঁকে আর পিছনে ফিরে তাকাতে হয়নি। উত্তমকুমারের সঙ্গে অঞ্জনার জুটি হিট। তাঁরা একসঙ্গে পর্দা ভাগ করেছিলেন ‘চৌরঙ্গী’, ‘নায়িকা সংবাদ’, ‘কখনও মেঘ’, ‘থানা থেকে আসছি’, ‘রৌদ্রছায়া’, ‘রাজদ্রোহী’, ‘শুকসারী’ ছবিতে। প্রত্যেকটি ছবি এবং তার গানগুলো জনপ্রিয়। ফলে সুচিত্রা সেন, সুপ্রিয়া চৌধুরী, সাবিত্রী চট্টোপাধ্যায়ের প্রবল উপস্থিতির পরেও তিনি হয়ে উঠেছিলেন ‘মহানায়কের নায়িকা’। সৌমিত্র চট্টোপাধ্যায়ের তাঁর ছবি ‘মহাশ্বেতা’ দর্শক-সমালোচক প্রশংসিত।
বিয়ের পরে অঞ্জনা স্বামীর সঙ্গে মুম্বইয়ে সংসার পাতেন। চন্দনা-নীলাঞ্জনাও অভিনয় দুনিয়ায় এসেছিলেন। নীলাঞ্জনা পরে বিয়ে করেন যিশু সেনগুপ্তকে। যিশুর কাছে অঞ্জনা ‘শাশুড়ি’ কম ‘মা’ ছিলেন বেশি।
