বছরভর 'পরিণীতা' টিআরপিতে বেশ ভালই ফল করেছে। দর্শক মহলেও দারুণ প্রশংসিত হয়েছে এই মেগা। ধারাবাহিকের গল্পে এখন দেখা যাচ্ছে পারুল ও রায়ান একসঙ্গে একটি কোম্পানিতে চাকরি করছে। কিন্তু অফিসের এইচআর পারুলকে একদম পছন্দ করতে পারে না। তাকে অফিস থেকে বের করার জন্য নানা চক্রান্তও করে। এদিকে, আবারও একজোট হয়ে অন্যায়ের বিরুদ্ধে লড়ছে পারুল ও রায়ান।
পারুল ও রায়ানকে চাকরি থেকে তাড়াতে চায় সংযুক্তা। তার সঙ্গে তাল মেলায় শিরিন। কিছুদিন আগে ধারাবাহিকের পর্ব দেখে দর্শকের মনে হয়েছিল শিরিনের দুষ্টু বুদ্ধির কাছে এবার হয়তো হার মানবে পারুল। দেখা গিয়েছিল, সংযুক্তা ও শিরিনের চক্রান্তে মৃত্যুমুখে পড়েছিল পারুল। পারুলকে বাঁচাতে মরিয়া হয়ে উঠেছিল রায়ান। রায়ানের চেষ্টায় মৃত্যুর মুখ থেকে ফিরে আসে পারুল।
তবে কে তাকে মারার চেষ্টা করেছিল, তা জানতে মরিয়া হয়ে ওঠে সে। জানতে পারে যে এসবের পিছনে রয়েছে সংযুক্তা। তাই আর দেরি না করে বুদ্ধির জোরে সংযুক্তাকে ফাঁসানোর ছক কষে ফেলে সে। সংযুক্তার বাড়িতে কাজের লোকের ছদ্মবেশে আসে পারুল। তাকে দেখে সত্যিই চেনা দায়। তাই পারুলকে একেবারেই ধরতে পারে না সংযুক্তা।
সংযুক্তাকে চা দেওয়ার পর পারুল নিজের ছদ্মবেশ ছেড়ে বেরিয়ে আসে। জানায়, এই চায়ে সে বিষ মিশিয়ে দিয়েছে। তাই কিছুক্ষণের মধ্যেই মারা যাবে সংযুক্তা। যদি সে বাঁচতে চায়, তাহলে সত্যিটা যেন স্বীকার করে। পারুলকে দেখে ভয় পেয়ে যায় সে। ভাবে সত্যিই মারা যাবে, শরীরে অস্বস্তিও শুরু হয় তার। তাই আর দেরি না করে, তড়িঘড়ি সত্যিটা স্বীকার করে সে। সংযুক্তা জানায়, তার ষড়যন্ত্রেই পারুলের এই অবস্থা হয়েছিল।
সংযুক্তার এই স্বীকারোক্তি ক্যামেরাবন্দি করে পারুল। যাতে পরবর্তীতে প্রমাণ হিসেবে দেখাতে পারে। সদ্য প্রকাশ্যে আসা ধারাবাহিকের এই প্রোমো দেখে উচ্ছ্বসিত দর্শক। কিন্তু পারুল কি সত্যির সন্ধান করতে গিয়ে সংযুক্তাকে বিষ খাইয়ে দিল? নাকি এটাও তার কোনও বুদ্ধির চাল? প্রোমো দেখে এইসব প্রশ্ন ঘুরছে দর্শকের মনে।
প্রসঙ্গত, জি বাংলার 'পরিণীতা'য় আসছে বিরাট চমক। এবার সামনে আসবে রায়ানের প্রেমিকা। বড়দিনেই পারুলের চোখের সামনে কোন সত্যি উন্মোচন হতে চলেছে? গল্পে দেখা যায়, বড়দিনে বাড়িতেই একটা পার্টির আয়োজন করেছে পারুল-রায়ানরা। সেখানে গিটার বাজাতে দেখা যায় রায়ানকে। রায়ানের দিকে চোখ পড়তেই পারুল দেখে রায়ানের হাতে একটা নতুন ঘড়ি।
ঘড়িটা দেখেই পারুলের সন্দেহ হয় যে, এই ঘড়ি হয়তো মহুল দিয়েছে। রায়ানকে সেই কথা জিজ্ঞেস করতেই মুখে কিছু না বলে সে বুঝিয়ে দেয় পারুলের সন্দেহই ঠিক। পারুল আরও রেগে যায়। সে ভাবে সান্তাক্লজের ছদ্মবেশে মহুল হয়তো এই বাড়িতে এসেছে। তাই তাকে দেখতে মরিয়া হয়ে ওঠে পারুল। পারুলের এই কাণ্ড দেখে মনে মনে মজা পায় রায়ান।
এবার কি সামনে আসবে মহুলের পরিচয়? প্রোমো দেখে এখন দর্শকের মনে একটাই প্রশ্ন, এই চরিত্রে কাকে দেখা যেতে চলেছে? গল্পে কি এবার এন্ট্রি নিতে চলেছেন কোনও নতুন নায়িকা? টলিপাড়ার অন্দরের খবর, ইতিমধ্যেই নাকি এই চরিত্রের জন্য অভিনেত্রী বাছাই পর্ব চলছে। তবে এখনও পর্যন্ত চূড়ান্ত হয়নি কিছুই। কিন্তু খুব তাড়াতাড়িই এই চরিত্রেকে পর্দায় দেখতে পাবেন দর্শক, এমনটাই আশা করা যাচ্ছে।
