আজকাল দ্রুত বাড়ছে থাইরয়েডের সমস্যা। বিশেষ করে মহিলাদের এই ক্রনিক রোগে আক্রান্ত হতে বেশি দেখা যায়। থাইরয়েড গ্রন্থি শরীরের বেশিরভাগ বিপাকীয় প্রক্রিয়া নিয়ন্ত্রণ সহ আরও নানা ধরনের কাজ করে। তাই থাইরয়েডের সমস্যা হলে শরীরে অন্যান্য জটিলতাও প্রকট হতে পারে। সেক্ষেত্রে চিকিৎসকের পরামর্শ অনুযায়ী ওষুধের সঙ্গেই রোজের খাবারের দিকে নজর দেওয়া জরুরি।
2
9
হাইপোথাইরয়েড হোক বা হাইপারথাইরয়েড-দুটো ক্ষেত্রেই ওষুধের পাশাপাশি খাদ্যাভ্যাস ভীষণ গুরুত্বপূর্ণ। আসলে অনেক সময় অজান্তেই আমরা এমন কিছু খাবার খেয়ে ফেলি, যা থাইরয়েডের সমস্যা আরও বাড়িয়ে দেয়। থাইরয়েডের ভুক্তভোগী হলে কোন কোন খাবার ডায়েট থেকে বাদ দেবেন, জেনে নিন-
3
9
প্রথমেই আসে সয়াবিন ও সয়াজাত খাবার। সয়াবিন, সয়া মিল্ক, টোফু ইত্যাদিতে এমন কিছু উপাদান থাকে, যা থাইরয়েড হরমোন তৈরির প্রক্রিয়ায় বাধা দেয়। বিশেষ করে যারা নিয়মিত থাইরয়েডের ওষুধ খান, তাঁদের ক্ষেত্রে সয়া খাবার ওষুধের কার্যকারিতা কমিয়ে দিতে পারে।
4
9
বাঁধাকপি, ফুলকপি, ব্রকলি জাতীয় সবজি স্বাস্থ্যকর হলেও থাইরয়েড রোগীদের জন্য অতিরিক্ত খাওয়া ক্ষতিকর হতে পারে। এই সবজিগুলিতে ‘গয়ট্রোজেন’ নামের উপাদান থাকে, যা আয়োডিন শোষণে বাধা দেয়। তবে রান্না করে খেলে ক্ষতি অনেকটাই কমে যায়।
5
9
গ্লুটেনযুক্ত খাবার যেমন ময়দা, পাউরুটি, কেক, পাস্তা থাইরয়েড রোগীদের সমস্যা বাড়াতে পারে। বিশেষ করে যাঁদের অটোইমিউন থাইরয়েড (হাশিমোটো) রয়েছে, তাঁদের ক্ষেত্রে গ্লুটেন শরীরে প্রদাহ বাড়ায়।
6
9
চিনি ও অতিরিক্ত মিষ্টি খাবার থেকেও দূরে থাকা ভাল। থাইরয়েডের সমস্যায় মেটাবলিজম কমে যায়, ফলে চিনি বেশি খেলে ওজন বাড়ার ঝুঁকি অনেক বেড়ে যায়। সঙ্গে ডায়াবেটিসের আশঙ্কাও থাকে।
7
9
ফাস্ট ফুড ও ভাজাভুজি যেমন বার্গার, পিৎজা, চিপস, পাকোড়া থাইরয়েড রোগীদের জন্য একেবারেই অস্বাস্থ্যকর। এগুলোতে থাকা ট্রান্স ফ্যাট হরমোনের ভারসাম্য নষ্ট করে এবং ক্লান্তি, ওজন বৃদ্ধি বাড়ায়।
8
9
এছাড়া কফি ও অতিরিক্ত ক্যাফেইন থাইরয়েডের ওষুধের শোষণে বাধা দিতে পারে। তাই ওষুধ খাওয়ার সঙ্গে সঙ্গে কফি খাওয়া একেবারেই উচিত নয়।
9
9
সবশেষে বলা যায়, থাইরয়েডের সমস্যা নিয়ন্ত্রণে রাখতে শুধু ওষুধ নয়, সঠিক খাদ্যাভ্যাসও সমান জরুরি। ভুল খাবার এড়িয়ে চললে থাইরয়েড অনেকটাই নিয়ন্ত্রণে রাখা সম্ভব।