ইন্দ্রাণীর মন জয় করার পরীক্ষায় রোজ বিভিন্নভাবে ফেল করছে কুসুম। কিন্তু হাল ছাড়ছে না সে। তার পাশে আছে ঈশান। এমনই বাউন্ডুলে বলে ঈশানের পরিচিতি আছে, তবে কুসুমের সে 'বেস্ট ফ্রেন্ড'। অন্যদিকে, আয়ুষ্মানের কাছেও বড্ড আনকোরা কুসুম। কীভাবে আয়ুষ্মানের সঙ্গে মিল হবে কুসুমের? এই প্রশ্ন যখন দর্শকের মনে উঁকি মারছে, ঠিক তখনই খেলা ঘুরল অন্যদিকে। আর এবার একেবারে সম্পর্কের সমীকরণ পর্যন্ত এলোমেলো হয়ে গেল।
কুসুমকে একটু একটু করে পছন্দ করছে ইন্দ্রানী। কুসুমও নিজের জায়গাটা ধরে রাখার চেষ্টা করছে। কিছুদিন আগেই ফটোশুটের সময় ইন্দ্রানীর মতো করে সেজেছিল সে। ইন্দ্রানীই তাকে সমস্তকিছু শিখিয়ে দিয়েছিল। তাই পরিবারের অনেকেই এই বিষয়টা আবার বাঁকা চোখে দেখেছিল। কিন্তু তাতে যদিও কুসুমের কিছু মনে হয়নি। কারণ, দেবী মায়ের আশীর্বাদে সে যে সমস্ত পরীক্ষা ধীরে ধীরে পাশ করছে সেটাই তার কাছে অনেক বড় ব্যাপার।
এবার আয়ুষ্মানের সঙ্গে যেন তার সম্পর্কে এক অন্য মোড় এল। আয়ুষ্মানদের ব্যবসার জন্য একটা বিজ্ঞাপনী ভিডিও শুটিংয়ের আয়োজন করা হয়। কুসুম ও আয়ুষ্মান বর-কনের বেশে ওই ভিডিওতে আসে। বিয়ের সাজে সেজে ওঠে তারা। মালা বদল হয়,সাতপাকে বাঁধা পড়ে এমনকী কুসুমের সিঁথিতে সিঁদুরও পরিয়ে দেয় আয়ুষ্মান। শুটিং শেষ হলেই গলার মালা খুলে মণ্ডপ ছেড়ে উঠে পড়ে আয়ুষ্মান। কুসুমকে প্রোডাকশনের লোকেরা বলে শাঁখা-পলা খুলে সিঁদুর মুছে ফেলতে। কিন্তু কিছুতেই রাজি হয় না কুসুম।

ভিডিওর স্বার্থে হলেও, আয়ুষ্মানের পরানো সিঁদুর সে মুছে ফেলতে পারে না। মনে মনে সে নিজেকে আয়ুষ্মানের স্ত্রী ভাবে। তাই তার জন্য সমস্তরকম নিয়ম কুসুম পালন করতে চায়। লুকিয়ে সিঁথিতে সিঁদুর পরে কুসুম, লুকিয়ে হাতে নোয়াও পরে। এবার এই লুকিয়ে নিয়ম রক্ষা করতে গিয়ে বিরাট বিপাকে পড়ে কুসুম।
আরও পড়ুন: দীর্ঘ দিন পাননি মনের মতো কাজ! অবশেষে নতুন ‘যাত্রা’ শুরু করলেন দেব-সোহমের পর্দার মা
কোজাগরী লক্ষ্মীপুজোয় আয়ুষ্মানদের বাড়িতে ভোগ রান্না করে সধবারা ব্রত পালন করে। দেবী মায়ের সঙ্গে ভোগ রান্নায় সাহায্য করতে গিয়ে কুসুম জানতে পারে এই ব্রত স্বামীর মঙ্গল কামনায় পালন করতে হয়। এই কথা শুনে অবাক হয়ে যায় সে। মনে মনে ভয়ও পায় সে। কীভাবে সবার চোখের আড়ালে আয়ুষ্মানের মঙ্গল কামনায় ব্রত পালন করবে সে? উত্তর মিলবে ধারাবাহিকের আগামী পর্বে।
