‘প্রফেসর বিদ্যা ব্যানার্জি’ হয়ে ছোটপর্দায় ফিরেছেন স্বস্তিকা দত্ত। নতুন পথে পা রাখা হলেও তাকে বলা যায় পুরনো যাত্রারই পুনরারম্ভ—কারণ টেলিভিশনের সঙ্গে তাঁর সখ্য বহু দিনের, জনপ্রিয়তাও এসেছে এই মাধ্যম থেকেই। তাই সাদা পাতায় আঁকা চরিত্রে নিজের অভিজ্ঞতা এবং আবেগ দিয়ে জাদুকাঠি ছুঁইয়ে দিয়েছেন তিনি।
তবে প্রশংসার পাশাপাশি সমালোচনাও রয়েছে। সম্প্রতি এক দর্শক মন্তব্য করেছেন—তন্বী স্বস্তিকা নাকি বিদ্যার চরিত্রে মানানসই নন। নেটমাধ্যমের সেই মন্তব্য স্বস্তিকার চোখ এড়ায়নি। তবু কোনও রাগ বা ক্ষোভ নয়। বরং ধারাবাহিক দেখে মতামত জানানোয় তিনি সেই দর্শককেই ধন্যবাদ জানিয়েছেন।

আজকাল ডট ইন-কে স্বস্তিকা বলেন, “নেটমাধ্যমে ট্রোল-কটাক্ষ আমি দেখি না। আমার প্রোফাইলে এলেও মুছে দিই। কিন্তু কেউ যদি বলেন, আমায় সেই চরিত্রে মানাচ্ছে না, তা হলে বুঝতে হবে তিনি আমাদের প্রোজেক্টটা দেখছেন। তাই তাঁর মতামতকে গুরুত্ব দিতে হবে। আমি এটাই। এরকমই। দর্শকদের ভাললাগাটা মাথায় তুলে রাখলে, তাঁদের খারাপলাগাটা এড়িয়ে যাব কেন!”

স্নেহাশিষ চক্রবর্তীর প্রযোজনা সংস্থা ব্লুজ প্রোডাকশনের ধারাবাহিক ‘প্রফেসর বিদ্যা ব্যানার্জি’। পরিচালনায় ‘জগদ্ধাত্রী’ খ্যাত সুকমল নাথ। এই প্রোজেক্টের বড় অংশের দায়িত্ব সামলাচ্ছেন সহ-প্রযোজক এবং স্নেহাশিষের স্ত্রী রূপসা চক্রবর্তীও। দীর্ঘদিন পর তাঁদের উৎসাহেই স্বস্তিকার ধারাবাহিকে ফেরা যেন ঘরের মেয়ের ‘ঘর ওয়াপসি’। কারণ, তাঁর প্রথম নায়িকা হয়ে ওঠার পথচলাও শুরু হয়েছিল স্নেহাশিষ-রূপসার হাত ধরেই। স্বস্তিকার কথায়, “ধারাবাহিকে ফেরা মানে পুরনো রুটিনে ফিরে যাওয়া। নিয়মে বাঁধা একটা জীবন। এটা খুব উপভোগ করি। স্নেহাশিষদা যাতে হাত দেন, তা-ই সোনা।  উনি বাংলার দর্শককে বোঝেন না হলে একটা মানুষ বছরের পর বছর এত হিট ধারাবাহিক উপহার দিতে পারতেন না। আমাদের কার্যনির্বাহী প্রযোজক শুভ্রালি ব্যানার্জি জানালেন ৪৯তম ধারাবাহিক। তাই এই ধারাবাহিক নিয়েও আমরা আশাবাদী।”

টিআরপি-র হিসেবনিকেষ কি ভাবায় স্বস্তিকাকে? নায়িকা মনে করেন, নিজের কাজ করে গেলেই তার ফল মিলবে। তবে ভাল টিআরপি উৎসাহ বাড়িয়ে দেয়। তিনি বলেন, “টিআরপি আমাদের কাছে অ্যাওয়ার্ডের মতো। এটা দেখলে বুঝতে পারি মানুষ আমাদের ভালবাসছেন। গ্রহণ করছেন। তবে ধারাবাহিকের কলাকুশলীদের থেকেও ফিডব্যাক পাই। ওঁদের বাড়িতেও নাকি প্রফেসর বিদ্যা ব্যানার্জি চলে। তবে আমরা প্রচারে বিশ্বাসী নই। আমাদের কাজটাই কথা বলবে।”

ইন্ডাস্ট্রিতে দেখতে দেখতে এক দশক পার স্বস্তিকার। ধারাবাহিক থেকে বড়পর্দা, ওটিটি— অভিজ্ঞতার ঝুলি এখন অনেকটাই পূর্ণ। তবে তার ভারে ন্যুব্জ হতে নাারাজ নায়িকা। তাঁর কথায়, “কাজের সময় আমি নিজেকে নবাগত মনে করি। চেষ্টা করি সেরাটা দেওয়ার। এক্ষেত্রেও তা-ই। বাকিটা সময় বলবে।”