নিজস্ব সংবাদদাতা: স্বস্তিকা এমন এক অভিনেত্রী, তার থেকেও বড় কথা এমন এক মানুষ যিনি স্পষ্ট কথা স্পষ্টভাবে বলতেই পছন্দ করেন। এ কথা জানেন তাঁর পরিচিত সকলেই। এমনকি, নিজের ব্যক্তিগত জীবনের নানান দিক থেকে সম্পর্কের ব্যাপারেও খোলাখুলি কথা বলেন তিনি।  বিভিন্ন সময়ে স্বস্তিকার সঙ্গে এই ব্যক্তিদের সম্পর্ক নিয়ে আলোচনা হয়েছে ইন্ডাস্ট্রি থেকে শুরু করে জনতামহলে। স্বস্তিকার জীবনযাপন নিয়েও বিস্তর আলোচনা হয় সমাজমাধ্যমে।  স্বস্তিকা বরাবরই তাঁর ব্যক্তিগত জীবন নিয়ে খোলামেলা,স্পষ্ট কথা বলতেই ভালবাসেন। এবার সর্বভারতীয় স্তরের এক সংবাদসংস্থাকে দেওয়া সাক্ষাৎকারে এসব প্রশ্নের জবাব দিলেন স্বস্তিকা নিজেই। 

 

স্বস্তিকা জানালেন, মৈনাক ভৌমিকের এক ছবির জন্যেই মাথার সব চুল প্রায় ছেঁটে ফেলেছিলেন তিনি। সেই ছবিতে তাঁর সঙ্গে অভিনয় করেছিলেন ঋতুপর্ণা সেনগুপ্ত-ও। তবে যখন শুটিং শেষ হতে আর চারদিন বাকি, আচমকা বন্ধ হয়ে গেল সেই ছবির কাজ। এরপর আর হয়নি! অভিনেত্রীর কথায় – “একজন নায়িকা স্রেফ একটি চরিত্রের স্বার্থে মাথা কমিয়ে প্রায় ন্যাড়া হয়ে যাচ্ছে, এটা ছোট কথা নয়। বরং একজন অভিনেত্রী হিসাবে বড় ব্যাপার। তবে মজার ব্যাপার, আমার চুলের ওই দশা দেখে প্রায় সবাই বলা শুরু করলেন আমি নাকি মাদকাসক্ত হয়ে গিয়েছি। এবং এতটাই মাদকাসক্ত হয়ে গিয়েছি যে হয় আমি রিহ্যাবে যাচ্ছি নয় সেখান থেকে ফিরছি! মানে...অকল্পনীয়!”  


“তাঁরা তো আর জানেন না একটি ছবির কাজের জন্য আমি ওই লুকটা তৈরি করেছিলাম। আসলে...বেশিরভাগ ছবিতেই যেমন দেখানো হয় আর কী ওই যে মাদকাসক্ত হলেই কোনও নারী নিজের মাথার চুল কমিয়ে ফেলেন কিংবা ছোট করে ফেলেন, সেসব দেখেই এরকম ভাবছিল অনেকে। শুধু তাই নয়, আমার আত্মীয়রা পর্যন্ত আমার মা'কে ফোন করত। আর বলত, ‘ওকে একটু দ্যাখো। নিশ্চয়ই ওর কোনও সমস্যা হচ্ছে। হয়ত ওর সঙ্গে...একটু খেয়াল রাখো ওর।’ এসব বলত। আর মা ফোনটা নামিয়ে রেখেই আমাকে তুমুল বকাবকি করত।”