সংবাদ সংস্থা মুম্বই: বলিউডে অক্ষয় কুমার ও সুনীল শেট্টির বন্ধুত্ব বহু পুরনো, পর্দায় তাঁদের জুটির রসায়নও দারুণ। ‘হেরা ফেরি’, ‘মোহরা’, ‘ধড়কন’, ‘পেহচান’—সবই তার সাক্ষী। কিন্তু খুব কমজন জানেন, এই বন্ধুত্বের শিকড় গেঁথে আছে এক গভীর ব্যক্তিগত স্মৃতিতে।


দৃষ্টিতে ছিল আবেগের ঝড়, মনে চলছিল অতীতের ঝলক। ১৯৯৩ সালে অক্ষয় কুমারকে প্রথম দেখেই বুক কেঁপে উঠেছিল সুনীল শেট্টির — কারণ, সেই চেহারায় তিনি যেন ফিরে পেয়েছিলেন নিজের প্রাণের মানুষ, প্রয়াত ভাই উল্লাসকে!  

 

সম্প্রতি এক সাক্ষাৎকারে সুনীল বলেন, “আমার এক ভাই ছিল, উল্লাস। ও-ই প্রথম আমার ছবি পাঠিয়েছিল বিভিন্ন জায়গায়, যার জেরে আমি প্রথম মডেলিংয়ের কাজ পাই। হঠাৎ একদিন গাড়ি দুর্ঘটনায় ওর মৃত্যু হয়। তখন ওর বয়স মাত্র ২৭-২৮। সেই শোক কাটিয়ে ওঠার আগে অক্ষয়কে প্রথমবার দেখি। ‘ওয়াক্ত হামারা হ্যায়’-এর সেটে শুটিংয়ে অক্ষয়ের সঙ্গে আমার প্রথম দেখা, প্রথম আলাপ। অক্ষয়কে এক ঝলক দেখেই বুকটা ধড়াস করে ওঠে— ঠিক যেন উল্লাস...একদম উল্লাসের মতো দেখতে! পরিষ্কার করে কামানো গাল, সুন্দর দোহারা চেহারা, লম্বা গড়ন, এমনকি হাঁটার ভঙ্গিটাও এক।”

 

 

 

“তুমি আমার ভাইয়ের মতো দেখতে, যার মৃত্যুর যন্ত্রণা এখনও ভুলতে পারিনি। রোজ তোমাকে দেখতে হবে ভেবে ভয় পাচ্ছি, কারণ তোমাকে দেখলেই ভাইয়ের কথা মনে পড়বে, এদিকে কাজও করতে হবে তোমার সঙ্গে...” প্রথম দেখায় সুনীল বলে ফেলেছিলেন অক্ষয়কে। তবু অক্ষয়-সুনীলের বন্ধুত্ব থেমে থাকেনি। বরং একে অপরের সঙ্গে কাজ করতে করতেই গড়ে উঠেছে গভীর বন্ধন। তাই তো সুনীল বলেন, “অক্ষয় এমন একজন মানুষ যে রাতভর শুটিংয়েও মন হালকা করে দিতে পারে। ওর মতো মজাদার, রসিক  মানুষ দুনিয়ায় বিরল।”

 


প্রসঙ্গত, এবার আবারও পর্দায় ফিরছে সেই ত্রয়ী — ‘হেরা ফেরি ৩’-তে ফিরছেন সুনীল-অক্ষয়-পরেশ। পরিচালক  তথা গল্পকার প্রিয়দর্শন এ ছবি প্রসঙ্গে বলে দিয়েছেন, “এ ছবির চিত্রনাট্য লিখতে শুরু করব আগামী বছর। কিন্তু এ ছবি ঘিরে চাপ অনেক, দর্শকের প্রত্যাশাও বিশাল।”