সম্পর্কের বাঁধন ছিঁড়ে যাওয়ার পরেও কিছু স্মৃতি, কিছু দিন মনের গভীরে গেঁথে থাকে চিরকাল। অভিনেত্রী শ্রীলেখা মিত্রের সাম্প্রতিক এক ফেসবুক পোস্ট সেই চিরন্তন সত্যকেই ফের সামনে আনল। বিবাহবিচ্ছেদের দীর্ঘ সময় পরেও নিজের বিবাহবার্ষিকীর দিনে তিনি হয়ে উঠলেন আবেগপ্রবণ। সঙ্গে বাবার জন্মদিনেও আবেগে ভাসলেন অভিনেত্রী।
এক খোলা চিঠি, যা একই সঙ্গে ভালবাসা ও বিষাদের সুর বহন করছে, সমাজমাধ্যমে শ্রীলেখা স্পষ্ট জানিয়েছেন, তাঁর এই 'মন খারাপের কারণ' আসলে ঠিক কী। বৃহস্পতিবার ছিল শ্রীলেখা ও তাঁর প্রাক্তন স্বামী শিলাদিত্য সান্যালের বিবাহবার্ষিকী। সঙ্গে অভিনেত্রীর বাবার জন্মদিনও। বাবাকেও হারিয়েছেন তিনি বেশ কিছু বছর আগে।
এই দিনটি হয়তো আর পাঁচজনের কাছে সাধারণ হলেও, শ্রীলেখার কাছে আজও তা বিশেষ গুরুত্ব বহন করে। তিনি সোশ্যাল মিডিয়ায় তাঁদের পুরোনো দিনের ছবি পোস্ট করেন এবং ক্যাপশনে লেখেন এক হৃদয় ছুঁয়ে যাওয়া বার্তা। বিয়ের কয়েকটি ছবি সমাজমাধ্যমে ভাগ করেছেন শ্রীলেখা। কনের বেশে দেখা যাচ্ছে অভিনেত্রীকে। তিনি লিখেছেন, '২০নভেম্বর বাবার জন্মদিন, আমার বিয়ের দিন। দুটোর কোনওটাই নেই। আবার কোথাও একটা আছেও। বোঝানো সম্ভব নয় ভাষায়...।'
শ্রীলেখার এই স্বীকারোক্তি তাঁর হাজার হাজার অনুরাগীর মনেও নাড়া দিয়েছে। অনেকেই কমেন্ট বক্সে নিজেদের আবেগ প্রকাশ করেছেন। কেউ তাঁকে 'শক্ত থাকার' বার্তা দিয়েছেন।
শ্রীলেখা মিত্র বরাবরই স্পষ্টবক্তা হিসেবে পরিচিত। নিজের ব্যক্তিগত জীবনের কোনও কথাই তিনি আড়াল করতে চান না। বিবাহবিচ্ছেদের পরেও এই বহিঃপ্রকাশ প্রমাণ করে, সম্পর্ক শেষ হলেও তার রেশ থেকে যায়। এই বিশেষ দিনে শ্রীলেখার আবেগপ্রবণতা আসলে এটাই প্রমাণ করল যে, জীবনের কিছু অধ্যায় হয়তো বন্ধ হয়ে যায়, কিন্তু তার ভেতরের গল্পগুলো মনের লাইব্রেরিতে থেকে যায় চিরদিনের জন্য। তাঁর এই খোলা মনের বার্তায় অনুরাগীরা আরও একবার অভিনেত্রীর সারল্য ও গভীর মানবিকতার পরিচয় পেলেন।
আসলে কয়েক বছরে অনেক ঝড় বয়ে গিয়েছে অভিনেত্রীর জীবনে। মাকে হারানোর পর বাবাকে হারানো, একমাত্র মেয়ে বিদেশে পড়াশোনা করেন। শহরে তিনি একাই যদিও তাঁর একাধিক সন্তান থাকে বাড়িতে, তারা হল শ্রীলেখার পোষ্য। তাদেরকে নিয়েই জীবন গুছিয়ে নিয়েছেন শ্রীলেখা মিত্র।
