শিল্পা শেট্টি এবং তাঁর ব্যবসায়ী স্বামী রাজ কুন্দ্রা বম্বে হাই কোর্টে আবেদন জানিয়েছেন, তাঁদের বিরুদ্ধে জারি হওয়া লুক আউট সার্কুলার স্থগিত করা হোক। যাতে তাঁরা লন্ডনে রাজের অসুস্থ বাবার কাছে যেতে পারেন।

এই লুক আউট নোটিস জারি করা হয়েছে মুম্বই পুলিশ কমিশনারেটের ইকোনমিক অফেন্সেস উইং-এর দায়ের করা ৬০ কোটি টাকার প্রতারণা মামলার প্রেক্ষিতে। অভিযোগটি করেন লোটাস ক্যাপিটাল ফিনান্সিয়াল সার্ভিসেস লিমিটেডের ডিরেক্টর দীপক কোঠারি।

তারকা-দম্পতির আবেদনে বলা হয়েছে, ১০ নভেম্বর রাজের বাবার ক্রনিক এবং অজানা উৎসের আয়রন-অ্যামোনিয়া ঘাটতি ধরা পড়ে, যার কারণে মারাত্মক জটিলতা ও রক্তক্ষরণ হয়েছে। চিকিৎসকেরা তাঁকে পুনরায় ক্যাপসুল এন্ডোস্কোপি বা ডাবল-বেলুন এন্টারোস্কোপির পরামর্শ দিয়েছেন।

পিটিশনে আরও উল্লেখ, তিনি বারবার শ্বাসকষ্টে ভুগছেন এবং তাঁর শারীরিক অবস্থার দিন দিন অবনতি হচ্ছে। তাই যত দ্রুত সম্ভব লন্ডনে যাওয়ার অনুমতি চেয়ে তাঁরা ২০২৬-এর ২০ জানুয়ারি পর্যন্ত ভ্রমণের সময়সীমা চেয়েছেন।

শুনানির সময় দীপকের আইনজীবী সময় চান। তিনি জানান, শিল্পার বিরুদ্ধে তিনি মিথ্যা বিবৃতি দেওয়ার অভিযোগে একটি আবেদন করেছেন। তাঁর দাবি, আগের একটি মামলায় শিল্পা যে হলফনামা জমা দিয়েছিলেন, তা যে নোটারি অ্যাটেস্ট করেছিলেন, তিনি নাকি স্বাক্ষরের সময় শিল্পাকে উপস্থিত দেখেননি। এমনকি দু’টি নথিতে থাকা শিল্পার স্বাক্ষরও নাকি এক নয় বলে অভিযোগ উঠেছে।

শিল্পার আইনজীবী জানান, তাঁরা এখনও মিথ্যা বিবৃতি দেওয়ার অভিযোগে আবেদনটির কপি পাননি এবং জবাব দাখিলের জন্য সময় প্রয়োজন।

এই পরিস্থিতিতে বিচারপতি অজেয় গড়করি ও আর আর ভোঁসলে সমন জারি করে বিষয়টি দু’সপ্তাহ পরে শুনানির জন্য তালিকাভুক্ত করেছেন।

দীপকের অভিযোগ, শিল্পা ও রাজের বর্তমানে বন্ধ হয়ে যাওয়া সংস্থা 'বেস্ট ডিল টিভি প্রাইভেট লিমিটেড' -এ তিনি ৬০ কোটি টাকা বিনিয়োগ করেছিলেন। কিন্তু ওই পুরো টাকাটাই ব্যক্তিগত স্বার্থে আত্মসাৎ করেছেন বলি-অভিনেত্রী ও তাঁর স্বামী বলে অভিযোগ। 

দীপকের দাবি, তাঁকে আশ্বাস দেওয়া হয়েছিল নির্দিষ্ট সময়ের মধ্যে ১২% বার্ষিক সুদ-সহ টাকা ফেরত দেওয়া হবে এবং ২০১৬ সালের এপ্রিলে শিল্পা ব্যক্তিগতভাবে লিখিত গ্যারান্টিও দিয়েছিলেন। কিন্তু কয়েক মাসের মধ্যেই শেট্টি সংস্থার ডিরেক্টর পদ থেকে ইস্তফা দেন।

এদিকে শিল্পা এবং রাজ দু’জনেই পৃথক পিটিশন দায়ের করে এফআইআর কোয়াশ করার আবেদন জানিয়েছেন। তাঁদের দাবি, এই মামলা “মিথ্যা, বিকৃত এবং অর্থ আদায়ের উদ্দেশ্যে করা হয়েছে।”

শিল্পা এবং রাজকে ঘিরে বিতর্ক অবশ্য নতুন নয়। এইবার আইনি জটিলতার মধ্যেই দেখা দিল পারিবারিক সঙ্কট। ফলে তারকা দম্পতির উপর চাপ আরও কিছুটা বেড়ে গেল।